thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২২ জমাদিউল আউয়াল 1446

সবজিতে বাজার ভরপুর হলেও দাম কমেনি

২০২৩ নভেম্বর ১৭ ১৮:১৭:০৩
সবজিতে বাজার ভরপুর হলেও দাম কমেনি

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:শীতের আগাম সবজিতে বাজার ভরপুর হলেও দাম কমার সুখবর নেই। আগের মতোই চড়া শাক সবজি ও মাছের বাজার। তবে সপ্তাহ ব্যবধানে কিছুটা স্বস্তি এসেছে ব্রয়লার মুরগি, আলু ও পেঁয়াজের দামে। সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে চালের দাম। নতুন করে আরও কিছুটা বেড়ে চিনির দাম কেজিতে দেড়শ টাকা ছুঁয়েছে।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচা বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, হরতাল-অবরোধে সরবরাহ কম, তাই দাম বেশি।

রাজধানীর কাঁচা বাজারগুলোতে সবচেয়ে কম দামে যে সবজিটি পাওয়া যাচ্ছে, তা হলো পেঁপে। প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। আকার ভেদে প্রতিটি ফুলকপি ৩৫ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সবজিগুলোর মধ্যে রয়েছে মিষ্টি কুমড়া, মুলা ও আলু। বেগুন গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সবজিগুলোর মধ্যে রয়েছে পটল, করলা, শসা, ঢেঁড়স, ঝিঙা ও ধুন্দল। এসব সবজি গত সপ্তাহের মতো একই দামে বিক্রি হচ্ছে। শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচুর মুখি ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। কাঁচা মরিচ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। এছাড়া পুরান আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। দেশি রসুনের কেজি ২২০ যা গত সপ্তাহে ছিল ২৩০ টাকা। ইন্ডিয়ান রসুন ১৭০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮০ টাকা। আর অপরিবর্তিত রয়েছে শুকনা লাল মরিচের দাম। গত সপ্তাহের মতোই ৪২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

মুদি পণ্যের মধ্যে দেশি মসুর ডাল, ইন্ডিয়ান মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ ও ১২৫ টাকায়, যার দাম গত সপ্তাহে ছিল ১৩০-১৩৫ টাকা এবং ১১৫ টাকা। এংকর ডাল ৬৮ টাকা, ছোলা ৯০ টাকা, ডাবলি ৬৮ টাকা, খোলা চিনিগুড়া চাল ১৩৫ টাকা, মিনিকেট চাল ৬০-৬৮ টাকা, নাজিরশাইল চাল ৭৫ টাকা, মোটা চাল ৫৪ টাকা, গুঁড়াদুধ ৭৮০ টাকা, তেল ১৭০ লিটার, ৫ কেজির বোতল রূপচাঁদা ৮০০ টাকা, পামঅয়েল ১৩৫ কেজি বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজার থেকেই সবকিছু বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। যার প্রভাবে খুচরা বাজারেও দাম চড়া।

এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি বড় রুই মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, মাঝারি রুই মাছ ২৫০-২৭০ টাকা, কাতলা মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, বড় পাঙ্গাশ মাছ ২০০-৩০০ টাকা, পাবদা মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি আকারভেদে ৬৫০-৭৫০ টাকা ও শিং মাছ ৪৫০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট, মাঝারি, বড় ইলিশ মাছ যথাক্রমে ৯০০, ১২০০ ও ১৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ছোট কাচকি মাছ ৩০০ টাকা, মলা মাছ ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সামুদ্রিক মাছের দামও বেশ চড়া। প্রতি-কেজি বড় সাইজের সুরমা মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, রূপচাঁদা আকারভেদে ৫০০-৮০০ টাকা, লাল কোরাল ৫০০-৬০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে ২০-৩০ টাকা। ব্রয়লারের কেজি ২১০-২২০ টাকা থেকে কমে দাম হয়েছে ১৮০-১৯০ টাকায়। কক মুরগি ৩৪০ টাকা, দেশি মুরগি ৬০০ টাকা, লেয়ার ৩৬০ টাকা কেজি এবং হাঁস ৬০০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম, গরু ও খাশির মাংসের দামও। লাল ডিম ৫০ টাকা, সাদা ডিম ৪৮ টাকা, হাঁসের ডিম ৮০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ৮০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা ও খাশির মাংস ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর

অর্থ ও বাণিজ্য - এর সব খবর