দেশে দেশে বর্ষবরণের ইতিহাসসৈয়দা কানিজ সুলতানা
প্রাককথন : নববর্ষ উদযাপন হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো উৎসবগুলোর একটি। এটি প্রথম ব্যাবিলনে প্রায় চার হাজার বছর আগে উদযাপিত হয়। যীশু খ্রিষ্টের জন্মের প্রায় ২০০০ বছর আগে বসন্ত শুরুর পর যে-দিন আকাশে প্রথম নতুন চাঁদ উঠত সে দিনকে নতুন বর্ষের প্রথম দিন হিসেবে গণ্য করা হতো। বসন্তকে নতুন বছর হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণ ছিল, এ সময় মৌসুমের প্রথম ফসল বোনা হতো। ব্যাবিলনে নতুন বর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠান ১১ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হতো। এ সময় প্রতিদিনই আলাদা রীতি অনুযায়ী অনুষ্ঠানসূচি তৈরী করা হতো। যার ফলে ১১ দিন ১১টি ভিন্ন ভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন বর্ষকে বরণ করে নেওয়া হতো।
বাঙালীর বর্ষবরণ : নতুন বছর নব আনন্দ নিয়ে হাজির হয় প্রতিটি বাঙালী পরিবারে। বাঙালী সংস্কৃতির ইতিহাস হাজার বছরের। সমৃদ্ধ এই সংস্কৃতির সাথে বর্ষবরণ উৎসব ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বর্ষবরণ উৎসব কবে থেকে কীভাবে শুরু হয়েছে তা নিয়ে বিভিন্ন মত এবং ঘটনা জানা যায়। এর মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচলিত একটি ধারণা হল মুঘল সম্রাট আকবর প্রথম বঙ্গাব্দের প্রচলন করেন। সম্রাট আকবরের সময় রাজকার্যে সেই সময় হিজরী সনের প্রবর্তন ছিল। ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পরও হিজরীপঞ্জিকা অনুসারে কৃষিপণ্যের খাজনা আদায় করা হতো। হিজরী সন চাঁদের উপর নির্ভরশীল থাকায় তা কৃষি ফলনের সাথে মিলত না। যার ফলে অসময়ে কৃষকদেরকে খাজনা পরিশোধ করতে বাধ্য করা হতো। সুষ্ঠুভাবে খাজনা আদায়ের লক্ষ্যেই মুঘল সম্রাট আকবর সেই সময় এলাহী সনের প্রচলন করেন। সম্রাটের আদেশ অনুযায়ী জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ ফতেহউল্লাহ সিরাজী সৌর সন এবং আরবী হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন সনের নিয়ম নির্মাণ করেন।
১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১০ মার্চ বা ১১ মার্চ থেকে নতুন সন গণনা শুরু হয়। এলাহী সন হলেও প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলী সন। পরে এটি বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়। ১৫৫৬ সালে হিজরী সন ছিল ৯৬৩। বাংলা সনও তখন ৯৬৩ থেকে যাত্রা শুরু করে। বঙ্গাব্দ শুরু হলেও এখন যেভাবে মাসের সাতটি দিন প্রচলিত তখন তেমনটা ছিল না। সম্রাট আকবরের সময় মাসের প্রত্যেকটি দিনের জন্য পৃথক নাম ছিল। পরবর্তীকালে সম্রাট শাহজাহান একজন বিদেশী পণ্ডিতদের সাহায্য নিয়ে সাপ্তাহিক পদ্ধতিতে দিনের নামকরণ পদ্ধতির প্রচলন করেন। বঙ্গাব্দের সাথে খ্রিষ্টীয় সনের দিন-তারিখের পার্থক্যের কারণে সাধারণ মানুষের পক্ষে উভয় সন গণনায় সমস্যা হতো।
এ জন্য ১৯৬৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমীর তত্ত্বাবধায়নে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে বঙ্গাব্দ সংস্কার কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৪ এপ্রিলকে স্থায়ীভাবে বাংলা নববর্ষ শুরুর দিন হিসাবে ঠিক করা হয়। আবার বিভিন্ন নক্ষত্রের নাম থেকে বাংলা সনের মাসগুলোর নামকরণ করা হয়েছে। ধারণা করা হয় যে, বিশাখা থেকে বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠা থেকে জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়া থেকে আষাঢ়, শ্রবণা থেকে শ্রাবণ, ভাদ্রপদা থেকে ভাদ্র, অশ্বিনী থেকে আশ্বিন, কৃত্তিকা থেকে কার্তিক, অগ্রাইহন থেকে অগ্রহায়ণ, পুষ্যা থেকে পৌষ, মঘা থেকে মাঘ, ফল্গুনী থেকে ফাল্গুন এবং চিত্রা থেকে চৈত্র মাসের নামকরণ হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নববর্ষ পালনের রীতিনীতি কিন্তু এক নয়। কিছু কিছু মিল থাকলেও নববর্ষের অনুষ্ঠানের সঙ্গে যোগ হয় দেশীয় ঐতিহ্য। নববর্ষের কিছু প্রথা আছে অবাক করা এবং বেশ মজার।
নানা দেশে বৈচিত্র্যময় বর্ষবরণ : বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নববর্ষ পালনের রীতিনীতি কিন্তু এক নয়। কিছু কিছু মিল থাকলেও নববর্ষের অনুষ্ঠানের সাথে যোগ হয় দেশীয় ঐতিহ্য। নববর্ষের কিছু প্রথা আছে অবাক করা এবং মজার।
গ্রেগোরিয়ান নববর্ষ : যে সব দেশে গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা হয়, তারা সাধারণত নববর্ষ পয়লা জানুয়ারিতে পালন করে থাকে। ঐতিহাসিকভাবে, রোমান ক্যালেন্ডারে নতুন বর্ষ শুরু হতো ১ মার্চ থেকে। এর প্রভাব বছরের কয়েকটা মাসের ওপর দেখা যায়। ল্যাটিন ভাষায় সেপ্টেম্বরের অর্থ হচ্ছে সাত, অক্টোবর আট, নভেম্বর নয় এবং ডিসেম্বর দশ। সেই সময় রোমান সরকারের নতুন অধিবেশন শুরু হতো জানুয়ারি মাস থেকে। জুলিয়াস সিজার খ্রিষ্টপূর্ব ৪৭ সালে এ ক্যালেন্ডারে পরিবর্তন ঘটিয়ে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের সৃষ্টি করেন। এতে খ্রিষ্টপূর্ব ৪৪ সালে মার্ক এন্টোনির কনসুল এক দফা পরিবর্তন ঘটানোর পর খ্রিষ্টপূর্ব ৮ সালে এম্পরর অপাসটাস সিজার আরেক দফা পরিবর্তন ঘটান। সর্বশেষ পোপ ১৩তম গ্রেগোরী ১৫৮২ সালে এই ক্যালেন্ডারে পরিবর্তন ঘটিয়ে এর বর্তমান কাঠামোতে নিয়ে আসেন। এই পরিবর্তিত ক্যালেন্ডারে নতুন বর্ষের শুরু হয় ১ জানুয়ারি। জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনটি মধ্যযুগে ধর্মীয় দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
বিংশ শতাব্দীতে বিশ্বজুড়ে পশ্চিমা সভ্যতার সম্প্রসারণের কারণে এখন ১ জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাপী নববর্ষ পালন করা হয়। সাম্প্রতিককালে নববর্ষ খুবই জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করা হয়। পৃথিবীর সব বড় বড় শহরে নববর্ষের আগ মুহূর্তে বিশাল সব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সব অনুষ্ঠানে আতশবাজী ফাটিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়। বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে নববর্ষ উদযাপন করা হয়।
যুক্তরাজ্য :যুক্তরাজ্যে নতুন বছরে মধ্যরাতের পর যে পুরুষ প্রথম বাড়িতে পা দেয়, বলা হয় সে বাড়িতে সৌভাগ্য নিয়ে আসে। এ সময় পুরুষরা নিজেদের বাড়িতে টাকা, রুটি, কয়লা এবং অন্যান্য সামগ্রী উপহার হিসেবে নিয়ে আসে, যাতে করে সারা বছর পরিবারের সদস্যদের এ সব জিনিসের কমতি না হয়। মধ্যরাতের পর বাড়িতে পা দেওয়া প্রথম মানুষটি অবশ্যই সোনালী বা লাল চুলওয়ালা এবং মহিলা হতে পারবে না। বলা হয়, এতে করে বাড়িতে দুর্ভাগ্য আসে। লন্ডনে নববর্ষের আগ মুহূর্তে ট্রাফালগার স্কোয়ার এবং পিকাডেলি সার্কাসে বিশাল পরিসরে মানুষ সমবেত হয়। মধ্যরাতে বিগবেনের ধ্বনি শুনে এরা একত্রে নববর্ষকে বরণ করে নেয়।
যুক্তরাষ্ট্র :যুক্তরাষ্ট্রের নববর্ষ উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দু হয় টাইমস স্কোয়ার। এখানে নতুন বছর শুরু হওয়ার ১০ সেকেন্ড আগে এক বিশালাকার ক্রিস্টাল বল নেমে নতুন বর্ষের আগমনের কাউন্টডাউন শুরু করে। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় নিউ-ইয়ার পার্টি যাতে প্রায় ৩০ লাখ লোক অংশগ্রহণ করে।
অস্ট্রেলিয়া :সিডনিতে নববর্ষ উপলক্ষে প্রায় ৮০ হাজার আতশবাজী ফোটানো হয় যা ১৫ লাখ লোক উপভোগ করে।
ফ্রান্স : ফ্রান্সে নববর্ষের দিনটিকে জউর দে এটরের্নস বলে ডাকা হয়। এখানে নববর্ষ উদযাপন শুরু হয় ১ জানুয়ারি, যখন একজন অন্য জনকে বন্নে আনেস বলে অভিবাদন জানায়। এখানে নববর্ষ উদযাপন ছয় দিন ধরে চলে। এ সময় আইফেল টাওয়ারের পাশে আতশবাজী ফাটিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হয়। ফরাসীরা থার্টি ফার্স্ট নাইটকে লা সেইন্ট-সিলভেস্ট্রে বলে ডাকে। এ দিন এক বিশেষ ভোজের আয়োজন করা হয়, যার নাম লে রেভেলিয়ন ডি সেইন্ট সিলভেস্ট্রে। তখন ভালো ভালো খাবার যেমন— প্যানকেক আর হাঁস রান্না হয়। এ ছাড়াও এ দিন প্যালে ডে রইস নামের এক ধরনের কেক বানানো হয়। ফরাসীরা পৃথিবীর অন্য অনেক জায়গার মতোই বিশ্বাস করে, এ দিন ভালো খাবার দিয়ে নৈশভোজ করলে পরিবারের সবার জন্য নতুন বছরটা ভালো কাটবে।
হাঙ্গেরী :হাঙ্গেরীতে নববর্ষের দিন কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। এই কুশপুত্তলিকাকে ‘জ্যাক স্ট্র’ বলা হয়। আগের বছরে ঘটে যাওয়া সব দুর্ঘটনা এবং খারাপ কাজের প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়। এই কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে দুর্ভাগ্যকে ছুড়ে ফেলা হয়।
স্কটল্যান্ড :এ সময় সবাই নিজেদের ঘরবাড়ি পরিষ্কার করে নতুন বছরের আগমনের প্রস্তুতি নেয়। এ সময় বাড়ি পাক-পবিত্র রাখার জন্য জুনিপার গাছের ডাল পোড়ানো হয়, নববর্ষের দিন যে মানুষ প্রথম বাড়িতে পা রাখে সে-ই ওই বছর বাড়ির সদস্যদের ভাগ্য নির্ধারণ করে। স্কটল্যান্ডের এডিনবরাইয়ে এ সময় যে নববর্ষ উৎসব হয় তা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নববর্ষ উৎসবগুলোর মধ্যে একটি। চার দিনব্যাপী চলা এই অনুষ্ঠানে বিশ্বের সব প্রান্ত থেকে মানুষ আসে।
রাশিয়া :গ্রান্ডাফাডার ফ্রস্ট, যে সান্টাক্লসের লালের পরিবর্তে নীল সুট পরে, এ দিন শিশুদের মধ্যে খেলনা বিতরণ করে।
জার্মানি : এখানে মানুষ ঠাণ্ডা পানির মধ্যে তরল সিসার টুকরা ঠেলে দেয়। সিসার টুকরা যে রকম আকার বানায় তা দেখে ভবিষ্যৎ নির্ণয় করা হয়। নববর্ষের আগে খাওয়া খাবারের কিছু অংশ মধ্যরাতের জন্য রেখে দেওয়া হয়, যাতে করে নতুন বছর ঘরে পর্যাপ্ত খাবার থাকে।
চীন : পূর্ণিমার শুরুর দিন থেকে শুক্লপক্ষের পনের দিন উৎসব চলে নববর্ষ উপলক্ষে। চীনারা নববর্ষ পালন করে প্রাচীন প্রথা অনুযায়ী। নববর্ষের প্রথম দিনে তারা স্বর্গ ও পৃথিবীর দেবতাকে তুষ্ট করে নানা উপাসনা-উপাচারে, দ্বিতীয় দিন পূর্ব পুরুষের মঙ্গল কামনা করা হয়। ‘ওয়েইলু’ নামক বিশেষ ভোজনের আয়োজন করা হয় এ-দিন। পক্ষব্যাপী আলাদা আলাদা অনুষ্ঠানের মধ্যে সপ্তম দিনটি পালিত হয় ‘শস্য দিবস’ নামে।
জাপান :জাপানে নববর্ষের সময় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। খারাপ আত্মাকে দূরে রাখার জন্য এ সময় বাড়ির বাইরে দড়ি দিয়ে খড়ের টুকরো ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এটাকে তারা সুখ এবং সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে দেখে। নতুন বর্ষ শুরু হওয়ার সাথে সাথে জাপানীরা হাসা শুরু করে, বলা হয় এতে করে নতুন বর্ষ সৌভাগ্য নিয়ে আসে।
ভিয়েতনাম :ভিয়েতনামে নববর্ষকে সংক্ষেপে ‘টেট’ শব্দে অভিহিত করা হয়। ভিয়েতনামীদের বিশ্বাস, ঈশ্বর ঘরে ঘরে বাস করেন। নববর্ষে বেড়াতে যান স্বর্গে। সেখানে বসে মর্ত্যরে লোক কী করছে, তা খতিয়ে দেখেন। বলা হয়, কার্প মাছের পিঠে চড়ে ঈশ্বর ভ্রমণেও বের হন। এ বিশ্বাসে অনেকে নদী বা পুকুরে কার্প মাছ ছাড়েন।
আর্জেন্টিনা :আর্জেন্টিনায় নববর্ষের আগের দিন রাত্রে পরিবারের সব সদস্য একত্রে খাবার টেবিলে বসে আহার করে। ভোর পর্যন্ত চলে নানা অনুষ্ঠান। নববর্ষের প্রথম দিন নদী বা পুকুরে সাঁতার কেটে তারা নববর্ষ উদযাপন করে।
ব্রাজিল :ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো সমুদ্রসৈকতে নববর্ষের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠানটি হয়। এর অন্যতম আকর্ষণ চোখ ধাঁধানো আতশবাজির প্রদর্শনী। এ দিন অনেক লোকই সাদা পোশাক পরিধান করে। সমুদ্রে সাতটি ডুব দিলে এবং সাতটি ফুল ছুড়ে দিয়ে তারা মনে করে বছরটি খুব ভালো কাটবে। এ উৎসবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় দুই মিলিয়ন পর্যটক যোগ দেয়।
কোরিয়া :কোরিয়াতে নববর্ষ শুরুর সময় কেউ ঘুমায় না। এ সময় ঘুমালে নাকি চোখের ভ্রূ সাদা হয়ে যায়! রাত ১২টা বাজার সাথে সাথে টিভিতে ৩৩ বার ঘণ্টা বাজানো হয়। কোরিয়ার ৩৩ বীরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এটি করা হয়। কোরিয়াতে প্রায় সবাই সূর্যোদয় দেখে। সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়ার সময় একজন আরেকজনকে শুভেচ্ছা জানায়।
মেক্সিকো : মেক্সিকোতেও ১২টা বাজার সাথে সাথে ১২ বার ঘণ্টা বাজানো হয়। এ সময় প্রতি ঘণ্টাধ্বনির সাথে একটি করে আঙুর খাওয়া হয়। তারা বিশ্বাস করে এ সময় যা কামনা করা হয়, তাই পূরণ হয়।
শেষ কথা : নববর্ষে মানুষের চিরন্তন অভিলাষ শান্তি ও স্বস্তিপূর্ণ আরেকটি বছর। এদিনে অতীতের দুঃখ-গ্লানি ধুয়ে মুছে নতুনভাবে জীবন শুরু করার স্বপ্ন রচনা করেন সবাই। সেই প্রাণাবেগই যেন ধরা পড়ে নববর্ষ পালনের বহুমাত্রিক আয়োজনে। সব কিছুর মূলে সেই একই বিষয়-শান্তিপূর্ণ জীবন আর সমৃদ্ধ আগামী। সেই আকাঙ্ক্ষায় নতুনের কেতন উড়িয়ে আসুক আবার পহেলা বৈশাখ। সকল প্রাণে উচ্চকিত হোক সুন্দরের উদ্বেলিত সংগীত।
লেখিকা : প্রাবন্ধিক
পাঠকের মতামত:
- শেষ ম্যাচে উইকেট ছাড়াই থেকে আইপিএল মিশন শেষ করলেন মুস্তাফিজ
- ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ হামলায় নিহত ৫
- চুয়াডাঙ্গায় ৭০ বিঘা পানের বরজে অগ্নিকাণ্ড
- প্রচন্ড মহাসড়কে চীনে ২৪ জন নিহত
- ইসরায়লের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করছে কলম্বিয়া
- এশিয়ার সেরা ৩০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নেই বুয়েট- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে
- মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে রাতেই তিন মামলা
- "মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে"
- দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আজ
- এবার ঢাবির থেকে এগিয়ে এনএসইউ
- মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার
- ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে আরও ছয় দেশে
- নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি দেখতে আ.লীগকে বিজেপির আমন্ত্রণ
- এপ্রিল মাসে প্রবাসী আয় ১৯০ কোটি ৮০ মার্কিন ডলার
- শুক্রবার প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি
- "চিকিৎসকদের কোনো প্রকার অবহেলা সহ্য করা হবে না"
- বিএনপির হাতে শ্রমিকের রক্তের দাগ: ওবায়দুল কাদের
- বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠবেই: মির্জা ফখরুল
- জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এনএসইউ'ই সুনাম ধরে রেখেছে
- ইসলামে ন্যায্য মজুরি শ্রমিকের অধিকার
- সময়ের ঘোড়দৌড় ও একজন সাদা শ্রমিক
- যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় কেন পহেলা মে শ্রমিক দিবস নয়
- মে দিবস ও বাংলাদেশের শ্রমিক শ্রেণি
- পাল্টে যাওয়া শ্রমিক শ্রেণি: ভাবতে হবে নতুন করে
- রোদে পোড়া শ্রমিক জানে না মে দিবস কি
- কেন এতো মহান মে দিবস
- রক্তদাতারা মানবিক গুণের অধিকারী: কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা
- ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ প্রকাশ
- কেনিয়ায় বন্যায় আরও ৬৬ জনের মৃত্যু
- ভারতের কাছে বৃষ্টি আইনে ১৯ রানে হারলো বাংলাদেশ
- আবারও জ্বালানি তেলের দাম বাড়লো
- বিশ্বের সব মেহনতি মানুষকে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা
- সরকার শ্রমিকের দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে: রাষ্ট্রপতি
- সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হবে
- আজ মহান মে দিবস
- আজ রাত থেকে তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে
- থাইল্যান্ড সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী
- ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে রাজী ইউরোপীয় ইউনিয়ন
- রেকর্ড তাপমাত্রা যশোরে ৪৩.৮
- চলমান হিট ওয়েভে স্বস্তি দিবে মিনিস্টার ফ্যান
- জি কে শামীমের আইনজীবীকে শাস্তি দিল আদালত
- যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীদের হামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তিন কর্মকর্তা নিহত
- লেভানদোভস্কির গোলে বার্সার জয়
- নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশণা
- যেসব জেলায় স্কুল- কলেজ বন্ধ আজ
- "শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে বিএনপি সংকল্পবদ্ধ"
- দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ
- ৭ বছরে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা বেড়েছে মহাখালী ও গুলিস্তানে
- সকালে ৩৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ফিল ছিল ৪২
- দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ
- চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস
- ইসরায়েলের হামাসের রকেট হামলা, গাজায় সেনা পাঠাবে যুক্তরাষ্ট
- সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ
- বিএনপি সিম্প্যাথি কার্ড খেলার অপচেষ্টা করছে: ওবায়দুল কাদের
- স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ
- হজের খরচ আগামী বছর কমে আসবে: ধর্মমন্ত্রী
- বাংলাদেশ থেকে আম নিতে চায় চীন: কৃষিমন্ত্রী
- হাইকোর্টের আদেশ আপিল বিভাগে নিয়ে যাবো: শিক্ষামন্ত্রী
- টানা ছয় দফা কমলো স্বর্ণের দাম
- তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় পানির সংকট
- নাভানা ফার্মার মুনাফা বেড়েছে
- মুনাফা থেকে লোকসানে আইসিবি
- গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ পেলো ওয়ালটন
- বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড এর ব্যবসায়িক সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠিত
- ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেল ইসলামী ব্যাংক
- ওয়ালটন এসি কিনে মিলিয়নিয়ার গাজীপুরের ব্যবসায়ী আব্দুল আলী
- ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৬৬ ফিলিস্তিনি নিহত
- রাশিয়ার হামলা ইউক্রেনকে পেছেনে ঠেলে দিচ্ছে: সেনাপ্রধান
- দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে
- হিট অফিসারের পরামর্শে রিকশাচালকদের আধা লিটার পানি দিচ্ছে ডিএনসিসি
- ঋণের পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশের পরামর্শ আইএমএফের
- ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১০ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকার বেশি
- মার্কিন নির্বাচনে চীন হস্তক্ষেপ করতে চাইছে: ব্লিঙ্কেন
- ফের সারাদেশে হিট এলার্ট জারি
- যুক্তরাষ্ট্র গেলেন বিএনপি নেতা আমির খসরু
- কী করছেন হিট অফিসার
- তাপপ্রবাহের সড়কে কৃত্তিম বৃষ্টি
- এসির টেম্পারেচার কত হলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো
- বিনিয়োগকারী সংগঠনের নামে শেয়ারবাজারে দীর্ঘদিন চাঁদাবাজী,ধরা পড়লো তিনজন
- "পরিষ্কার ধারণা ছিলো, বিএনপির আন্দোলন সফল হবে না"
- জিম্মিকে ফিরিয়ে নিতে ১৮ দেশের বিবৃতি, যে বার্তা দিল হামাস
- দাম কমেছে ব্রয়লার মুরগির, মাছের বাজার চড়া
- রোহিত- কোহলির অবসর নিয়ে যা বললেন যুবরাজ
- হিট অফিসারের পরামর্শে রিকশাচালকদের আধা লিটার পানি দিচ্ছে ডিএনসিসি
- বাংলাদেশ- ভারত সিরিজ নিয়ে বিসিবির সুখবর
- বিএনপি সিম্প্যাথি কার্ড খেলার অপচেষ্টা করছে: ওবায়দুল কাদের
- বিতর্কিত ক্যাচের ছবি দিয়ে যা বোঝালেন মুশফিক
- তীব্র তাপদাহে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় নতুন নির্দেশনা
- ওলামা দলের ৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা
- তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে, মে মাসের শুরুতে হতে পারে বৃষ্টি
- ৭ বছরে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা বেড়েছে মহাখালী ও গুলিস্তানে
- ওমরা পালনে ইচ্ছুক মুসল্লিদের জন্য সৌদি আরবের সুখবর
- ইসরাইলকে থামাতে পারে একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র: মাহমুদ আব্বাস
- থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
- আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের তাপদাহের খবর
- চলতি বছর বিশ্বে ৪০ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে মারা যেতে পারে