thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১,  ২৬ জমাদিউস সানি 1446

৩০ বছর বন্দি!

২০১৩ নভেম্বর ২২ ১০:১৩:৩৬
৩০ বছর বন্দি!

দিরিপোর্ট ডেস্ক : ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্দি থাকার পর দক্ষিণ লন্ডনের একটি বাড়ি থেকে তিন নারীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের বন্দি করে রাখার অভিযোগে ব্রিটিশ পুলিশ এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছে।

ওই নারীদের মধ্যে একজনের বয়স ৩০ বছর। ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত ওই নারী জন্ম থেকেই বন্দিজীবন কাটাছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। তিনি এই বাড়িতেই জন্মগ্রহণ করেছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তা কেভিন হাইল্যান্ড।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারীদের মধ্যে একজনের বয়স ৫৭ বছর। তিনি আয়ারল্যান্ডের অধিবাসী। অন্যজনের বয়স ৬৯ বছর। তিনি মালয়েশিয়ার অধিবাসী।

ফ্রিডম চ্যারিটি নামে একটি সাহায্য সংস্থার কাছে ওই নারীদের একজন ফোন করে জানান, তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটকে রাখা হয়েছে। গত মাসে ফ্রিডম চ্যারিটি পুলিশকে বিষয়টি জানান। ২৫ অক্টোবর তাদের ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার করার পর তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফ্রিডম চ্যারিটি তাদের দেখভাল করছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এদিকে, গ্রেফতার হওয়া ওই দম্পতির দুজনেরই বয়স ৬৭ বছর বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। পরে তারা জামিনে মুক্তি পেয়েছে।

অন্যদিকে, ওই নারীদের পরস্পরের সম্পর্ক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

কেভিন হাইল্যান্ড জানান, ‘এর আগে আমরা ১০ বছর আটকে রাখার কয়েকটি ঘটনা দেখেছি। কিন্তু এতো বেশি সময় ধরে আটকে রাখার ঘটনা আমাদের জানা মতে এই প্রথম।’

ওই নারীরা মানসিকভাবে ভীষণ বিপর্যস্ত ছিলেন। তাই ১৮ অক্টোবর তাদের কাছ থেকে ফ্রিডম চ্যারিটি প্রথমে ফোন পেলেও সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করতে যায়নি পুলিশ। চ্যারিটি প্রথমে ওই নারীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে। পরে তাদের কিছুটা সহজ করার পর ২৫ তারিখে তাদের উদ্ধার করা হয়।

তবে, ওই নারীরা কিছু স্বাধীনতাও ভোগ করতেন বলে জানান কেভিন। তিনি বলেন, তদন্তে তাদের ওপর যৌন নির্যাতনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে ব্রিটেনের মানব পাচার বিষয়ক বিশেষ দূত অ্যানথনি স্টিন জানান, তিনি এ ঘটনায় মোটেই অবাক হননি। এটা দেশটির দাসত্ব প্রথার একটি উদাহরণ মাত্র।

তিনি বলেন, ‘সঠিক সংখ্যা না জানলেও আমাদের আশপাশে এ রকম অনেক ঘটনা ঘটছে।’

তিনি আরো বলেন, ব্রিটেনের যৌনপল্লীগুলোতেও অনেক মানুষ এ ধরনের দাসজীবন কাটাচ্ছে। দেনার দায়ে ডুবে থাকার কারণেই তারা ইচ্ছার বিরুদ্ধে বন্দি থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। সূত্র: বিবিসি, সিএনএন।

(দিরিপোর্ট/কেএন/জেএম/নভেম্বর ২২, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর