thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২১ জমাদিউল আউয়াল 1446

২ ডিসেম্বর ভারত-বাংলাদেশ বৈঠক

১৬ প্রকল্পের মধ্যে সমাপ্ত ৪

২০১৩ নভেম্বর ২৪ ১৯:৩৮:৫৭
১৬ প্রকল্পের মধ্যে সমাপ্ত ৪

জোসনা জামান, দিরিপোর্ট : ভারতীয় ঋণে গৃহীত প্রকল্পগুলোর দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে। ইতোমধ্যে শেষও হয়েছে চারটি। বাকিগুলো বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। অর্থনেতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এছাড়া প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে ২ ডিসেম্বর বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ ও ভারত। শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন ইআরডির অতিরিক্ত সচিব আসিফ উজ জামান এবং ভারতের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম-সচিব (এখনো নাম জানায়নি ভারত)।

এ বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এশিয়া শাখার প্রধান আসিফ উজ জামান দিরিপোর্টকে বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো জটিলতা আছে কিনা সেগুলো খুঁজে দেখা হবে। যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে তাহলে দু-দেশের প্রতিনিধিরা মিলে আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধানের পথ বের করা হবে। তবে প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি খুবই ভাল। তাই খুব বেশি জটিলতা থাকার কথা নয়।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ সূত্র জানায়, পঞ্চমবারের মতো এ দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত থাকবেন। ইতোমধ্যেই তিনটি আলোচ্যসূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা, বাণিজ্যিক চুক্তি হয়েছে এমন প্রকল্পের পণ্য সরবরাহের সময়সীমা (সিডিউল) ও বর্তমান অগ্রগতি এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে যদি কোন সমস্যা থাকে তা নিয়ে আলোচনা করা।

ভারতীয় ঋণের প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কে জানা গেছে, মোট ১৬টি প্রকল্পের মধ্যে ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন কাজ শেষ হয়েছে চারটির। এগুলো হচ্ছে- ডেকার, ডাবল ডেকার ও এসি-নন এসি বাস সরবরাহ। প্রকল্পের আওতায় সবগুলো বাস সরবরাহ করেছে ভারত।

১৬৫ ব্রডগেজ (বিজি) ট্যাংক ওয়াগন সংক্রান্ত প্রকল্পটির আওতায় সবগুলো ওয়াগন সরবরাহ করেছে ভারত। ১০ লোকোমোটিভ সংক্রান্ত প্রকল্পের আওতায় সবগুলো লোকোমোটিভ এসেছে বাংলাদেশে এবং ৮১টি বগিট্যাংক ওয়াগন সংক্রান্ত প্রকল্পটিও সমাপ্ত হয়েছে।

এছাড়া প্রকিউরমেন্ট অব ১৬ লোকোমোটিভ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ছয়টি লোকোমোটিভ এসেছে। বাকি ১০টি প্রতি মাসে দুটি করে সরবরাহ করবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। সে হিসেবে পাঁচ মাসের মধ্যে এটিও শেষ হবে।

অন্যান্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে ১৭০ ফ্লাট ওয়াগন সংক্রান্ত প্রকল্পটি ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে শেষ হবে। এ সময়ের মধ্যে সবগুলো ওয়াগান চলে আসবে বাংলাদেশে। বিএসটিআই শক্তিশালীকরণ প্রকল্পটি শীঘ্রই বাস্তবায়ন হবে। বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর এটি টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাবে।

খুলনা-মংলা পোর্ট সংক্রান্ত প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। দ্বিতীয় ভৈরব ও তিতাস সেতু নির্মাণ সংক্রান্ত প্রকল্পটির জন্য দুটি আলাদা বাণিজ্যিক চুক্তি হয়েছে এবং থার্ড-ফোর্থ লাইনের ডুয়েল গেজ সংক্রান্ত প্রকল্পটির জন্য পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে।

সূত্র জানায়, ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরের সময় ১১ জানুয়ারি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরদিন ১২ জানুয়ারি ৫০ দফা ইশতেহারের ঘোষণা দেওয়া হয়। সেখানে বাংলাদেশকে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় ভারত সরকার। ওই বছরের ৭ আগস্ট ভারতের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পরে ১০০ কোটি ডলারের মধ্যে ২০ কোটি ডলার অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেন ভারতের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী ও বর্তমানে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী।

(দিরিপোর্ট/জেজে/এমএআর/ এমডি/নভেম্বর ২৪, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর

অর্থ ও বাণিজ্য - এর সব খবর