thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১,  ২৪ জমাদিউস সানি 1446

রমজানে খাবার বাছাইয়ে তিন কথা

২০১৪ জুন ২৮ ১৮:০৮:২৫
রমজানে খাবার বাছাইয়ে তিন কথা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : এবারের রমজানের পুরোটাই বর্ষাকাল। বৃষ্টির স্বস্তি থাকলেও সারাদিন রোজা থেকে ভ্যাপসা গরমে কাহিল হয়ে পড়তে পারেন। উবে যেতে পারে কাজ করার শক্তি ও ইচ্ছা । অতীত অভিজ্ঞতা এ রকমটাই বলে। এ ছাড়া এখন দিন বারো ঘণ্টার বেশি। তাই এবারের রোজায় দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকতে হবে। পানিস্বল্পতা তো রয়েছে, এ ছাড়া সঠিক খাবার নির্বাচন না করার কারণে পুষ্টিহীনতায় ভুগতে পারেন।

মুখরোচক খাবারের চেয়ে রোজাদারের জন্য পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবার দরকার। যা প্রয়োজনীয় শক্তি যোগাবে। তাই খাবার নির্বাচনে বিশেষ সতর্কতা দরকার। এখানে খাবার বাছাইয়ের তিনটি প্রয়োজনীয় বিষয় উল্লেখ করা হলো-

ভাজাপোড়া জাঙ্কফুড পরিহার করুন

ভাজাপোড়া খাবার ইফতারিতে বহুল প্রচলিত। পুরনো ঢাকা ও নামি-দামি রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে সাধারণ খাবারের দোকান এমন আয়োজনে ভরপুর থাকে। এসব খাবারে থাকে অতিরিক্ত মশলা, তেল ও চিনির ব্যবহার। খাবারে এগুলোর বেশি ব্যবহার এমনিতেই অস্বাস্থ্যকর। তবুও ইফতারির আয়োজনে ভাজাপোড়া ও জাঙ্কফুডের চাহিদা অনেক! রমজানে এসব খাবারকে না বলুন। জোর দিন ঘরে তৈরি হালকা মশলা, তেল ও চিনি ব্যবহার করা খাবারের প্রতি। বেশি করে দেশি ফল ও সবজি খান। দেখবেন রমজানের পবিত্রতায় এ সব সাধারণ খাবার কতই না মজাদার, আর পুষ্টিগুণ তো সারাদিন ধরে টের পাবেন।

মিষ্টি খাবারের ক্ষেত্রে মধু বা আখের গুড় ব্যবহার করুন। সারাদিন রোজা থাকার পর শরীরে শর্করার প্রয়োজন রয়েছে। তাই শর্করার চাহিদা মেটাতে শুটি, ডিম বা মাংসের মতো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেছে নিন এবং পরিমাণমত খান। আঁশ সমৃদ্ধ খাবারের প্রতি জোর দিন।

সাদা খাবারকে না

ইফতারির আয়োজনে ছোলার সঙ্গে আমরা মুড়ি খেয়ে থাকি। মুড়ির রঙের দিকে নজর দিন। বেছে নিন বাদামী মুড়ি। ভাজার সময় ইউরিয়া ব্যবহার করলে মুড়ির রং সাদা হয়ে যায়। যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ ছাড়া সাদা খাবারের মধ্যে রয়েছে সাদা রুটি, চাল ও চিনি। প্রক্রিয়াজাতের কারণে এমন রং হয়। এ সব খাবারে পুষ্টিগুণ রক্ষিত হয় না। বিশেষ করে অতিপ্রয়োজনীয় আঁশ এ সময় বাদ পড়ে। এতে শুধু শর্করা থাকে। যা স্থূলতা ঘটাতে পারে। তাই গম থেকে ভাঙ্গা আটা ও বাদামী চাল খেতে পারেন।

পানীয়ের প্রয়োজনীয়তা

রমজানে শরীর আস্তে আস্তে পানি হারাতে থাকে। বেশি পানি খেয়ে সারাদিনের জন্য জমিয়ে রাখার কোনো উপায় নেই। তাই খাবার বাছাইয়ে সতর্কতা দরকার। ইফতার থেকে সেহরির মধ্যবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে ৮ গ্লাস পানি পান করুন। সেহরির মেনুতে বেশি মশলা ও লবণযুক্ত খাবার রাখবেন না। এগুলো রোজা রাখা অবস্থায় পিপাসা বাড়িয়ে দিবে। এর বদলে ফল বা সবজি খান। এতে থাকা জলীয় অংশ ও আঁশ বেশিক্ষণ পাকস্থলীতে থাকে। খেজুর খেয়ে রোজা ভাঙ্গুন। সঙ্গে রাখুন ডাবের পানি বা ফলের রস। অপরিমিত কফি বা চা পান থেকে বিরত থাকুন। এসব পানীয় শরীরের পানি শুষে দেয়।

(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএস/এমডি/এনআই/জুন ২৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর