thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল 24, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ২১ শাওয়াল 1445

ইরাকে পৃথক ঘটনায় নিহত ২৩

২০১৩ নভেম্বর ১৩ ২০:১২:১৯
ইরাকে পৃথক ঘটনায় নিহত ২৩

দিরিপোর্ট২৪ ডেস্ক: ইরাকের বিভিন্ন স্থানে পৃথক দুটি হামলায় ২৩ জন নিহত হয়েছে। প্রথম হামলায় শিয়া সম্প্রদায়ের আটজন নিহত হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে অপর দুটি পৃথক হামলায় ১৫ জন নিহত হয়েছে। খবর এনডিটিভির।

ইরাকে গত এক মাস জুড়ে যে সহিংসতা চলছে, এটি তার সর্বশেষ ঘটনা। বাগদাদের ‍উত্তর এবং পশ্চিমে বুধবারের বোমা হামলাগুলোর মূল লক্ষ্যবস্তু ছিল শিয়া সম্প্রদায় এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। রাজধানী বাগদাদের উত্তরে সবচেয়ে সংঘাতময় বাকুবা শহরে বুধবার শিয়া সম্প্রদায়ের লোকরা আশুরার উৎসব পালনে জড়ো হলে তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে।

নিরাপত্তা বাহিনী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই হামলায় আটজন নিহত এবং আরও ২৫ জন আহত হয়েছে। ২০১১ সালে আশুরার একদিন আগে শিয়াদের উপর বোমা হামলার ঘটনায় ২৮ জন নিহত হয়। এজন্য নিরাপত্তার বিষয়টা মাথায় রেখে এবার কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। আর এর অংশ হিসেবে কারবালা ও এর আশেপাশের এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর ৩৫,০০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ওই এলাকার আকাশসীমায় হেলিকপ্টার টহল দিচ্ছে।

ইরাকের অন্য আরেকটি জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে বোমা হামলার ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়েছে। সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ তিকরিক শহরে একটি পুলিশ চেকপোস্টে গাড়ি বোমা হামলায় তিনজন পুলিশ সদস্যসহ ১১ জন নিহত হয়েছে। অপর আরেকটি ঘটনায় চারজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে।

বুধবারের হামলার ঘটনা ২০০৮ সাল থেকে শুরু সহিংস ঘটনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে এ বছর এই ধরনের হামলায় ঘটনায় ৫,৬০০-র বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ইরাকের এ ধরনের সহিংসতার ঘটনায় দেশটির সরকার ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকি অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ওয়াশিংটনের সহায়তা চেয়েছে।

বিশ্বব্যাপী শিয়া সম্প্রদায়ের লাখ লাখ মানুষ আশুরার দিন উদযাপন করেন। এদিন তারা কারবালার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হতে আশেপাশের এলাকায় জড়ো হয়ে বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান পালন করে। কারবালায় ইমাম হুসেইনের মাজার শরীফ রয়েছে। যিনি ৬৮০ খ্রিস্টাব্দে খলিফা ইয়াজিদের সেনাবাহিনীর হাতে শহীদ হন। আর তার মৃত্যুর পর মুসলিমদের একটা বড় অংশ সুন্নি ও শিয়া এই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে।

ইরাকে আল-কায়েদার সাথে সম্পৃক্ত সুন্নিদের একটি গ্রুপ শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে অবিশ্বাসী মনে করে। তাই শিয়াদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব আশুরার সময় এই সম্প্রদায়ের মানুষের উপর হামলার ঘটনা বেশি ঘটে।

(দিরিপোর্ট২৪/আদসি/এমডি/নভেম্বর ১৩, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর