thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মে 24, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ২ জিলকদ  1445

অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্বে থাকবে বর্তমান পর্ষদ

২০১৩ অক্টোবর ২১ ১১:৫২:৪১ ০০০০ 00 ০০ ০০:০০:০০
অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্বে থাকবে বর্তমান পর্ষদ
দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : দুই স্টক এক্সচেঞ্জের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদকে ব্যবস্থাপনা ও মালিকানা পৃথককরণ (ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন) পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন পর্ষদের দায়িত্ব পরিপালনের জন্য পরামর্শ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মতামত চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয় এ পরামর্শ দিয়েছে।

ফলে স্টক এক্সচেঞ্জের অন্তর্বর্তীকালীন পর্ষদ গঠন নিয়ে জটিলতার অবসান হলো।

গত ১৩ অক্টোবর বিকালে বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের কাছে পাঠানো অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অন্তর্বর্তীকালীন পর্ষদ গঠনের বিষয়ে এ পরামর্শ দেওয়া হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

পরবর্তী সময়ে ওই চিঠিটি বিকালেই তাৎক্ষণিকভাবে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে ফ্যাক্স করে বিএসইসি। পরে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাওয়ার সত্যতা জানা গেছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের তারিখ থেকে ৯০ দিন অর্থাৎ নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচন পর্যন্ত পুরনো বা বর্তমান পর্ষদই স্টক এক্সচেঞ্জের দায়িত্ব পরিচালনা করবে।

চিঠিতে আরো বলা হয়, আইন অনুসারে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কিমের শর্ত অনুযায়ী পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সংখ্যা হবে ১৩ জন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র পরিচালক থাকবেন ৭ জন, শেয়াহোল্ডার ৪ জন, ১ জন স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টর এবং ১ জন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) থাকবেন। এ পর্ষদের চেয়ারম্যান হবেন স্বতন্ত্র।

সূত্রে জানা গেছে, স্টক এক্সচেঞ্জের বর্তমান পর্ষদকে অন্তর্বর্তী পর্ষদ হিসেবে দেখানো হবে কি না তা নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। দুই স্টক এক্সচেঞ্জের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ একে অন্তর্বর্তী পর্ষদ হিসেবে চালিয়ে নেওয়ার পক্ষে মত দেয়। কিন্তু বিষয়টি আরো স্পষ্ট করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে মতামত জানতে চেয়ে চিঠি দেয় বিএসইসি।

এ বিষয়ে বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘শুনেছি ১৩ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি এসেছে। দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন পর্ষদের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে চিঠিটি এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছেনি। তাই মন্ত্রণালয় থেকে কি পরামর্শ দিয়েছে সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারছি না।’

উল্লেখ্য, স্টক এক্সচেঞ্জে মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনাকে আলাদা করা বা ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন বাস্তবায়নে চলতি অক্টোবর মাসে বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) করবে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ। ডিএসইর ইজিএম ২৯ অক্টোবর ও সিএসইর ইজিএম ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। ওই ইজিএমে ডিমিউচুয়ালাইজেশন কর্মসূচি, স্টক এক্সচেঞ্জের পরিবর্তিত সংঘ স্মারক ও সংঘবিধি এবং প্রথম পরিচালনা পর্ষদের তালিকা বিশেষ সিদ্ধান্ত হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।

এদিকে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন এক্সচেঞ্জের সনদ পাওয়ার পরবর্তী ২১ দিনের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসই। সে হিসাবে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করবে প্রতিষ্ঠানটি। আর রেজিস্ট্রেশন অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি (আরজেএসসি) থেকে প্রফিটেবল অর্গানাইজেশনে রূপান্তরের সনদ প্রাপ্তির দিন থেকে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কিম চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এক্সচেঞ্জেস ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন-২০১৩-এর ৫ ধারা অনুযায়ী দুই স্টক এক্সচেঞ্জের দাখিল করা ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কিম পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে বিএসইসি। আর একই আইনের ৬ ধারা অনুযায়ী স্কিম চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

পরবর্তী সময়ে ২ অক্টোবর ডিএসই ও ৩ অক্টোবর সিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সভায় বিএসইসির অনুমোদিত ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কিম গৃহীত হয়। আর অনুমোদিত স্কিম স্টক এক্সচেঞ্জ প্রাপ্তির সাত দিনে মধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশ করবে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ। এরই মধ্যে স্কিমটি গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য দেওয়া হয়েছে। পাশপাশি দুটি ইরেজি ও বাংলা দৈনিক পত্রিকায় তা প্রকাশ করতে হবে। ইতোমধ্যে ডিএসই ও সিএসই স্কিম পত্রিকায় প্রকাশ করেছে।

এ বিষয়ে ডিএসইর সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘আমাদের এখন প্রথম কাজ ২৯ অক্টোবর ইজিএমে এক্সচেঞ্জেস ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনের ৮(ক) অনুযায়ী মেমোরেন্ডাম আর্টিকেল শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি নিয়ে পাস করা। পরবর্তী সময়ে পাস করা এ আর্টিকেল রেজিস্ট্রেশন অব জয়েন্ট স্টকে দাখিল করতে হবে। এরপর রেজিস্ট্রেশন অব জয়েন্ট স্টক ডিএসইকে নন প্রফিট অর্গানাইজেশন থেকে প্রফিটেবল অর্গানাইজেশনের রূপান্তরের একটি সার্টিফিকেট বা সনদ দেবে। যে তারিখে জয়েন্ট স্টক সনদ দেবে সেই তারিখেই ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এ সনদ পাওয়ার পর এজিএম ও নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা চিন্তা করছি নতুন পর্ষদের নির্বাচন নভেম্বরের শেষে বা ডিসেম্বরের দু’সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন করবো। আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে এ নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাচ্ছি। রেজিস্ট্রেশন অব জয়েন্ট স্টক থেকে সনদ পাওয়ার পর একটি পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় পর ২১ দিনে মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে। এ লক্ষ্যে পর্ষদ সভা পরবর্তী নোটিশ জারি করা হবে। পরবর্তী সময়ে আরেকটি পর্ষদ সভা করে এজিএমের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।’

এদিকে এ বিষয়ে সিএসইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ সাজিদ হোসেন বলেন, ‘এক্সচেঞ্জেস ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন অনুসারে ইজিএম পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। হতে পারে আমরা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন শেষ করব।’

(দিরিপোর্ট২৪/এনটি/এএস/জেএম/অক্টোবর ২১, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর