thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১,  ২৫ জমাদিউস সানি 1446

ভারতে মানব পাচারের অভিযোগে ১৬ বাংলাদেশীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ০৮ ১২:৩৬:৪৩
ভারতে মানব পাচারের অভিযোগে ১৬ বাংলাদেশীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে মানব পাচারের অভিযোগে ১৬ জন বাংলাদেশি, একজন মিয়ানমারের নাগরিক ও ১৯ ভারতীয় সহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি(এনআইএ)। সোমবার(৫ ফেব্রুয়ারি) ভারতের দুই পৃথক আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার(৬ ফেব্রুয়ারি) এনআইএ'র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রথম ঘটনায় বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালতে ১২ জন বাংলাদেশির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন; ফেরদৌস ব্যপারি, মো: অলিউল্লাহ, অমল দাস, মাসুদ সরদার, সোহাগ গাজী, সুমন শাইক, মো: বেল্লাল, মো: মিরাজুল ইসলাম, জাকির খান, মো: বাদল হাওলাদার, মো: কবির তালুকদার, মোহাম্মদ বশির হোসেন ও সৌদি জাকির।

এনআইএ'র তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল এবং ভুয়া পরিচয় পত্র সংগ্রহ করেছিল। এছাড়া দুই পলাতক অভিযুক্ত মো: শাহজলাল হালদার এবং ইদ্রিশের গোপন আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে ৬১টি আধার কার্ডসহ অন্যান্য ভারতীয় পরিচয় পত্র উদ্ধার করেছে এনআইএ। নথি তৈরির চক্র উন্মোচনের পাশাপাশি পলাতক অভিযুক্তদের খোঁজেও সন্ধান চালাচ্ছে এনআইএ। দ্বিতীয় ঘটনায়, গুয়াহাটির বিশেষ আদালতে ২৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। এরমধ্যে ৪ জন বাংলাদেশি, ১ মিয়ানমার ও বাকিরা ভারতীয়।

প্রসঙ্গত, মানব পাচারের অভিযোগে গত বছরের নভেম্বর মাসে একযোগে ভারতের একাধিক রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে অভিযান চালায় এনআইএ। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, হরিয়ানা, পদুচেরি, রাজস্থান এবং জম্মু-কাশ্মীরের অন্তত ৫০টি জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। পরবর্তীতে বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে ভারতীয় পাসপোর্ট আইন এবং ১৪ ফরেনার্স আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসামসহ বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ভারতের রাজ্যগুলো দিয়ে মানব পাচারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। প্রথমে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলো এ বিষয়ে তদন্ত করলেও, গতবছরের অক্টোবর মাস থেকে এই তদন্তের দায়িত্ব পায় এনআইএ। তদন্তে জানা যায়, আন্তর্জাতিক সীমান্তে অতি সক্রিয় এই চক্রগুলো অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের নাগরিকদের ভারতে পাচার করে আসছে।

এনআইএ জানিয়েছে, জীবিকা ও উন্নত জীবনযাপনের লোভ দেখিয়ে ভারতে এনে বাংলাদিশের স্বল্প পয়সার মজুরিতে কাজ করাতে বাধ্য করা হতো। এছাড়া অল্প বয়সী বাংলাদেশি নারীদের ভারতে পাচার করে বেশি বয়সের পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হত। এরজন্য হিউম্যান ট্যাফিকিংরা মোটা অর্থ পেত। ভারতে প্রবেশের পর ভুয়া পরিচয় পত্র তৈরি করে তাদেরকে স্থায়ীভাবে ভারতে বসবাসের সুযোগ করে দেওয়া হতো।

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর