thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২১ জমাদিউল আউয়াল 1446

গ্রামীণ ব্যাংক আইনের সংশোধন নিয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ে বিবৃতি

২০১৩ নভেম্বর ১৩ ২১:৩৩:০৯
গ্রামীণ ব্যাংক আইনের সংশোধন নিয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ে বিবৃতি

দিরিপোর্ট প্রতিবেদক : গ্রামীণ ব্যাংক আইন সংশোধন নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার সমর্থকদের ‘অপপ্রচারের’ বিষয়ে জনমনের বিভ্রান্তি দূর করতে সংশোধিত আইনটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বুধবার এ ব্যাখ্যা দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, ৫ অক্টোবর জাতীয় সংসদে ‘গ্রামীণ ব্যাংক আইন ২০১৩’ পাস করা হয়। গ্রামীণ ব্যাংকের সংশোধনী বিল সংসদে পাসের সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুসরণ করে সংশোধন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী অবৈধ সরকারের আমলে গৃহীত সব আইনই নতুন করে বাংলা ভাষায় প্রণয়ন করা হচ্ছে। দ্বিতীয় যে কারণে সংশোধন হয়েছে, তা হলো- ইতিমধ্যে পরিবর্তিত বিভিন্ন সংস্কার যা ব্যাংকিং খাতে সর্বত্র প্রযোজ্য সেগুলোও এই আইনে রাখা হয়েছে‘।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে ‘গ্রামীণ ব্যাংক আইন সংশোধন নিয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার সমর্থকরা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন’ উল্লেখ করে বলা হয়, ‘গ্রামীণ ব্যাংককে সরকার দখল করে নেবে অথবা ভেঙ্গে উনিশ টুকরো করবে এই ধরনের অপপ্রচার যে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক গ্রামীণ ব্যাংক আইনের সংশোধন সেটাই প্রমাণ করছে। ১৯৮৬ সালে এই আইনের ৭ ধারা সংশোধন করে সরকার বা সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয় এবং ঋণগ্রহীতার শেয়ার ৭৫ শতাংশে বাড়ানো হয়। বর্তমান সংশোধনে এই অবস্থানটি অপরিবর্তিত রয়েছে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পুরনো আইনের সঙ্গে সংশোধিত আইনের পার্থক্য বিবেচনা করলে দেখা যাবে যে, সরকারকে কোনো অতিরিক্ত ক্ষমতা মোটেই দেয়া হয় নি। বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা সব সংসদীয় গণতন্ত্রেই সরকারের আছে, প্রবিধান প্রণয়ন প্রতিষ্ঠানই করতে পারে। এখানে সেই ব্যবস্থাই কার্যকরী করা হয়েছে। দু’টি ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে ১০ ধারা এবং ১৭ ধারা সেগুলো শুধু নির্দিষ্ট সময় এবং নির্দিষ্ট প্রেক্ষিতে ব্যবহার করা যাবে। নিযুক্ত চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে একজন সরকার মনোনীত ব্যক্তি চেয়ারম্যান হবেন এবং ঋণগ্রহীতা শেয়ার হোল্ডার নির্বাচনকালে পরিচালনা পর্ষদে কোরাম ৪ থেকে ৩-এ কমবে।’

অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আইনের সংশোধিত বিভিন্ন ধারা ও উপ-ধারা উল্লেখ করে বলা হয়, ‘৮ ধারা নিয়ে অনেক মিথ্যা প্রচার হচ্ছে। সেখানে বলা হচ্ছে যে, ৮ ধারায় নীতি নির্ধারণ বিষয়ে সরকারের পরামর্শ নিতে হবে। বাস্তবে ৮ ধারায় কোন পরিবর্তন হয় নি এবং পরিচালনা বোর্ডই নির্দেশনা এবং তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে আছেন।’

‘১৪ ধারায় ২০১২ সালে একটি সংশোধন হয় এবং সেটাই বহাল আছে। পুরনো আইনে ছিল যে, নির্বাহী পরিচালককে নিযুক্তি দেবার জন্য পরিচালনা পর্ষদ একটি বাছাই কমিটি গঠন করবে। এই কাজটি এক বছর করা যায় নি, কারণ অধ্যাপক ইউনূসের সমর্থকরা তাকে বাছাই কমিটির সভাপতি না করলে কমিটি হতে দেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন। সেজন্য ২০১২ সালে একটি সংশোধনী আনা হয় যে, গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে পরামর্শ করে এই কমিটি নিযুক্ত করবেন। এই ব্যবস্থাটি নতুন আইনেও বহাল আছে।’

‘৩১ ধারায় ৩০ বছর আগে যে নিম্নমানের আর্থিক দন্ড ছিল সেটাকে বাড়ানো হয়েছে। ভুল বিবৃতি দিলে অথবা দলিল হস্তান্তর না করলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং গ্রামীণ ব্যাংকের নাম ব্যবহার করলে ১ লাখ টাকা জরিমানা হবে।

‘৩৪ ধারায় আয়কর অব্যাহতির বিধান সংশোধন করা হয়েছে। কারণ ইতিমধ্যে প্রচলিত আয়কর আইন অনুযায়ী শুধুমাত্র জাতীয় রাজস্ব বোর্ডই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর হতে অব্যাহতি দিতে পারে এবং সেভাবেই ইতিমধ্যে গ্রামীণ ব্যাংককে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তা দেয়া হয়েছে।’

(দিরিপোর্ট/এসআর/ডব্লিউএস/নভেম্বর ১৩, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর

অর্থ ও বাণিজ্য - এর সব খবর