দেশে দেশে বর্ষবরণের ইতিহাসসৈয়দা কানিজ সুলতানা
প্রাককথন : নববর্ষ উদযাপন হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো উৎসবগুলোর একটি। এটি প্রথম ব্যাবিলনে প্রায় চার হাজার বছর আগে উদযাপিত হয়। যীশু খ্রিষ্টের জন্মের প্রায় ২০০০ বছর আগে বসন্ত শুরুর পর যে-দিন আকাশে প্রথম নতুন চাঁদ উঠত সে দিনকে নতুন বর্ষের প্রথম দিন হিসেবে গণ্য করা হতো। বসন্তকে নতুন বছর হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণ ছিল, এ সময় মৌসুমের প্রথম ফসল বোনা হতো। ব্যাবিলনে নতুন বর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠান ১১ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হতো। এ সময় প্রতিদিনই আলাদা রীতি অনুযায়ী অনুষ্ঠানসূচি তৈরী করা হতো। যার ফলে ১১ দিন ১১টি ভিন্ন ভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন বর্ষকে বরণ করে নেওয়া হতো।
বাঙালীর বর্ষবরণ : নতুন বছর নব আনন্দ নিয়ে হাজির হয় প্রতিটি বাঙালী পরিবারে। বাঙালী সংস্কৃতির ইতিহাস হাজার বছরের। সমৃদ্ধ এই সংস্কৃতির সাথে বর্ষবরণ উৎসব ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বর্ষবরণ উৎসব কবে থেকে কীভাবে শুরু হয়েছে তা নিয়ে বিভিন্ন মত এবং ঘটনা জানা যায়। এর মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচলিত একটি ধারণা হল মুঘল সম্রাট আকবর প্রথম বঙ্গাব্দের প্রচলন করেন। সম্রাট আকবরের সময় রাজকার্যে সেই সময় হিজরী সনের প্রবর্তন ছিল। ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পরও হিজরীপঞ্জিকা অনুসারে কৃষিপণ্যের খাজনা আদায় করা হতো। হিজরী সন চাঁদের উপর নির্ভরশীল থাকায় তা কৃষি ফলনের সাথে মিলত না। যার ফলে অসময়ে কৃষকদেরকে খাজনা পরিশোধ করতে বাধ্য করা হতো। সুষ্ঠুভাবে খাজনা আদায়ের লক্ষ্যেই মুঘল সম্রাট আকবর সেই সময় এলাহী সনের প্রচলন করেন। সম্রাটের আদেশ অনুযায়ী জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ ফতেহউল্লাহ সিরাজী সৌর সন এবং আরবী হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন সনের নিয়ম নির্মাণ করেন।
১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১০ মার্চ বা ১১ মার্চ থেকে নতুন সন গণনা শুরু হয়। এলাহী সন হলেও প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলী সন। পরে এটি বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়। ১৫৫৬ সালে হিজরী সন ছিল ৯৬৩। বাংলা সনও তখন ৯৬৩ থেকে যাত্রা শুরু করে। বঙ্গাব্দ শুরু হলেও এখন যেভাবে মাসের সাতটি দিন প্রচলিত তখন তেমনটা ছিল না। সম্রাট আকবরের সময় মাসের প্রত্যেকটি দিনের জন্য পৃথক নাম ছিল। পরবর্তীকালে সম্রাট শাহজাহান একজন বিদেশী পণ্ডিতদের সাহায্য নিয়ে সাপ্তাহিক পদ্ধতিতে দিনের নামকরণ পদ্ধতির প্রচলন করেন। বঙ্গাব্দের সাথে খ্রিষ্টীয় সনের দিন-তারিখের পার্থক্যের কারণে সাধারণ মানুষের পক্ষে উভয় সন গণনায় সমস্যা হতো।
এ জন্য ১৯৬৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমীর তত্ত্বাবধায়নে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে বঙ্গাব্দ সংস্কার কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৪ এপ্রিলকে স্থায়ীভাবে বাংলা নববর্ষ শুরুর দিন হিসাবে ঠিক করা হয়। আবার বিভিন্ন নক্ষত্রের নাম থেকে বাংলা সনের মাসগুলোর নামকরণ করা হয়েছে। ধারণা করা হয় যে, বিশাখা থেকে বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠা থেকে জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়া থেকে আষাঢ়, শ্রবণা থেকে শ্রাবণ, ভাদ্রপদা থেকে ভাদ্র, অশ্বিনী থেকে আশ্বিন, কৃত্তিকা থেকে কার্তিক, অগ্রাইহন থেকে অগ্রহায়ণ, পুষ্যা থেকে পৌষ, মঘা থেকে মাঘ, ফল্গুনী থেকে ফাল্গুন এবং চিত্রা থেকে চৈত্র মাসের নামকরণ হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নববর্ষ পালনের রীতিনীতি কিন্তু এক নয়। কিছু কিছু মিল থাকলেও নববর্ষের অনুষ্ঠানের সঙ্গে যোগ হয় দেশীয় ঐতিহ্য। নববর্ষের কিছু প্রথা আছে অবাক করা এবং বেশ মজার।
নানা দেশে বৈচিত্র্যময় বর্ষবরণ : বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নববর্ষ পালনের রীতিনীতি কিন্তু এক নয়। কিছু কিছু মিল থাকলেও নববর্ষের অনুষ্ঠানের সাথে যোগ হয় দেশীয় ঐতিহ্য। নববর্ষের কিছু প্রথা আছে অবাক করা এবং মজার।
গ্রেগোরিয়ান নববর্ষ : যে সব দেশে গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা হয়, তারা সাধারণত নববর্ষ পয়লা জানুয়ারিতে পালন করে থাকে। ঐতিহাসিকভাবে, রোমান ক্যালেন্ডারে নতুন বর্ষ শুরু হতো ১ মার্চ থেকে। এর প্রভাব বছরের কয়েকটা মাসের ওপর দেখা যায়। ল্যাটিন ভাষায় সেপ্টেম্বরের অর্থ হচ্ছে সাত, অক্টোবর আট, নভেম্বর নয় এবং ডিসেম্বর দশ। সেই সময় রোমান সরকারের নতুন অধিবেশন শুরু হতো জানুয়ারি মাস থেকে। জুলিয়াস সিজার খ্রিষ্টপূর্ব ৪৭ সালে এ ক্যালেন্ডারে পরিবর্তন ঘটিয়ে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের সৃষ্টি করেন। এতে খ্রিষ্টপূর্ব ৪৪ সালে মার্ক এন্টোনির কনসুল এক দফা পরিবর্তন ঘটানোর পর খ্রিষ্টপূর্ব ৮ সালে এম্পরর অপাসটাস সিজার আরেক দফা পরিবর্তন ঘটান। সর্বশেষ পোপ ১৩তম গ্রেগোরী ১৫৮২ সালে এই ক্যালেন্ডারে পরিবর্তন ঘটিয়ে এর বর্তমান কাঠামোতে নিয়ে আসেন। এই পরিবর্তিত ক্যালেন্ডারে নতুন বর্ষের শুরু হয় ১ জানুয়ারি। জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনটি মধ্যযুগে ধর্মীয় দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
বিংশ শতাব্দীতে বিশ্বজুড়ে পশ্চিমা সভ্যতার সম্প্রসারণের কারণে এখন ১ জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাপী নববর্ষ পালন করা হয়। সাম্প্রতিককালে নববর্ষ খুবই জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করা হয়। পৃথিবীর সব বড় বড় শহরে নববর্ষের আগ মুহূর্তে বিশাল সব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সব অনুষ্ঠানে আতশবাজী ফাটিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়। বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে নববর্ষ উদযাপন করা হয়।
যুক্তরাজ্য :যুক্তরাজ্যে নতুন বছরে মধ্যরাতের পর যে পুরুষ প্রথম বাড়িতে পা দেয়, বলা হয় সে বাড়িতে সৌভাগ্য নিয়ে আসে। এ সময় পুরুষরা নিজেদের বাড়িতে টাকা, রুটি, কয়লা এবং অন্যান্য সামগ্রী উপহার হিসেবে নিয়ে আসে, যাতে করে সারা বছর পরিবারের সদস্যদের এ সব জিনিসের কমতি না হয়। মধ্যরাতের পর বাড়িতে পা দেওয়া প্রথম মানুষটি অবশ্যই সোনালী বা লাল চুলওয়ালা এবং মহিলা হতে পারবে না। বলা হয়, এতে করে বাড়িতে দুর্ভাগ্য আসে। লন্ডনে নববর্ষের আগ মুহূর্তে ট্রাফালগার স্কোয়ার এবং পিকাডেলি সার্কাসে বিশাল পরিসরে মানুষ সমবেত হয়। মধ্যরাতে বিগবেনের ধ্বনি শুনে এরা একত্রে নববর্ষকে বরণ করে নেয়।
যুক্তরাষ্ট্র :যুক্তরাষ্ট্রের নববর্ষ উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দু হয় টাইমস স্কোয়ার। এখানে নতুন বছর শুরু হওয়ার ১০ সেকেন্ড আগে এক বিশালাকার ক্রিস্টাল বল নেমে নতুন বর্ষের আগমনের কাউন্টডাউন শুরু করে। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় নিউ-ইয়ার পার্টি যাতে প্রায় ৩০ লাখ লোক অংশগ্রহণ করে।
অস্ট্রেলিয়া :সিডনিতে নববর্ষ উপলক্ষে প্রায় ৮০ হাজার আতশবাজী ফোটানো হয় যা ১৫ লাখ লোক উপভোগ করে।
ফ্রান্স : ফ্রান্সে নববর্ষের দিনটিকে জউর দে এটরের্নস বলে ডাকা হয়। এখানে নববর্ষ উদযাপন শুরু হয় ১ জানুয়ারি, যখন একজন অন্য জনকে বন্নে আনেস বলে অভিবাদন জানায়। এখানে নববর্ষ উদযাপন ছয় দিন ধরে চলে। এ সময় আইফেল টাওয়ারের পাশে আতশবাজী ফাটিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হয়। ফরাসীরা থার্টি ফার্স্ট নাইটকে লা সেইন্ট-সিলভেস্ট্রে বলে ডাকে। এ দিন এক বিশেষ ভোজের আয়োজন করা হয়, যার নাম লে রেভেলিয়ন ডি সেইন্ট সিলভেস্ট্রে। তখন ভালো ভালো খাবার যেমন— প্যানকেক আর হাঁস রান্না হয়। এ ছাড়াও এ দিন প্যালে ডে রইস নামের এক ধরনের কেক বানানো হয়। ফরাসীরা পৃথিবীর অন্য অনেক জায়গার মতোই বিশ্বাস করে, এ দিন ভালো খাবার দিয়ে নৈশভোজ করলে পরিবারের সবার জন্য নতুন বছরটা ভালো কাটবে।
হাঙ্গেরী :হাঙ্গেরীতে নববর্ষের দিন কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। এই কুশপুত্তলিকাকে ‘জ্যাক স্ট্র’ বলা হয়। আগের বছরে ঘটে যাওয়া সব দুর্ঘটনা এবং খারাপ কাজের প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়। এই কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে দুর্ভাগ্যকে ছুড়ে ফেলা হয়।
স্কটল্যান্ড :এ সময় সবাই নিজেদের ঘরবাড়ি পরিষ্কার করে নতুন বছরের আগমনের প্রস্তুতি নেয়। এ সময় বাড়ি পাক-পবিত্র রাখার জন্য জুনিপার গাছের ডাল পোড়ানো হয়, নববর্ষের দিন যে মানুষ প্রথম বাড়িতে পা রাখে সে-ই ওই বছর বাড়ির সদস্যদের ভাগ্য নির্ধারণ করে। স্কটল্যান্ডের এডিনবরাইয়ে এ সময় যে নববর্ষ উৎসব হয় তা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নববর্ষ উৎসবগুলোর মধ্যে একটি। চার দিনব্যাপী চলা এই অনুষ্ঠানে বিশ্বের সব প্রান্ত থেকে মানুষ আসে।
রাশিয়া :গ্রান্ডাফাডার ফ্রস্ট, যে সান্টাক্লসের লালের পরিবর্তে নীল সুট পরে, এ দিন শিশুদের মধ্যে খেলনা বিতরণ করে।
জার্মানি : এখানে মানুষ ঠাণ্ডা পানির মধ্যে তরল সিসার টুকরা ঠেলে দেয়। সিসার টুকরা যে রকম আকার বানায় তা দেখে ভবিষ্যৎ নির্ণয় করা হয়। নববর্ষের আগে খাওয়া খাবারের কিছু অংশ মধ্যরাতের জন্য রেখে দেওয়া হয়, যাতে করে নতুন বছর ঘরে পর্যাপ্ত খাবার থাকে।
চীন : পূর্ণিমার শুরুর দিন থেকে শুক্লপক্ষের পনের দিন উৎসব চলে নববর্ষ উপলক্ষে। চীনারা নববর্ষ পালন করে প্রাচীন প্রথা অনুযায়ী। নববর্ষের প্রথম দিনে তারা স্বর্গ ও পৃথিবীর দেবতাকে তুষ্ট করে নানা উপাসনা-উপাচারে, দ্বিতীয় দিন পূর্ব পুরুষের মঙ্গল কামনা করা হয়। ‘ওয়েইলু’ নামক বিশেষ ভোজনের আয়োজন করা হয় এ-দিন। পক্ষব্যাপী আলাদা আলাদা অনুষ্ঠানের মধ্যে সপ্তম দিনটি পালিত হয় ‘শস্য দিবস’ নামে।
জাপান :জাপানে নববর্ষের সময় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। খারাপ আত্মাকে দূরে রাখার জন্য এ সময় বাড়ির বাইরে দড়ি দিয়ে খড়ের টুকরো ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এটাকে তারা সুখ এবং সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে দেখে। নতুন বর্ষ শুরু হওয়ার সাথে সাথে জাপানীরা হাসা শুরু করে, বলা হয় এতে করে নতুন বর্ষ সৌভাগ্য নিয়ে আসে।
ভিয়েতনাম :ভিয়েতনামে নববর্ষকে সংক্ষেপে ‘টেট’ শব্দে অভিহিত করা হয়। ভিয়েতনামীদের বিশ্বাস, ঈশ্বর ঘরে ঘরে বাস করেন। নববর্ষে বেড়াতে যান স্বর্গে। সেখানে বসে মর্ত্যরে লোক কী করছে, তা খতিয়ে দেখেন। বলা হয়, কার্প মাছের পিঠে চড়ে ঈশ্বর ভ্রমণেও বের হন। এ বিশ্বাসে অনেকে নদী বা পুকুরে কার্প মাছ ছাড়েন।
আর্জেন্টিনা :আর্জেন্টিনায় নববর্ষের আগের দিন রাত্রে পরিবারের সব সদস্য একত্রে খাবার টেবিলে বসে আহার করে। ভোর পর্যন্ত চলে নানা অনুষ্ঠান। নববর্ষের প্রথম দিন নদী বা পুকুরে সাঁতার কেটে তারা নববর্ষ উদযাপন করে।
ব্রাজিল :ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো সমুদ্রসৈকতে নববর্ষের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠানটি হয়। এর অন্যতম আকর্ষণ চোখ ধাঁধানো আতশবাজির প্রদর্শনী। এ দিন অনেক লোকই সাদা পোশাক পরিধান করে। সমুদ্রে সাতটি ডুব দিলে এবং সাতটি ফুল ছুড়ে দিয়ে তারা মনে করে বছরটি খুব ভালো কাটবে। এ উৎসবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় দুই মিলিয়ন পর্যটক যোগ দেয়।
কোরিয়া :কোরিয়াতে নববর্ষ শুরুর সময় কেউ ঘুমায় না। এ সময় ঘুমালে নাকি চোখের ভ্রূ সাদা হয়ে যায়! রাত ১২টা বাজার সাথে সাথে টিভিতে ৩৩ বার ঘণ্টা বাজানো হয়। কোরিয়ার ৩৩ বীরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এটি করা হয়। কোরিয়াতে প্রায় সবাই সূর্যোদয় দেখে। সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়ার সময় একজন আরেকজনকে শুভেচ্ছা জানায়।
মেক্সিকো : মেক্সিকোতেও ১২টা বাজার সাথে সাথে ১২ বার ঘণ্টা বাজানো হয়। এ সময় প্রতি ঘণ্টাধ্বনির সাথে একটি করে আঙুর খাওয়া হয়। তারা বিশ্বাস করে এ সময় যা কামনা করা হয়, তাই পূরণ হয়।
শেষ কথা : নববর্ষে মানুষের চিরন্তন অভিলাষ শান্তি ও স্বস্তিপূর্ণ আরেকটি বছর। এদিনে অতীতের দুঃখ-গ্লানি ধুয়ে মুছে নতুনভাবে জীবন শুরু করার স্বপ্ন রচনা করেন সবাই। সেই প্রাণাবেগই যেন ধরা পড়ে নববর্ষ পালনের বহুমাত্রিক আয়োজনে। সব কিছুর মূলে সেই একই বিষয়-শান্তিপূর্ণ জীবন আর সমৃদ্ধ আগামী। সেই আকাঙ্ক্ষায় নতুনের কেতন উড়িয়ে আসুক আবার পহেলা বৈশাখ। সকল প্রাণে উচ্চকিত হোক সুন্দরের উদ্বেলিত সংগীত।
লেখিকা : প্রাবন্ধিক
পাঠকের মতামত:
- চসিকের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কম্বল দিল আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক
- পদত্যাগ করতে চলেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো
- ফ্রেঞ্চ সুপার কাপের হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতল পিএসজি
- অবশেষে ভারতেও ছড়াল এইচএমপিভি ভাইরাস, আক্রান্ত ২ শিশু
- জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমেছে ৪.২৩ শতাংশ
- ‘হাসিনার ওপর রাগ হয় না আপনার’ আসিফ নজরুলের প্রশ্নে যা বলেন খালেদা জিয়া
- দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো পলক-জ্যোতিকে
- বৃহস্পতিবার থেকে ফের শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা
- বিনামূল্যে পাওয়া ফ্ল্যাট নিয়ে মিথ্যা বলেছিলেন টিউলিপ : ডেইলি মেইল
- "আয়নাঘর-ভাতের হোটেল বলে কিছু থাকবে না, সিভিল ড্রেসে গ্রেপ্তার নয়"
- গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
- এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি লন্ডন ক্লিনিকে নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে
- বড় জয়ে বছর শুরু করল বার্সেলোনা
- ভারতকে উড়িয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া
- দাম বাড়লেও কাটছে না ভোজ্য তেলের সংকট
- বিয়ে করে দোয়া চাইলেন তাহসান
- সার্ভার জটিলতা কাটিয়ে ডিএসইতে লেনদেন চালু
- সীমান্তে নতুন ভাসমান চৌকি বসিয়েছে ভারত
- নাম ব্যবহার করে তদবির বিষয়ে যে বার্তা দিলেন উপদেষ্টা নাহিদ
- লন্ডনে ফ্ল্যাট উপহার: যুক্তরাজ্যে ব্যাপক তদন্তের মুখে টিউলিপ
- ইচ্ছাকৃত ভুল করবে না নির্বাচন কমিশন : সিইসি
- খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা
- তারেক রহমানের চার মামলা বাতিলের রায় বহাল
- টিউলিপকে লন্ডনে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট দেন আ.লীগ-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী
- অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান মারা গেছেন
- হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে প্রশ্নে যা বললেন জয়সোওয়াল
- বাংলাদেশ সফরে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- নতুন ভাইরাস এইচএমপিভি, মহামারির শঙ্কা
- শেখ হাসিনাকে ফেরতের প্রশ্নে এখনও নিরুত্তর ভারত
- বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল
- চার শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অপসারণ
- ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত
- নতুন দায়িত্বে বাফুফেতে ফিরলেন ছোটন
- গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ চলছেই, ২৪ ঘণ্টায় ঝরল ৭১ প্রাণ
- তাপমাত্রা নামল ৮ ডিগ্রির ঘরে, ফের মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে পঞ্চগড়
- হিন্দুদের চাকরি নিষিদ্ধ করার দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা: প্রেস উইং
- কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
- সরকারি দপ্তরে তদবির বন্ধে সচিবদের কাছে উপদেষ্টা নাহিদের চিঠি
- নাঈমুল ইসলাম ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব ১৬৩টি, জমা ৩৮৬ কোটি
- খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে বাসায় গেলেন সেনাপ্রধান
- পুলিশের ৪৮ কর্মকর্তার পদায়ন
- অভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের হেলথকার্ড বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন
- ডিসেম্বরে এল রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স
- ইসির ৬২ কর্মকর্তাকে বদলি-পদায়ন
- "হাসিনাকে ফেরত না দিলেও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে না"
- আজ রাজবাড়ী যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
- বিভ্রান্ত না হয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন: তারেক রহমান
- বাণিজ্য মেলায় ইসলামী ব্যাংকের প্রিমিয়ার স্টল উদ্বোধন
- বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের এজিএম অনুষ্ঠিত
- ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড
- বছরের শুরুতেই উত্তরে জেঁকে বসেছে শীত, ফ্লাইট চলাচলে বিঘ্ন
- আরও বাজারমুখী হলো ডলারের দাম
- "আ.লীগ আমলে ক্যাম্পাসগুলোকে অস্ত্রাগার বানানো হয়েছিল"
- বিদায়ী বছরে আস্থার সংকটে ভুগেছে পুঁজিবাজার
- সিলেটকে হারিয়ে রংপুরের টানা দ্বিতীয় জয়
- ক্রীড়াঙ্গনে কবে কোন খেলা, একনজরে দেখে নিন
- দ্বিকক্ষ আইনসভার সুপারিশ: কোন মডেলে যাবে বাংলাদেশ?
- আজ থেকে ২২ দিন সব কোচিং সেন্টার বন্ধ
- নতুন বছরের ১ম দিন বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০৯ কোটি
- রাজধানীতে আতশবাজি ফোটাতে গিয়ে শিশুসহ দগ্ধ ৫
- মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
- আগামীতে বাণিজ্য মেলা হবে দেশজুড়ে : প্রধান উপদেষ্টা
- ঢাকায় থার্টি ফার্স্ট নাইটে দগ্ধ ২ শিশু
- সচিবালয়ে আগুনের প্রাথমিক প্রতিবেদন: তদন্তে যা উঠে এলো
- নতুন প্রত্যাশার নবযাত্রা বাংলাদেশের
- আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের রেডিসন ব্লু ঢাকার সাথে চুক্তি স্বাক্ষর
- ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
- ওয়ালটন কাপ গলফ টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ
- পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
- ব্যাংক ও পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
- নববর্ষে আতশবাজি বন্ধে কাজ করবে ভ্রাম্যমাণ আদালত
- চাকরিতে আবেদন ফি ৫০-২০০ টাকা করে প্রজ্ঞাপন জারি
- রমজানে সরবরাহে এক কোটি ৯০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ের উদ্যোগ
- ভোর থেকেই শহীদ মিনারে জড়ো হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা
- আজ বিকেলে বৈষম্যবিরোধীদের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’
- খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে বাসায় গেলেন সেনাপ্রধান
- চাকরিতে আবেদন ফি ৫০-২০০ টাকা করে প্রজ্ঞাপন জারি
- আজ বিকেলে বৈষম্যবিরোধীদের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’
- নতুন ভাইরাস এইচএমপিভি, মহামারির শঙ্কা
- রমজানে সরবরাহে এক কোটি ৯০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ের উদ্যোগ
- বিভ্রান্ত না হয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন: তারেক রহমান
- ওয়ালটন কাপ গলফ টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ
- নতুন প্রত্যাশার নবযাত্রা বাংলাদেশের
- ভোটের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে: তারেক রহমান
- আগামীতে বাণিজ্য মেলা হবে দেশজুড়ে : প্রধান উপদেষ্টা
- আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের রেডিসন ব্লু ঢাকার সাথে চুক্তি স্বাক্ষর
- মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
- সিলেটকে হারিয়ে রংপুরের টানা দ্বিতীয় জয়
- রাজধানীতে আতশবাজি ফোটাতে গিয়ে শিশুসহ দগ্ধ ৫
- ঢাকায় থার্টি ফার্স্ট নাইটে দগ্ধ ২ শিশু
- ব্যাংক ও পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
- ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
- ডিসেম্বরে এল রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স
- শেখ হাসিনাকে ফেরতের প্রশ্নে এখনও নিরুত্তর ভারত
- আরও বাজারমুখী হলো ডলারের দাম
- আজ রাজবাড়ী যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
- নববর্ষে আতশবাজি বন্ধে কাজ করবে ভ্রাম্যমাণ আদালত
- পুলিশের ৪৮ কর্মকর্তার পদায়ন
- আজ থেকে ২২ দিন সব কোচিং সেন্টার বন্ধ
- পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক