thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে 24, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ৮ জিলকদ  1445

ভারতে কর্পোরেট হাউজে আতঙ্ক

২০১৩ নভেম্বর ২৮ ১২:৫৫:৩৩
ভারতে কর্পোরেট হাউজে আতঙ্ক

সুমন মুশাফির, কলকাতা : ভারতের বিভিন্ন কর্পোরেট, মিডিয়া ও ব্যক্তি মালিকানাধীন অফিসে নারী সহকর্মীদের নিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। অফিসের বসরা নিজেদের কক্ষে নারী সহকর্মীদের ডাকতে ভয় পাচ্ছেন। এমনকি নারী সহকর্মীদের সঙ্গে লিফটে চড়তে ইতস্ততবোধ করছেন। সহকর্মীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত তেহেলকা ডটকমের সম্পাদক তরুণ তেজপালের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

তরুণ তেজপালের যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা নিয়ে ২৭ নভেম্বর বুধবার ভারতের সমাজবাদী পার্টির নেতা নরেশ আগরওয়াল ভারতের বেসরকারি সংবাদভিত্তিক টিভি চ্যানেল এনডিটিভিতে এক মন্তব্যে বলেন, কোম্পানিগুলো নারীদের নিতে ভয় পাচ্ছে। এছাড়াও ভারত সরকারের তৈরি সম্প্রতি মহিলা সুরক্ষা আইনের অপব্যবহার করা হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অর্থাৎ তেজপাল ইস্যুতে এমন মন্তব্যের প্রভাবে কর্মক্ষেত্রে নারীদের বলয় ছোট হতে পারে বলে মনে করছেন ভারতের বিভিন্ন মহল।
কারণ, ভারতের সাড়া জাগানো অনুসন্ধানী সাময়িকী তেহেলকা’র 'থিঙ্ক ফেস্টিভ্যাল' বা ‘নতুন চিন্তা করো’ নামের উৎসবের সময়ে গোয়ার একটি হোটেলে নিজ সহকর্মী এক নারী সাংবাদিকের ওপর দুইদফা যৌন নির্যাতন চালিয়েছিলেন বলে প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক তরুণ তেজপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে হোটেলের লিফটে তরুণ তেজপাল যৌন নির্যাতন করেন। তবে ওই নারী সাংবাদিকের করা অভিযোগে লিফটে যৌন নির্যাতনের প্রকৃত রহস্য এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। তরুণ তেজপালের একাধিক বক্তব্য এবং ইমেইল ও ছয় মাসের জন্য সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফার ঘটনায় প্রভাব পড়েছে ভারতের কর্পোরেট দুনিয়া থেকে রাজনৈতিক স্তরে।

যদিও শুরুটা নিঃশব্দে হয়েছে অনেক আগেই। এই প্রসঙ্গে দুটি ঘটনা বলা যেতে পারে, ভারতের সর্বভারতীয় সংবাদ ভিত্তিক একটি টিভি চ্যানেলের কলকাতা ব্যুরো অফিসের প্রধানের বিরুদ্ধে নারী সাংবাদিকের ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে কলকাতার ওই অফিসে দীর্ঘদিন নারী সাংবাদিক নিয়োগ বন্ধ রাখা হয়। অপর একটি টিভি চ্যানেলের জ্যেষ্ঠ সম্পাদকের নামে কয়েক বছর আগের পুরানো ঘনিষ্ঠতা নিয়ে আদালতের যান এক নারী সংবাদকর্মী। পশ্চিমবঙ্গের ধর্ষণ ঘটনাগুলোকে সংবাদ শিরোনামে আনায় জনৈকদের উদ্দেশ্য করে প্রকাশ্যে পশ্চিমবঙ্গের শাসক তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা নাম না নিয়ে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ধর্ষণগুলো আসলে সাজানো ঘটনা। আর যারা ধর্ষণ নিয়ে এত সোচ্চার তাদের ঝাঁপি খুলে দেব কি। অর্থাৎ শাসকের ইচ্ছা অনিচ্ছা অথবা রাজনৈতিক কারণে অনেক ক্ষেত্রে পুরুষ ঘনিষ্ঠ নারীরা ব্যবহৃত হন বুঝে অথবা না বুঝে। আর এসবের মাঝে নারীদের নিয়ে কর্মক্ষেত্রে তৈরি হচ্ছে নতুন সংশয়।

(দ্য রিপোর্ট/এসএম/এইচএসএম/নভেম্বর ২৮, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর