thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি 25, ২৩ পৌষ ১৪৩১,  ৭ রজব 1446

থাইল্যান্ডে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনে সেনা মোতায়েন

২০১৩ ডিসেম্বর ০১ ১২:৫৮:৪০
থাইল্যান্ডে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনে সেনা মোতায়েন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : থাইল্যান্ডে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের অষ্টম দিনে বিক্ষোভ দমনে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

বিক্ষোভকারী ও সরকার সমর্থকদের মধ্যকার সংঘর্ষে শনিবার দুইজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার পর সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এদিকে রবিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বাইরের বেষ্টনী ভেঙে বিক্ষোভকারীরা ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে দাঙ্গা পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কার্যালয়গুলোতে ঢোকার হুমকি দিচ্ছে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা জানিয়েছেন, বিক্ষোভ দমনে তার সরকার খুব বেশি শক্তি প্রয়োগ করবে না।

অন্যদিকে সরকার সমর্থক ‘রেড শার্ট’ আন্দোলনের নেতারা জানিয়েছেন, রবিবার সকালে তারা ব্যাংককে গণসমাবেশ শেষ করেছে।

বিতর্কিত অ্যামনেস্টি বিল নিয়ে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই অ্যামনেস্টি বিল অনুয়ায়ী দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে দেশে ফিরে দুর্নীতির মামলায় সাজা ভোগ করতে হবে না।

ওই বিলটি থাই সিনেটে পাশ না হলেও প্রস্তাবিত বিলটি নিয়ে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়।

বৃহস্পতিবার থাই সংসদে অনাস্থা ভোটে বিপুল ব্যবধানে বিজয়ী হওয়ার পর বিরোধীদলের প্রতি বিক্ষোভ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা। তবে সরকারবিরোধী এই বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা বিরোধী দলীয় নেতা সুথেপ থাওগসুবান তার এ আহ্বান প্রত্যাখান করেছে।

পরে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা দেশটিতে আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার মতো শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সেসময় তিনি আলোচনার মাধ্যমে দেশটিতে চলমান অস্থিরতা অবসানের ঘোষণা দেন।

২০০৬ সালে সেনা অভ্যুত্থনের মাধ্যমে থাকসিন সিনাওয়াত্রার ক্ষমতাচ্যুতির পর দেশটির রাজনীতিতে বিভাজন দেখা দিয়েছে। ২০০৮ সালে থাকসিনের বিরোধীরা ব্যাংকক বিমানবন্দরে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। ২০১০ সালে তার সমর্থকরা দুই মাসব্যাপী বিক্ষোভ করে পুরো ব্যাংকক শহর অচল করে দেয়।

সামরিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এই বিক্ষোভ শেষ হয়। দুই মাসব্যাপী অবস্থান বিক্ষোভে ৯০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।

থাকসিনের বোন ইংলাক ক্ষমতায় আসার পর দেশটির রাজনীতিতে স্থিরতা আসে। তবে বিরোধী দলের অভিযোগ ইংলাক তার ভাইয়ের পুতুল হয়ে দেশ চালাচ্ছে। সূত্র: বিবিসি।

(দ্য রিপোর্ট/কেএন/জেএম/ডিসেম্বর ০১, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর