thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল 24, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৯ শাওয়াল 1445

এইডস আক্রান্ত বাড়লেও কমেছে মৃত্যুহার 

২০২৩ ডিসেম্বর ২৩ ১০:৫৯:৩৭
এইডস আক্রান্ত বাড়লেও কমেছে মৃত্যুহার 

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:বিশ্বব্যাপী আধুনিক ওষুধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উদ্ভাবনের ফলে এইডসে আক্রান্ত হলেও মৃত্যুহার অনেক কমে এসেছে। এখন সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেলে এইডস আক্রান্ত হলেও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা সম্ভব। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যেমন বেড়েছে এইডস সচেতনাত তেমনি বেড়েছে চিকিৎসাসেবাও।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালে এইডসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ৬৫৮ জন। ২০২১ সালে এই সংখ্যা হয় ৭২৯। ২০২২ সালে এইডস রোগী শনাক্ত হয় ৯৪৭ জন। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ৩০৩ জন বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। চলতি বছর নতুন করে যে ১ হাজার ২৫০ জন শনাক্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে সাধারণ মানুষের সংখ্যাই বেশি। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পুরুষ যৌনকর্মীর (সমকামী) ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ।

বিশ্বব্যাপী আধুনিক ওষুধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উদ্ভাবনের ফলে এইডসে আক্রান্ত হলেও মৃত্যুহার অনেক কমে এসেছে। এখন সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেলে এইডস আক্রান্ত হলেও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা সম্ভব। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যেমন বেড়েছে এইডস সচেতনাত তেমনি বেড়েছে চিকিৎসাসেবাও

বাংলাদেশের জাতীয় এইডস/এসটিডি কন্ট্রোল বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এইডসে আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীদের চিকিৎসা সেবার আওতায় নিয়ে আসার হার প্রতি বছরই বাড়ছে।

বাংলাদেশে এইডসে ২০২২ সালে ২৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে কোনো বছর এত মানুষের মৃত্যু হয়নি। এ নিয়ে দেশে এইডসে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১ হাজার ৮২০। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিস্থিতিতে বলা, ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ৯৪৭ জন এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা ১২৮ জন। বাকি ৮১৯ জন এ দেশের নাগরিক।

২০১৯ সালেও এইডস হয়েছে কিনা, সেই বিষয়ে সচেতনতার হার ছিল ৫২ শতাংশ, যা ২০২১ সালে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ শতাংশে। দুই বছর আগের যেভাবে চিকিৎসা সেবার আওতায় থাকা রোগীদের সংখ্যা ছিল ৬৫ শতাংশ, বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৭৭ শতাংশের বেশী।

জাতিসংঘের চাহিদা অনুযায়ী, এইডস আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবায় নিয়ে আসার জন্য লক্ষ্য হচ্ছে অন্তত ৯৫ শতাংশে নিয়ে আসা।

ইউএনএইডসের বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার ড. সায়মা খান বলছেন, ইউএনএইডসের আগামী পাঁচ বছরের কৌশল হচ্ছে, ইউ ইজ ইকুয়্যাল টু ইউ। আনডিটেক্টবল ইজ ইকুয়্যাল টু আনট্রান্সমিসেবল। অর্থাৎ আমি যদি ওষুধ খেয়ে দেহের ভাইরাসকে এমন একটা পর্যায়ে কমিয়ে নিয়ে আসতে পারি যে, সেটা আর ছড়াতে পারবে না। তাহলে আমার এইচআইভিও ছড়াচ্ছে না, আমিও বেশিদিন বাঁচতে পারবো।

‘এআরভি ড্রাগসে আধুনিক অনেক ওষুধ এসেছে, সেটার সাইড ইফেক্ট অনেক কম কিন্তু কার্যকারিতা অনেক বেশি। একজনের দেহে ভাইরাস অনেক কমিয়ে দিতে পারে, তবে একেবারে নির্মূল করতে পারে না। ট্রিটমেন্টটা এতো ভালো যে, নিয়মিত ওষুধ খেয়ে গেলে, আজীবনই খেতে হবে এবং ভাইরাল লোডটা কমিয়ে রাখতে হবে। ’

এইডস রোগ প্রতিরোধে কাজ করে, এমন একটি সংগঠন বাংলাদেশ কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটিং মেকানিজমের (বিসিসিএম) এক সদস্য বলছেন, আয়ু বাড়া কমার বিষয় নয়, একটা মানুষ যদি সঠিকভাবে চিকিৎসা পায়, চিকিৎসা নেয়, তিনি আর দশটা সাধারণ মানুষের মতো খুব সাধারণভাবে থাকতে পারে। আপনি কখনোই কাউকে দেখে শনাক্ত করতে পারবেন না, এই লোকটা এইচআইভি পজিটিভ কি না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এইচআইভি রোগীদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এখন দেশের ১১টি সরকারি হাসপাতাল বিনামূল্যে এইচআইভি রোগীদের ওষুধ সরবরাহ করছে, ২৩টি সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে এইচআইভি নির্ণয়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং ১৩৪টি ড্রপ-ইন থেকে ঝুঁকিপূর্ণ লোকদের মধ্যে এইচআইভি প্রতিরোধ সেবা দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি এবং সরকারি কেন্দ্রগুলো।

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ খবর

স্বাস্থ্য - এর সব খবর