thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ জুন 25, ১০ আষাঢ় ১৪৩২,  ২৭ জিলহজ 1446

জমজমাট পশুর হাট : ক্রেতার চোখ ছোট-মাঝারি গরুতে

২০২৫ জুন ০৫ ১৫:৫৮:১৮
জমজমাট পশুর হাট : ক্রেতার চোখ ছোট-মাঝারি গরুতে

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:আর মাত্র একদিন পর ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল আজহা। ঈদ উল আজহা উপলক্ষ্যে জমে উঠেছে রাজধানীর সবচেয়ে বড় এবং স্থায়ী পশুর হাট গাবতলী। কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে দেশি-বিদেশি গরু-মহিষ, বিভিন্ন জাতের খাসি, এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের দুম্বা এবং উটও মিলছে গাবতলীর পশুর হাটে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাজধানীর পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। বিভিন্ন সাইজের গরু বাজারে উঠলেও সবচেয়ে বেশি ছোট থেকে মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা দেখা গেছে। এক লাখ টাকার মধ্যে যেসব গরু পাওয়া যাচ্ছে সেসব গরু বিক্রি বেশি হচ্ছে। আবার বড় গরুর চাহিদা থাকলেও ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে দেখছেন এবং দাম জিজ্ঞেস করছেন বলে দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু, মহিষ, ছাগল ও দুম্বাসহ নানা প্রজাতির পশু রাজধানীর গাবতলী হাটে নিয়ে এসেছেন বিক্রেতারা। পুরোদমে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সরব উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠেছে গাবতলী। কেউ বাজেটের মধ্যে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন নিজ গন্তব্যে। আবার কেউ পশু কেনার উদ্দেশ্যে দামদর করছেন। গত কয়েকদিনের তুলনায় গতকাল রাত থেকে বেচাবিক্রি বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। এই বেচা-বিক্রির দাপট শনিবার ভোর পর্যন্ত থাকবে বলেও জানান বিক্রেতারা।

সরেজমিনে আরও দেখা যায়, গাবতলীতে পছন্দের গরু কিনে আবার বিভিন্ন কালারের মালা কিনে পশুর গলায় পড়িয়ে দিচ্ছেন ক্রেতারা। ১০০ টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত নানা ধরনের মালা বিক্রি করছেন দোকানিরা। সেই সঙ্গে ক্রয়কৃত কোরবানির পশুকে পছন্দের মালা পড়িয়ে গাবতলী থেকে আশেপাশের এলাকাগুলোতে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা। পাশাপাশি ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও লক্ষ্য করা গেছে। আনসার, পুলিশ, র‌্যাবের পাশাপশি সেনা সদস্যদেরও তৎপতরাও দেখা গেছে গাবতলীসহ আশেপাশের এলাকাগুলোতে।

মানিকগঞ্জ থেকে আসা বিক্রেতা নুরুল হোসেন জানান, আমি বিভিন্ন সাইজের ১২টি গরু নিয়ে এসেছি। সবগুলো গরুই আমার নিজস্ব খামারের। ১২টি গরুর মধ্যে সাতটা বিক্রি করেছি। মানে ছোট এবং মাঝারি সাইজের গরুগুলো বিক্রি হয়ে গেছে। আর বড় সাইজের গরুগুলো রয়ে গেছে। তবে ক্রেতারা আসছেন এবং দরদাম করছেন। আশা করছি আগামীকালের মধ্যে আমার সবগুলো গরু বিক্রি হয়েছে যাবে।

গাবতলীর স্থায়ী ছাগল ব্যবসায়ী আলমগীর জানান, আমার এখানে বিভিন্ন প্রজাতির এবং বিভিন্ন সাইজের ছাগল আছে। ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা দামের ছাগলের খুব চাহিদা। ভালো বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেড়েছে। আমরা স্থায়ী ব্যবসায়ী হওয়ায় আমাদের নিজস্ব ক্রেতা রয়েছে। মিনিমাম লাভ হলেও পশু দিয়ে দিচ্ছি বলে জানান তিনি।

ছাগলের সেডে মধ্যপ্রাচ্যের দুম্বা নিয়ে এসেছেন নিজাম নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, আমার কাছে দুই প্রজাতির দুম্বা আছে। একটি অরজিনাল আরেকটি ক্রস। অরজিনালের দামটা ক্রসের তুলনায় একটু বেশি। অরজিনাল দুম্বার দাম চাচ্ছি ৩ লাখ টাকা এবং ক্রস দুম্বার দাম দিয়েছি ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

ভারতীয় হরিয়ানা জাতের বিশাল সাইজের গরু নিয়ে গাবতলী পশুর হাটে এসেছেন জালাল নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, বিশাল সাইজের এই গরুগুলো ১০ থেকে ১২ মনের মধ্যে হবে। তিন লাখ টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে চার লাখ টাকা দামের গরু আছে আমার কাছে। ক্রেতারা আসছেন এবং দরদাম করছেন। তবে আমাদের বড় সাইজের গরু সেভাবে চাহিদা নেই। আমি এখন পর্যন্ত দুইটা গরু বিক্রি করেছি।

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর

অর্থ ও বাণিজ্য - এর সব খবর