thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ১ জুন ২০২৪, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ২৪ জিলকদ  ১৪৪৫

সুমাত্রায় ভয়ঙ্কর বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭ জন

২০২৪ মে ১৮ ১২:৩১:১০
সুমাত্রায় ভয়ঙ্কর বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭ জন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক:সুমাত্রায় ভয়ঙ্কর বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭ জনে পোঁছেছে। নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জন। কৃত্রিম উপায়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বৃষ্টি হতে না দিয়ে উদ্ধার কাজ অব্যাহত রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

মৌসুমী বৃষ্টি, নদী তীর উপচে পড়া পানি, তার সাথে মাউন্ট মারাপির শীতল লাভা। সব মিলিয়ে বিপর্যয় নেমে আসে পশ্চিম সুমাত্রার চারটি জেলায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫২১টি বাড়িঘর, মসজিদ, ১৯টি সেতু, প্রায় ৩২ হাজার হেক্টর জমি। বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র আব্দুল মুহারি বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন কাদার ভেতর ও নদী থেকে ৬৭ জনের মরদেহ তারা উদ্ধার করেছেন। উদ্ধারকারীরা এখনও ২০ নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান চালাচ্ছেন। এর আগে নিখোঁজ থাকা ২৫ জনের মধ্যে ৫ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ৪৪ জন।

বন্যা ও ভূমিধসে বহু বাড়িঘর ভেসে গেছে। চার হাজারের বেশি মানুষ আশপাশের ভবন ও সরকারি অস্থায়ী কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেন। বন্যার পানি নামার পর তাদের কেউ কেউ বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাতে আর বৃষ্টি না হয় সেজন্য বুধবার বিমান বাহিনীর উড়োজাহাজের সাহায্যে মেঘের ওপর লবণ ছিটানো হয়েছে। এই অপারেশনের জন্য ১৫ টন লবণ প্রস্তুত রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দপ্তরের প্রধান দুইকোরিতা কর্ণবতী। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রধান সুহারিয়ান্তো জানিয়েছেন, ‘ক্লাউড সিডিং’ কার্যক্রমের উদ্দেশ্য ছিল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাতে বৃষ্টি না হয় তা নিশ্চিত করা এবং অনুসন্ধান কাজ চালু রাখা।

বিমান বাহিনী, আবহাওয়াবিদেরা যখন আকাশে বৃষ্টি নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত তখন উদ্ধারকর্মীরা নদী ও ধ্বংস হয়ে যাওয়া গ্রামগুলোতে অনুসন্ধান, সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে বেশিরভাগ বাড়িঘর, রাস্তা কাদায় ঢেকে আছে। উপড়ে পড়েছে গাছপালা।

সুহারিয়ান্তো জানিয়েছেন, আগামী ২৫ মে পর্যন্ত জরুরি সাড়াদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন তারা। কোন এলাকাগুলো বসবাসের উপযোগী নয় এবং কাদের বিপজ্জনক অঞ্চল থেকে সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন তা নিরূপণ করছে কর্তৃপক্ষ। ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে আগামী সপ্তাহে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।

গত বছর মারাপির অগ্ন্যুৎপাতে ২৩ জনের প্রাণহানির পর থেকেই সক্রিয় আছে আগ্নেয়গিরিটি। এটি ইন্দোনেশিয়ার ১২০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির একটি। ১৭ হাজারের বেশি দ্বীপ নিয়ে গঠিত বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ ইন্দোনেশিয়া। আগ্নেয়িগিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিকম্প, বন্যা, ভূমিধসের ঘটনা দেশটিতে লেগেই আছে।

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর