thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১,  ২১ জমাদিউস সানি 1446

টাইম ইউজ সার্ভের প্রতিবেদন চূড়ান্ত

জানা যাবে সময় ব্যবহারের তথ্যচিত্র

২০১৩ ডিসেম্বর ০২ ১২:০৫:৩০
জানা যাবে সময় ব্যবহারের তথ্যচিত্র

জোসনা জামান, দ্য রিপোর্ট : প্রথমবারের মতো দেশের মানুষের সময় ব্যবহারের চিত্র খুঁজে বের করা হয়েছে। এজন্য টাইম ইউজ সার্ভে নামে একটি জরিপের কাজ শেষ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।এই জরিপের ফলে দেশের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ তাদের কতটুকু সময় কী কী কাজে ব্যবহার করে তার প্রকৃত চিত্র উঠে আসবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

চলতি মাসেই (ডিসেম্বর) এ বিষয়ে একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি। ইতোমধ্যেই এটির শেষ ধাপ ছাপার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক গোলাম মোস্তফা কামাল দ্য রিপোর্টকে বলেন, বর্তমানে পরিসংখ্যান ব্যুরোর সক্ষমতা বেড়ে যাওয়ায় নানা ব্যতিক্রমী বিষয়ে জরিপ পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ সার্ভে নিয়মিতভাবে হলেও বাংলাদেশে এটিই প্রথম। আমরা নতুন নতুন বিষয়ে সার্ভে করার উদ্যোগ নিয়েছি। যেমন ডেকোরেটর, সিকিউরিটি সার্ভিস এবং ক্লিনিং সার্ভিসসহ চারটি সেবা খাতের অবদান নির্ণয়ে জরিপ করা হয়েছে। এরকম একটি ব্যাতিক্রমী সার্ভে হচ্ছে টাইম ইউজ সার্ভে।

এ বিষয়ে টাইম ইউজ সার্ভের প্রথমদিকে দায়িত্বে থাকা প্রকল্প পরিচালক আকতার হোসেন বলেন, এ সার্ভের মাধ্যমে বের করা হয়েছে দেশের মানুষ কত ঘণ্টা কাজ করে, কত ঘণ্টা বিনোদনে জড়িত থাকে, টিভি দেখে, ঘুমিয়ে কাটায়, হাঁটাহঁটি করে, বই পড়ে বা কত সময় অপচয় করে ইত্যাদি নানা বিষয়। এককথায় পুরো সময়কে কীভাবে কাজে লাগানো হয় তার একটি প্রকৃত তথ্যচিত্র উঠে এসেছে।

বিবিএস সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ১১ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে এ সার্ভের মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ২০১২ সালের ১১ এপ্রিল রাত ১২টা থেকে দেশের ৬৪ জেলায় ৩৭৫টি প্রাইমারি স্যাম্পল ইউনিটে (এলাকায়) এ সার্ভের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

প্রতিটি প্রাইমারি স্যাম্পল ইউনিটে (এলাকায়) ১০টি করে খানা (হাউজ হোল্ড) নির্বাচিত করে ওইসব খানার ১৫ বছরের উপরে সদস্যদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া সম্পর্কে পরিসংখ্যান ব্যুরোর দায়িত্বশীল কর্মকর্মতা ইন্ডাস্ট্রি এন্ড লেবার উইং এর পরিচালক শামসুল আলম দ্য রিপোর্টকে জানান, মূলত একজন মানুষের কাছ থেকে দুদিনের (৪৮ ঘণ্টার) তথ্য নেওয়া হয়। ওই দিন রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেই ব্যক্তি যা যা কাজ করবে তার একটি চিত্র নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে তিনিটি ফরম ছিল। এর একটি ফরমে তথ্য সংগ্রহকারী সেশন-১ এ নমুনা এলাকার পরিচিতির মধ্যে নয়টি তথ্য এবং সাক্ষাতের বিবরণ সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে সেকশন-২ খানা বা বাসস্থানের বিবরণ, গৃহের মালিকানা খানায় প্রধান গৃহের প্রকার, আলোর উৎস, খাবার পানির প্রধান উৎস, রান্নার জ্বালানি, খানার নিজস্ব সম্পদ, খানাটি কী কী পারিবারিক কাজে জড়িত এবং খানার আয় রোজগারের প্রধান কর্মকাণ্ড কী এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া সেকশন-৩ এ খানার বৈশিষ্ট অংশে খানার সদস্যদের নাম ও বিস্তারিত তথ্য, সম্পর্ক কোড ও শিক্ষা কোড পূরণ করা হয়। সেকশন-৪ এ ১৫ বছর ও তার উপরের বয়সীদের বর্তমান কর্মতৎপরতার বিভিন্ন তথ্য নেওয়া হয়।

পরবর্তীতে সময় ব্যবহারের বিষয়ে খানার নির্ধারিত মানুষদের টাইম ডায়েরি নামের দুটি করে ফরম দিয়ে দেওয়া হয়। এর একটি প্রথমদিন ও অপরটি দ্বিতীয়দিন পূরণ করতে হয়েছিল। পরের দিন তথ্য সংগ্রহকারী ওইসব ফরম সংগ্রহ করেন। কেউ লিখতে না পারলে তার ফরম তথ্য সংগ্রহকারী নিজেই পূরণ করে দিয়েছিলেন।

মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের পর সার্ভের টেবিল জেনারেট করা হয়। পরবর্তীতে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছিল তা ক্রস চেক করে একটি খসড়া রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়। এই খসড়া গেছে এডিটরিয়াল প্যানেলে, সেখান থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পাঠানো হয় টেকনিক্যাল কমিটিতে। সেখানে পরীক্ষার পর রিপোর্টটি ছাপাতে দেওয়া হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/জেজে/এইচএসএম/ডিসেম্বর ০১, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর

অর্থ ও বাণিজ্য - এর সব খবর