thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ১৯ মে 24, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ১১ জিলকদ  1445

বন্দী থেকে সিআইএ-র ভাড়াটে হত্যাকারী!

২০১৩ ডিসেম্বর ০২ ২০:১১:৩৯
বন্দী থেকে সিআইএ-র ভাড়াটে হত্যাকারী!

শাহনেওয়াজ খান, দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বন্দীদের নির্মম অত্যাচারের জন্য কুখ্যাত ইউএস জেলখানা গুয়ানতামো বে। বিশ্বের নানা দেশ থেকে সন্দেহভাজনদের ধরে এনে নির্মম অত্যাচার চালানো হয় এখানে। এবার সেই বন্দীদের দিয়েই বিশ্বব্যাপী হত্যাকাণ্ড ঘটানোর কথা প্রকাশ করলো সিআইএ। খবর ডেইলি মেইলের।

কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ, পরিবারের নিরাপত্তা ও জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার বিনিমেয়ে সিআইএ এ বন্দীদের তাদের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের হত্যার কাজে ব্যবহার করত। নিজেদের জীবন বাঁচিয়ে অনেকটা কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতো মার্কিনীরা!

সিআইএ-র হয়ে কাজ করা এ অপরাধীরা ‘ডাবল এজেন্ট’ নামে পরিচিত। তারা সিআইএ-র দেওয়া নানা কোড নাম্বারের ভিত্তিতে বিশ্বব্যাপী কিলিং মিশনে অংশ নেয়।

গুয়ানতানামোতে বন্দীদের ওপর চরম নির্যাতন চালালেও এই ডাবল এজন্টদের জন্য রয়েছে জামাই আদরের ব্যবস্থা। জেলটির পাশেই তাদের জন্য রয়েছে ‘পেনি লেন’ নামে আরেকটি গোপন স্থান। যেখানে এই এজন্টদের জন্য ফাইভ স্টার হোটেলের মতো বিলাসী জীবন-যাপনের সকল ব্যবস্থা আছে।

এই পেনি লেনেই ডাবল এজেন্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। তবে ২০০৬ সালে পেনি লেন ও এতে প্রশিক্ষণ দেওয়া বন্ধের দাবি করেছে সিআইএ।

প্রশিক্ষণ নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর অবশ্য সব বন্দী সিআইএ-র এজেন্ট হিসেবে কাজ করে না। এ পর্যন্ত মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৬ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রের ‍বিরুদ্ধে হামলা চালনো সংগঠনগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। প্রায় ১২ শতাংশ বন্দী যুক্ত হয়েছে তাদের আগের সংগঠনগুলোর সঙ্গে। সিআইএ-র প্রশিক্ষণ পাওয়া এই এজেন্টরা পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই নানা অক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছে।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে হামলার পর থেকে সিআইএ এ পদ্ধতি চালু করে। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ এতে সম্মত ছিলেন। ২০০৬ সালে এটি বন্ধ করা হলেও ওবামার আগ্রহে ২০০৯ সালে এটি পুনরায় চালু হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এসকে/এমডি/ডিসেম্বর ০২, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর