thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৩ জমাদিউল আউয়াল 1446

চূড়ান্ত হচ্ছে জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল

২০১৩ নভেম্বর ২৩ ১৬:৫১:৪৩
চূড়ান্ত হচ্ছে জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল

জোসনা জামান, দিরিপোর্ট : জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল চূড়ান্ত হচ্ছে ডিসেম্বরে। প্রতি বছর এ খাতে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হলেও কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না।

এ প্রেক্ষিতে প্রথমবারের মতো সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল তৈরিতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যেই ধারণাপত্র তৈরির কাজ শেষ করেছে পরিকল্পনা কমিশন।

সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলে নতুনভাবে যুক্ত হচ্ছে নগর-দারিদ্র্য।

এ বিষয়ে কৌশলপত্র তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম দিরিপোর্টকে বলেন, যেকোনো কারণেই হোক এতোদিন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে নগর-দারিদ্র্য উপেক্ষিত থেকেছে। কিন্তু এখন সময় এসেছে সেই বৈষম্য দূর করার। এই বৈষম্য দূরীকরণে এবার সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলে নগর-দারিদ্র্য যুক্ত করা হচ্ছে। বিশেষ করে বস্তি এলাকায় এ কর্মসূচিগুলোর অনুপ্রবেশ করা দরকার। এক্ষেত্রে শুধু চাল বা নগদ টাকা না দিয়ে বস্তির নারীদের প্রশিক্ষণসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ক্ষমতায়ন ও শিশুদের লেখাপড়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চলতি মাসেই খসড়া কৌশল নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সঙ্গে বৈঠক করা হবে। এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়ে এটি চূড়ান্ত করা হবে। আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যে কৌশলপত্রটি চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করবে।

সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ সূত্র জানায়, বর্তমানে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় পরিচালিত ভিজিডি কর্মসূচির উপকারভোগীদের মধ্যে প্রায় ২৭ শতাংশ দরিদ্র নয়। প্রায় ১১ শতাংশ অংশগ্রহণকারী প্রাথমিক শিক্ষা বৃত্তি কর্মসূচির একটি শর্তও পূরণ করে না। কেউই কমপক্ষে তিনটি শর্ত পূরণ করেনি।

প্রায় ৪৭ শতাংশ প্রাথমিক শিক্ষা বৃত্তি কর্মসূচির উপকারভোগী নয় এবং তাদেরকে কর্মসূচিতে সঠিকভাবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। এরকমভাবে উপকারভোগীদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করা হয়নি।

সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় পরিবীক্ষণ কমিটির সভায় একটি সুপারিশ উপস্থাপনকালে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুফল সমানভাবে না মেলার উদাহরণ হিসেবে এসব বিষয় তুলে ধরে সংস্থাটি।

এছাড়া জিইডি বলছে বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির মতো বড় কর্মসূচিগুলোতে স্থানীয় পর্যায়ে প্রায় এক-চতুর্থাংশ ক্ষেত্রে অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়েছে। মেয়েদের বৃত্তি কর্মসূচির ক্ষেত্রে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বরাদ্দকৃত বাজেট উপকারভোগীদের কাছে পৌছে না।

জিইডির মতে সরকারী জরিপের কথা উল্লেখ করে বলেছে, খানা আয়-ব্যয় জরিপের বিশ্লেষণে দেখা গেছে প্রায় ১১ শতাংশ এর বেশি পরিবার তিনটি কর্মসূচির মধ্যে অন্তত দুটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিল। অন্যদিকে দেখা যায় যে, শহর এলাকায় নিরাপত্তা বেষ্টনী বিস্তৃতি নিম্ন পর্যায়েই থাকছে।

সূত্র জানায়, বর্তমান সরকার দায়িত্বগ্রহণের পর সামাজিক নিরাপত্তার গুরুত্ব বিবেচনা করে ক্রমাগতভাবে এ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে। যেমন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৮৪৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল। যা ছিল সরকারী ব্যয়ের প্রায় ১৬ শতাংশ। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১০-১১ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ২০ হাজার ৮৯৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। যা জিডিপির ২ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ২০১১-১২ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ২২ হাজার ৫৫৬ কোটি ৫ লাখ টাকা।

(দি রিপোর্ট/জেজে/এমএইচও/এমডি/নভেম্বর ২৩, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর