thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৩ জমাদিউল আউয়াল 1446

‘বাংলাদেশে মিলিটারি ক্যু-র সম্ভাবনা নেই’

২০১৩ নভেম্বর ২৪ ১৮:২০:৪৮
‘বাংলাদেশে মিলিটারি ক্যু-র সম্ভাবনা নেই’

দিরিপোর্ট ডেস্ক : সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বাংলাদেশে ‘মিলিটারি ক্যু’র সম্ভাবনা নেই।ভারতের কলকাতা থেকে প্রকাশিত দ্য টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয় বলেন, সুশীল সমাজের একটি অংশ ক্ষমতায় যেতে চান কিন্তু তারা নির্বাচনে জিততে পারবে না। বরং ক্ষমতায় যেতে হলে তাদের সেনাবাহিনীর সমর্থন নিতে হবে।

এক সপ্তাহ আগে নেওয়া ওই সাক্ষাৎকারটি রবিবার পত্রিকাটির প্রিন্ট এডিশনে প্রকাশিত হয়। সাক্ষাৎকারটিতে মূলত ছয়টি বিষয় আলোচনায় এসেছে।

দিরিপোর্টের পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটির চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো :

ক্যুর সম্ভাবনা

জয় বলেন, সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চাইলে বাংলাদেশের মানুষ তা সহ্য করবে না। আমাদের সরকার এতো উন্নয়ন করেছে যে জনগণ যেকোন ধরনের হস্তক্ষেপই প্রত্যাখান করবে। আর তা ছাড়া আপনাকে সেনাবাহিনীর মানসিক অবস্থাটাও দেখতে হবে। এই মূহুর্তে, সেনাবাহিনীর কোন কর্মকর্তারই ক্ষমতা যাওয়ার ক্ষুধা নেই।

তা ছাড়া যেকোন ধরনের ক্যুর চেষ্টা করা হলে তাতে রক্তপাতের সম্ভাবনা থাকবে। তাই আমি মনে করি না যে, সেনাবাহিনীর কোন কর্মকর্তা এই ঝুঁকি নেবে। আমি আপনাকে এটা বলতে পারি যে, শেখ হাসিনা ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না। আমাদের মৃতদেহের উপর দিয়ে ক্ষমতা দখল করতে হবে।

হরতালের রাজনীতি

হরতাল ভাল কিছু নয়। আসল কথা হচ্ছে, হরতালের প্রয়োজনটা কী? এর কোন যৌক্তিক কারণ নেই। আমাদের সময় আমরা ৬০০০ নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছি। সেগুলো সবই ছিল স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ, যা বিএনপির আমলে কখনই হয়নি।

হরতালের সময় পেট্রোল এবং গান পাউডার দিয়ে মানুষকে ‘ঠান্ডা মাথায়’ খুন করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের মানুষ আর হরতালকে সমর্থন করছে না। তাই সাধারণ মানুষ হরতালের সমর্থনে রাস্তায় নামছে না, এমনকি বিএনপির নেতাকর্মীরা পর্যন্ত রাস্তায় নামছে না।

বিরোধীদের উপর দমন

১১ই নভেম্বর বিএনপির হরতালকে সামনে রেখে দলটির পাঁচজন নেতাকে গ্রেফতারের বিষয়ে জয় বলেন, বিরোধীরা প্রথমে আওয়ামী লীগকে ভয় দেখাতে চেয়েছিল, যাতে তারা নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে না পারে। তবে তারা যাতে মানুষকে আর ভয় দেখাতে না পারে সেজন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা হরতালের সময় অনেক পরিমাণে বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করেছি। এ সময় রাস্তায় কর্মীদের গ্রেফতার করার পরিবর্তে এর পেছনে যারা অর্থায়ন করছে, তাদের ধরেছি।

নির্বাচনের প্রস্তুতি

জয় বলেন, আমরা আমাদের শাসনামলের সাড়ে চার বছরে কোন ধরনের প্রচারণা চালাইনি। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণার জবাবে সরকারের সাফল্য তুলে ধরি। এই ইতিবাচক প্রচারণার কারণে আমরা সুফল পাই। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণার জরিপে দেখা গেছে, নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আমরা বিএনপির চেয়ে অনেক এগিয়ে আছি।

যেসব খাতে উন্নয়ন হয়েছে

আমাদের সময় সব ক্ষেত্রেই উন্নয়ন হয়েছে। সেটা অর্থনীতি হোক কিংবা আইন-শৃঙ্খলা। আমাদের সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন ১০,০০০ মেগাওয়াট হয়েছে। যেখানে পাঁচবছর আগে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল মাত্র ৩,৫০০ মেগাওয়াট। আমরা ক্ষমতায় আসার পর ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-র সভাপতি আমার কাছে এসেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন বিদ্যুতের অভাবে শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমরা সেই সমস্যার সমাধান করেছি এবং দেশ এখন দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

আমি এখন নির্বাচন নিয়ে ভাবছি। তবে আমি মনে করি আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর মধ্য দিয়ে নির্ধারিত হবে যে আগামী দফায় কে ক্ষমতায় আসবে। যদি কোন উপায়ে বিএনপি ক্ষমতায় চলে আসে তাহলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার ছেলে তারেক রহমানের ক্ষমতার পালাবদল ঘটতে পারে।

(দিরিপোর্ট/আদসি/এসবি/এমডি/নভেম্বর ২৪, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর