thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১,  ২১ জমাদিউস সানি 1446

নাজিরপুরে ভূমি অফিসের নাজির ও পেশকারের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ।  

২০২৩ অক্টোবর ০৪ ২২:১২:০৮
নাজিরপুরে ভূমি অফিসের নাজির ও পেশকারের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ।
 

দ‌্যা রি‌পোর্ট প্রতি‌বেদক পিরোজপুরঃ

পিরোজপুরের নাজিরপুরে উপজেলা ভূমি অফিসের মিউটেশন কাম সার্টিফিকেট সহকারি মফিজুল ইসলাম ও সার্টিফিকেট কাম পেশকার মোঃ মারুফ হাওলাদারের বিরুদ্ধে ঘুষ না দেওয়ায় নামজারী বাতিল করার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে ভুক্তভোগী মোঃ কামাল শেখ জেলা প্রশাসক বরাবরে ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগকারী কামাল হোসেন উপজেলার পশ্চিম বানিয়ারি গ্রামের মৃত সোনামদ্দি শেখের ছেলে।

কামাল শেখের লিখিত অভিযোগ সূত্রে দেখা যায় তিনি নাজিরপুর উপজেলা ভূমি অফিসে গত ২৯ জানুয়ারী'তে একটি নামজারী মামলা রুজু করেন যার নাম্বারঃ ১,৪০৯ (IX-I) /২০২২-২৩।

পরবর্তীতে মামলাটি মাটিভাঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অনুকূলে প্রেরণ করা হলে তহলিসদার রেকর্ড পত্র ও সরেজমিন যাচাই করে নামজারী অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব প্রেরণ করেন এবং ৪ঠা এপ্রিল অতিরিক্ত এসিল্যান্ডের দায়িত্বে থাকা (ইউএনও ডা. সঞ্জীব দাশ) নামজারীটির অনুমোদন করে দেন।

অভিযোগপত্রটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চুড়ান্তভাবে ডি.সি.আর. ফি জমা দেওয়ার জন্য উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির মফিজুল ইসলামের কাছে গেলে তিনি সার্টিফিকেট কাম পেশকার মোঃ মারুফ হাওলাদারের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।


পরবর্তীতে মারুফ হাওলাদারের নিকট গেলে তিনি ডি.সি.আর কপি দিতে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। ভুক্তভোগী কামাল শেখ তখন মায়ের অসুস্থতার বিবরণ দিয়ে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন এতে ওই দুই ভূমি কর্মচারী রাজি না হওয়াতে ভুক্তভোগীর খতিয়ান চুড়ান্ত করে’নি এবং নামজারী মামলাটি না-মঞ্জুর করার জন্য পরবর্তীতে প্রতিবেদন দেন এবং ৪ ঠা মে কোনো কারণ ছাড়াই উক্ত কেসটি না মঞ্জুর হয়।

গত ৮ জুন নাজিরপুর উপজেলায় এসিল্যান্ড হিসেবে মাসুদুর রহমান যোগদানের পর ওই ভুক্তোভোগী ঘুষ চাওয়ার বিষয়ে তার তাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। এরপর তিনি কর্মচারীদের ঘুষ না নিয়ে সরকারি নিয়ম মোতাবেক কাজ করার জন্য কঠোর অবস্থানে থেকে আদেশ প্রদান করেন, এমনকি মফিজুল ইসলামকে নামজারীর দায়িত্ব থেকে বিরত রাখার জন্য নতুন করে অফিস কর্মচারীদের কর্মবন্টন করে দেন।

ভুক্তোভুগী মুঠোফোনে এ প্রতিনিধিকে জানান, আমার নামজারী কেসটি না-মঞ্জুর করাতে সদ্য যোগদানকৃত এসিল্যান্ড মাসুদুর রহমান স্যারের স্মরনাপন্ন হলে আমার সামনেই তাদেরকে ডেকে তিনি জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং তিনি আমাকে আস্বস্ত করে বলেন আপনি পূণরায় আবেদন করেন যদি আপনার কাগজপত্র সঠিক থাকে তাহলে সরকারি ফি ব্যতিত নামজারীতে কোন টাকা পয়সার দরকার হবে না এবং কেউকে দিবেন না। নতুন আবেদন করার আগেই তাদের দুজনকে প্রশাসনিক বদলী দেওয়া হয়। এছাড়া নাম প্রকাশ না করে একটি মোবাইল নাম্বার থেকে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় এবং বলে তুই কেন জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেছিস।

এবিষয়ে সহকারি মফিজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি জানি না, যদি হয়ে থাকে তাহেল ডিসি স্যার ব্যবস্থা নিবেন এবং পেশকার মোঃ মারুফ হাওলাদারকে মুঠোফোনে ফোন করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায় নাই।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডা.সঞ্জীব দাশ নামজারী বাতিলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান আমি বিষয়টি না দেখে কিছুই বলতে পারব না।

এবিষয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ জাহেদুর রহমান বলেন প্রতিদিনই আমার কাছে অসংখ্য অভিযোগ আসে,এগুলো আসলে মনে রাখা সম্ভব নয় তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দেই।

একেএস/এএইচ/এসকে/দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টি ফোর ডট কম।

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর