thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২০ জমাদিউল আউয়াল 1446

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে : নিয়োগ পাচ্ছে থাই প্রকৌশল কোম্পানি

২০১৩ অক্টোবর ২১ ১৩:২২:২৪
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে : নিয়োগ পাচ্ছে থাই প্রকৌশল কোম্পানি
দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের জন্য স্বাধীন প্রকৌশলী (ইনডিপেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার) সংস্থা হিসাবে থাইল্যান্ডের থাই এমএম কোম্পানি লিমিটেডকে (নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠান) নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরবর্তী বৈঠকে বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।

সংস্থাটির পেছনে ৫২ কোটি ৮০ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৪ টাকা ব্যয় করতে হবে সরকারকে।

যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবটি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। কমিটি এখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

সেতু বিভাগ জানায়, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ‘ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেড (এফডিইই) এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বাসেক) সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী পাঁচ বছরের জন্য স্বাধীন প্রকৌশলী সংস্থা নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী স্বাধীন প্রকৌশলী সংস্থা নিয়োগের প্রক্রিয়া এগিয়ে গেলেও গত বছরের এপ্রিলে তা থেমে যায়। প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতায় অ্যালাইমেন্ট ও ডিজাইন সংশোধানের প্রয়োজন হওয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত থাকে।

প্রস্তাবের সার-সংক্ষেপে জানা যায়, দরপত্র আহবান করা হলে তিনটি প্রতিষ্ঠান যোগ্য (রেসপন্সিভ) বলে বিবেচিত হয়। এর মধ্যে থাই এমএম কোম্পানি লিমিটেড ৮৬ দশমিক ৫ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষে অবস্থান করে। তাদের দরপ্রস্তাব ছিলো ৪৯ কোটি ৫৬ লাখ ৫২ হাজার ৮০৭ টাকা।

থাই এমএম কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের জন্য খসড়া ‘চুক্তিপত্র’ অনুমোদনের জন্য গত বছরের ৪ এপ্রিল মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠানো হয়। এরপরই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়। প্রকল্পের সংশোধিত অ্যালাইনমেন্ট ও সংশোধিত কনসেশন চুক্তি চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এক্সপ্রেসওয়ের গতিপথ কয়েকবার পরিবর্তনের পর এবার কমলাপুর থেকে মূল পরিকল্পনা সংশোধন করে ঘনবসতিপূর্ণ মানিকনগর-গোলাপবাগ এলাকা পরিহার করা হয়েছে। এখন সায়েদাবাদ হয়ে এক্সপ্রেসওয়েটি মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে যাত্রাবাড়ীর কাছে দুই ভাগে বিভক্ত হবে এবং কুতুবখালীর কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শেষ হবে।

এ অবস্থায় থাই এমএম কোম্পানিকে তাদের প্রস্তাবের বৈধতার মেয়াদ আগামী নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধির অনুরোধ করে সেতু বিভাগ। জবাবে সংস্থাটি ব্রিটিশ পাউন্ড, থাই বাথ ও টাকার সূচক বৃদ্ধির কারণে ৫২ কোটি ৮০ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৪ টাকার সংশোধিত প্রস্তাব পাঠায়। যা আগের প্রস্তাবের তুলনায় ৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেশি।

থাই এমএম কোম্পানি লিমিটেড নেতৃত্বে থাকলেও এর সঙ্গে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মুট ম্যাকডোনাল্ড লিমিটেড এবং নেদারল্যান্ডের ইউরো কনসাল্ট মুট ম্যাকডোনাল্ড জেভি।

রাজধানীর যানজট নিরসনে ২০০৯ সালে ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। প্রায় আট হাজার ৭০৩ কোটি ১২ লাখ টাকার এ প্রকল্পে মোট ব্যয়ের ৭৩ শতাংশ বিনিয়োগকারী ও ২৭ শতাংশ সরকারের বহন করার কথা। এ জন্য থাইল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইটালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির সঙ্গে ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি চুক্তি হয়। সে বছর ৩০ এপ্রিল প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রতিদিন কমপক্ষে ১৩ হাজার ৫০০ যানবাহন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করবে বলে প্রাথমিক সমীক্ষায় ধরা হয়। পর্যায়ক্রমে এ সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রকল্পের এলাইনমেন্ট ছিল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, সাতরাস্তা, মগবাজার রেল করিডোর, খিলগাঁও, কমলাপুর, গোলাপবাগ, ঢাকা-চট্টগ্রাম রোড।

প্রস্তাবটি ২০১০ সালের ২৩ আগস্ট মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয়। ২০১১ সালের জুলাইয়ে শুরু হয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরে এটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

(দিরিপোর্ট২৪/আরএমএম/এমএআর/জেএম/অক্টোবর ২১, ০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর

অর্থ ও বাণিজ্য - এর সব খবর