বাংলাদেশের পোশাক খাত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পোশাক রফতানি খাতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্র। তবে গত কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির পরিমাণ বেশ কমেছে। এরপরও বাংলাদেশ-সহ পাঁচটি দেশ যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানির বাজারে দখল করে রেখেছে।
কিন্তু কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাকের বাজারে এই দেশগুলো প্রতিযোগিতা করছে?
সেটা খতিয়ে দেখতে এবং একই সাথে এসব দেশের শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ-সহ সামগ্রিক বিষয় মূল্যায়ন করতে তদন্ত শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত বছর বাংলাদেশের শ্রম পরিবেশ, শ্রমিকদের নিরাপত্তা, মজুরি, ট্রেড ইউনিয়ন-সহ নানা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করে তাগাদা দিয়েছিলো। এসব বিষয়ও তদন্তে প্রাধান্য পাবে।
বাংলাদেশে পোশাক শিল্প মালিকরা বলছেন গত কয়েক বছরে যে হারে উৎপাদন খরচ বেড়েছে সে হারে ক্রেতারা মূল্য দিচ্ছে না।
একই সাথে বাংলাদেশের পোশাক খাতের সামগ্রিক কর্মপরিবেশের উন্নতি হয়েছে বলে তারা জানাচ্ছেন।
ফলে এসব বিষয়ও তদন্তে বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই তদন্ত কমিটিকে শুনানি-পূর্ব প্রতিবেদন দিয়েছে পোশাক প্রস্তুতকারী ও রফতানিকারক সমিতি বিজিএমইএ।
বিজিএমইএ-র সহ-সভাপতি শহীদ উল্লাহ আজিম আবার মনে করছেন বাংলাদেশকে রাজনৈতিকভাবে চাপে ফেলার জন্য এ তদন্ত করা হচ্ছে।
একই সাথে, গার্মেন্ট শিল্পের সবচেয়ে বড় ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ সরকার যাতে শ্রমিকদের 'রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে' তদন্তে ব্যবহার না করে, সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন শ্রমিক নেতা জলি তালুকদার।
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিকারক বাংলাদেশ-সহ পাঁচটি দেশে দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশন (ইউএসআইটিসি) এই তদন্ত শুরু করছে।
অন্য চারটি দেশ হলো ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও কম্বোডিয়া। বাংলাদেশ-সহ এই পাঁচটি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রফতানিতে শীর্ষে রয়েছে।
কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাকের বাজারে এই দেশগুলোর তৈরি পোশাক প্রতিযোগিতাপূর্ণ হল, এবং কেন - তা জানার চেষ্টা করা হবে ইউএসআইটিসির এই তদন্তে।
একই সাথে পোশাক খাতের পরিস্থিতিও এই তদন্তে মূল্যায়ন করা হবে বলে জানান পোশাক খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
ওয়াশিংটনে ৭ই মার্চ থেকে এই তদন্তের শুনানি শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশের শুনানি হবে ১১ই মার্চ।
এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিজিএমইএ তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করবে।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এর সভাপতি ফারুক হাসান বিবিসি বাংলাকে জানান, “ এরই মধ্যে এ বিষয়ে প্রি-হিয়ারিং এর রিপ্লাই দেয়া হয়েছে। আমাদের রেসপন্স শেয়ার করেছি। ভার্চুয়ালি ১১ই মার্চ শুনানিতে যুক্ত হব।”
শুনানির পরেও ২২শে মার্চ পর্যন্ত লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করা যাবে।
পরে ৩০ শে আগস্ট ইউএসআইটিসি তদন্ত প্রতিবেদনটি বাণিজ্য প্রতিনিধির কাছে জমা দেবে।
যুক্তরাষ্ট্র কেন এ বিষয়ে তদন্ত করছে সে প্রসঙ্গে মি. হাসান বলেন, “ গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। সারা বিশ্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্র যে আমদানি করত, এতো বছর তাদের এভারেজ ইউনিট প্রাইস থেকে আমাদের কম থাকতো।"
"এখন আমাদের এভারেজ ইউনিট প্রাইস বেশি। কিন্তু এটা কোনভাবেই প্রমাণ করে না যে আমরা কম দামে সেখানে পণ্য দিচ্ছি।”
“এছাড়া আমাদের উৎপাদন খরচের চেয়ে পাকিস্তান ও চায়নাতে খরচ অনেক কম। কিন্তু চীন এটার মধ্যে নাই। কিন্তু এর কী কারণ থাকতে পারে জানি না। তবে আমরা রেসপন্স করেছি”, জানাচ্ছেন ফারুক হাসান।
শ্রমিকদের কম মজুরি দেওয়া হলে তা 'প্রতিযোগিতাবিরোধী' বলার সুযোগ থাকে।
কিন্তু ১লা ডিসেম্বর থেকে ৫৬ শতাংশের বেশি শ্রমিকদের মজুরিও বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “ফলে যুক্তরাষ্ট্রের এখন দায়িত্ব এটা নিশ্চিত করা যাতে আমরা ফেয়ার প্রাইস পাই। তাদের ক্রেতারা যাতে ন্যায্য মূল্য দেয়।”
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশনে শুনানি-পূর্ব যে প্রতিবেদন বিজিএমইএ দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশের উৎপাদন খরচ অতি মাত্রায় বেড়ে গেছে। বিদ্যুতের দাম ২৫ শতাংশ, গ্যাসের দাম ২৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ, ডিজেলের দাম ৬৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পণ্য পরিবহনে এর প্রভাব পড়েছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের এই তদন্ত কমিটি প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতির পাশাপাশি সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে কাঠামোগত পাথর্ক্যগুলির সামগ্রিক মূল্যায়ন করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে বিজিএমইএ।
পোশাক খাত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই তদন্তের পরবর্তী প্রভাব কী হতে পারে এমন বিষয়ে জানতে চাইলে মি. হাসান বলেন, “আমরা মনে করি না এর তেমন কোনও প্রভাব পড়বে। কারণ কোনও কালেই যুক্তরাষ্ট্রে আমরা শুল্কমুক্ত সুবিধা পাই না। এখনও নাই, আগামীতেও পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নাই। তাই কোনও প্রভাব পড়বে বলে মনে করি না।”
“তারপরও তাদের সাথে কথা বললে আমরা এই তদন্তের উদ্দেশ্য বুঝতে পারব। আমরাও জানতে চাই। কারণ তারা ডিটেইলস কিছু বলেনি।”
বাংলাদেশের শ্রম পরিবেশ-সহ অন্যান্য বিষয় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বলে মনে করেন পোশাক খাতের এই শিল্প মালিক।
তিনি বলেন, “আমরা মনে করছি আমরা ফেয়ার ডিল করছি। আমাদের সব কিছু প্রপার আছে। কারণ আমাদের এখানে চাইল্ড লেবার নেই, বন্দী কর্মী নেই যেটা চায়নাতে আছে। বরং আমরা অনেক বেশি বেটার পজিশনে আছি বলে মনে করি।”
তবে বাংলাদেশের ট্রেড ইউনিয়ন, শ্রম পরিবেশ, শ্রম আইনের বিষয়গুলো এই তদন্তে শুনানিতে আসবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন যুক্তরাষ্ট্র এসব বিষয়ে পরিষ্কারভাবে কিছু জানায়নি।
সংগঠনটির আরেকজন নেতা অবশ্য এই তদন্তকে বাংলাদেশ সরকারকে রাজনৈতিকভাবে চাপে ফেলার কৌশল বলে মনে করছেন।
সংগঠনটির সহ-সভাপতি শহীদ উল্লাহ আজিম বিবিসি বাংলাকে বলেন , “পলিটিক্যালভাবে প্রেসার দেওয়ার জন্য এই তদন্ত করা হচ্ছে। এটা মোস্টলি একটা পলিটিক্যাল ব্যাপার। যদি বেশি চাপিয়ে দেওয়া হয় তবে অন্যায় হবে। বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। কারণ এই খাতে আমাদের অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়েছে।”
এই তদন্তে মজুরি, ট্রেড ইউনিয়ন, শ্রম পরিবেশ, শ্রমিক কল্যাণ, নিরাপত্তা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানান তিনি।
দিও এসব বিষয়ে বাংলাদেশের অনেক অগ্রগতি রয়েছে বলে মনে করেন মি. আজিম।
গত ১লা মার্চ যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টের ২০২৪ সালের বাণিজ্য নীতি এজেন্ডা ও ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভের (ইউএসটিআর) ওয়েবসাইটে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে শ্রমিকদের অধিকারের পক্ষে ইউএসটিআর বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে তাগাদা দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা ২০১৩ সালে প্রত্যাহারের পর শ্রমিকদের সুরক্ষার মান ও অধিকার উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তি (টিকফা) পরিষদের বৈঠকেও বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইপিজেড ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের সুযোগ দিতেও আহ্বান জানানো হয়েছে এই প্রতিবেদনে।
বিজিএমইএ-র সহ-সভাপতি শহীদ উল্লাহ আজিম বিবিসি বাংলাকে ট্রেড ইউনিয়নের বিষয়ে বলেন, “বাংলাদেশের এই একটা বিষয়েই ঘাটতি রয়েছে, প্রত্যেকটা ফ্যাক্টরিতে ট্রেড ইউনিয়ন করা।"
"আসলে আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে পাটশিল্পের জন্য। ট্রেড ইউনিয়নের কারণে ওই শিল্প ধ্বংস হয়ে গেছে। তারপরেও অনেক ফ্যাক্টরিতে এটা হয়েছে। এখন আর আমরা বাধা দেই না। যুক্তরাষ্ট্র এটা ম্যানডেটরি করতে চায়। এটা নিয়েও আলোচনা হতে পারে।”
তবে, পোশাক খাতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্রেতা দেশ যুক্তরাষ্ট্রের এই তদন্ত যাতে শ্রমিকদের ব্যবহারের রাজনৈতিক হাতিয়ার না হয় সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন শ্রমিক নেতারা।
গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এই তদন্ত যদি কোনও রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হিসেবে শ্রমিকদের ব্যবহার করার জন্য হয়, তবে সেটা খারাপ হবে।”
“শ্রমিকদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। ক্রেতা দেশগুলি কিন্তু আমাদের শ্রমিকদের সুনির্দিষ্ট মজুরি বিবেচনা করে, কিন্তু পোশাকের ক্ষেত্রে দাম বাড়ায় না। ট্রেড ইউনিয়ন, মজুরি, শ্রম পরিবেশ, নিরাপত্তা সবগুলো একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। ফলে একটা কম হলে আরেকটার হুমকি হয়”, বলছিলেন জলি তালুকদার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন দেশ কোন পণ্য কত রফতানি করছে ডলারের হিসেবে সেটা প্রকাশ করে দেশটির বাণিজ্য দপ্তরের ‘অফিস অব টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেলস’ (অটেক্সা)।
সংস্থাটির হিসেবে দেখা যাচ্ছে ২০২২ সালে দেশটিতে বাংলাদেশে থেকে তৈরি পোশাক গেছে ৯.৭২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের।
যা এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি। তবে এটা ঠিক কোভিড-১৯ পরবর্তী ২০২১ সালে রফতানি কম ছিল।
কিন্তু ২০২২ সালে ৯.৭২ বিলিয়ন ডলার রফতানি হলেও ২০২৩ সালে সেটা না বেড়ে বরং কমেছে।
২০২৩ সালে রফতানি হয়েছে ৭.২৯ বিলিয়ন ডলার। সুতরাং এক বছরে রফতানি কমেছে প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলার বা ২৫ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রে শুধু বাংলাদেশ থেকেই পোশাক রফতানি কমেছে, বিষয়টি এমন নয় বলে মনে করেন বিজিএমইএ-র সভাপতি ফারুক হাসান।
তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি যেটা কমেছে এটা এমন না যে বাংলাদেশ থেকেই কমেছে। বরং ওদেরই আমদানি কমেছে বলে এটা হয়েছে।”
“কারণ গত বছর ও আগের বছর উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সুদহার সারা বিশ্বেই বেড়েছে। ফলে মর্টগেজও বেড়ে গেছে। তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে।”
তবে এ বছর রফতানি পরিস্থিতি আরো ভালো হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মি. হাসান।
তিনি বলেন, “জানুয়ারি-মার্চে এক্সপোর্ট ভালো হয়েছে। ইনফ্লেশান এখন অনেক কমে এসেছে ফলে আশা করছি আগামী মে বা জুন মাস থেকে সারা বিশ্বেই সুদের হার কমানো শুরু হবে। তখন মর্টগেজ কমে আসবে, ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে।”
“ইউএসএ-তে আমাদের এক্সপোর্ট কম হয়েছে এটা সত্যি, কিন্তু ইউএসএ নিজেরাই আমদানি কম করেছে। সারা বিশ্ব থেকেই তাদের এ অবস্থা, এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়!", বলেন মি. হাসান।
বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের মজুরি পুনর্নির্ধারণের জন্য গত বছর তীব্র আন্দোলন করে ১৫ই নভেম্বর পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছিলো শ্রমিক সংগঠনগুলো।
এ সময় আন্দোলনে সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সদস্য ও শ্রমিক রাসেল হাওলাদারের নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নের ওপর দমন পীড়নে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
ম্যাথিউ মিলারের বিবৃতিতে শ্রমিকরা যাতে সহিংসতা, প্রতিশোধ বা ভয়ভীতির হুমকি ছাড়াই সংগঠনের স্বাধীনতা ও দর কষাকষির অধিকার প্রয়োগ করতে সক্ষম হয় তা সরকারকে নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।
এরপরে ৮ই ডিসেম্বর মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঢাকার তেজগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার বলে উল্লেখ করেন। শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে মজুরি নিয়েও তিনি কথা বলেন।
এরই মধ্যে ১৩ই নভেম্বর সরকার পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে বারো হাজার টাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে। যা ১লা ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে।
একই সাথে গত বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তরফে বৈশ্বিক শ্রমনীতি ঘোষণা করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
তিনি বলেন, বিশ্ব জুড়ে যারা শ্রমিক অধিকার হরণ করবে, ভয়ভীতি দেখাবে ও আক্রমণ করবে তাদের ওপর বাণিজ্য ও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
এরই মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে তিন দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তারসহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা বাংলাদেশে আসেন।
এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, বিশিষ্টজনের পাশাপাশি তারা শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সাথেও বৈঠক করেছেন।
ওই বৈঠকে বাংলাদেশের শ্রম আইন, ট্রেড ইউনিয়ন, কর্ম-পরিবেশসহ বিভিন্ন বিষয়ে তারা আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।
দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি, শ্রমিকদের জীবনমান-সহ সামগ্রিক বিষয় নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
সুত্র: বিবিসি বাংলা
পাঠকের মতামত:
- জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ১০-১৫ টাকা কমানো সম্ভব
- গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
- গণঅভ্যুত্থানের ছাপ রেখে শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ফুটবল
- আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
- খেজুরের আমদানি শুল্ক কমল, থাকছে না অগ্রিম করও
- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা: শুনানি শেষ, রায় যেকোনো দিন
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির আকার বাড়ল
- রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের সাক্ষাৎ
- খালেদা জিয়াকে ১২ বছর সেনাবাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছে : ফখরুল
- বিচারের পর আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে : ড. ইউনূস
- সাগর দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পর্যটন আশা-নিরাশার দোলাচলে
- "সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত"
- এদের রক্ত ও ত্যাগের সঙ্গে বেইমানি করা যাবে না : নতুন সিইসি
- সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া
- থানায় মামলা দিতে গিয়ে শাহজাহান ওমর গ্রেফতার
- থানায় মামলা দিতে গিয়ে শাহজাহান ওমর গ্রেফতার
- প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ পেলেন এ এম এম নাসির উদ্দীন
- ডিএসইর পরিচালক নাহিদ হোসেন ওএসডি
- ম্যাচ শেষের আগেই মাঠ ছাড়ল কসোভো, রোমানিয়াকে জয়ী ঘোষণা
- ২০২৫ সালে ভারতের কেরালায় খেলবে আর্জেন্টিনা
- পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে
- বিদায় বেলায় ঢাকায় আসছে বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
- হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
- সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
- রাজধানীর পয়েন্টে পয়েন্টে অবরোধ অটোরিকশাচালকদের, যান চলাচল বন্ধ
- এবার শুনানিতে উঠছে জামায়াত নিবন্ধনের আপিল
- "বিচারের শুদ্ধতা রক্ষার জন্য রাজনৈতিক দলের বিচার ট্রাইব্যুনালে নয়"
- আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না: প্রধান উপদেষ্টা
- ইউক্রেনে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা
- সাত কলেজকে স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
- ডিএসইতে সূচকের উত্থান, সিএসইতে পতন
- ফ্যাসিস্টের মতো কারও ভয়েস কেড়ে নেওয়া হবে না: প্রেস সচিব
- মুজিববর্ষ উদযাপনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের খরচ ১২৬১ কোটি
- নির্বাচনে হস্তক্ষেপ রুখে দেওয়ার বিধান চায় ইসি
- অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘একটু’ সময় দিতে বললেন ফখরুল
- বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন
- ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন
- সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানকে ১২ কোটি টাকা জরিমানা
- আমাকে দেশনায়ক-রাষ্ট্রনায়ক বলবেন না: তারেক রহমান
- অন্তবর্তীকালীন সরকার ও একটি বৈশ্বিক বিশ্লেষণ
- দূষণ ধুয়ে ফেলতে দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টির আবেদন
- সমন্বিত হিসাবে ঘাটতি: দুই ব্রোকারেজ হাউজকে জরিমানা
- আন্তর্জাতিক মাস্টারের খেতাব পেলেন নীড়
- খেলাপিদের ঘটিবাটি বিক্রি করে অর্থ আদায় করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
- খালেদা জিয়ার কাছে পৌঁছাল সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আমন্ত্রণপত্র
- বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ কিন্তু সফল হয়নি: হাসনাত
- চলতি বছরে ৪৮২ শিশু হত্যা, নির্যাতিত ৫৮০
- সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পৃক্ততা বাড়াতে চায়: বাণিজ্য উপদেষ্টা
- আ. লীগের সঙ্গে কোনো সমঝোতা নেই: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
- সন্দেহটা কোথায়, অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্ন ফখরুলের
- টাঙ্গাইলে বাস-পিকআপভ্যান সংঘর্ষে চারজন নিহত
- ভারতীয় মাওলানা সাদকে ছাড়া ইজতেমা হতে দেবে না তার অনুসারীরা
- আ.লীগের প্রসঙ্গ তুললেন ভারতীয় সাংবাদিক, জবাবে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
- হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসের
- শহিদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর গ্রেফতার
- শেখ হাসিনা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবলেও বাস্তবতা ভিন্ন
- সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের সাথে হজ এজেন্সি প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
- তৃতীয়বারের মতো ‘সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন
- শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
- ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোর অনুমতি দিলেন বাইডেন
- আইসিবির লভ্যাংশ ঘোষণা
- হালান্ডের আরও এক হ্যাটট্রিক, আইরিশদের গোলবন্যায় ভাসাল ইংল্যান্ড
- প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের ৭ উইকেটে ২৫৩
- ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে রাখার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
- আগামী বছর ব্যাংক বন্ধ থাকবে ২৭ দিন
- সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন
- সব অপরাধের কেন্দ্রে শেখ হাসিনা, মন্ত্রী-এমপিরা ছিলেন সহযোগী
- এস আলমের ঋণ জালিয়াতি : বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাকে তলব
- দুই হাজার মানুষ শুধু নির্বাচনের জন্য জীবন দেননি: সারজিস
- ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হওয়া উচিত’
- সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে আনা হলো
- দুই হাজার মানুষ শুধু নির্বাচনের জন্য জীবন দেননি: সারজিস
- সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে
- আ.লীগের প্রসঙ্গ তুললেন ভারতীয় সাংবাদিক, জবাবে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
- ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হওয়া উচিত’
- পাকিস্তান থেকে ২৯৭ টিইইউএস কনটেইনারে যেসব পণ্য এলো
- ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে রাখার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
- অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘একটু’ সময় দিতে বললেন ফখরুল
- ইসলামী ব্যাংকে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প কর্মকর্তাদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- এস আলমের ঋণ জালিয়াতি : বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাকে তলব
- হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসের
- সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন
- তৃতীয়বারের মত সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করলো ওয়ালটন
- শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
- হাসিনার জন্য আরেকটি তাজমহল বানান: ভারতকে রিজভী
- তৃতীয়বারের মতো ‘সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন
- অন্তবর্তীকালীন সরকার ও একটি বৈশ্বিক বিশ্লেষণ
- সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে আনা হলো
- ভারতীয় মাওলানা সাদকে ছাড়া ইজতেমা হতে দেবে না তার অনুসারীরা
- রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ৩৩ শতাংশের বেশি
- বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন
- শেখ হাসিনা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবলেও বাস্তবতা ভিন্ন
- এ যুদ্ধ তো হবেই, কোন না কোন ফর্মেটে: উপদেষ্টা মাহফুজ
- সামরিক কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল ৬০ দিন
- চলতি বছরে ৪৮২ শিশু হত্যা, নির্যাতিত ৫৮০
- সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া