thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ১৯ মে 24, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ১১ জিলকদ  1445

থাইল্যান্ডে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ

প্রধানমন্ত্রীর অফিসে বিক্ষোভকারীরা

২০১৩ ডিসেম্বর ০৩ ১৭:৪১:১৮
প্রধানমন্ত্রীর অফিসে বিক্ষোভকারীরা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : পুলিশ ব্যারিকেড তুলে নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর অফিসে ঢুকে পড়েছে থাইল্যান্ডের বিক্ষোভকারীরা। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সামনে থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে নেয় পুলিশ। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।

থাইল্যান্ডে গত ২৪ নভেম্বর থেকে সরকারের পতনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। শনিবার পর্যন্ত এ বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল। এরপর থেকে আন্দোলন কিছুটা সহিংসতায় রূপ নেয়। সোমবার বিক্ষোভকারীরা ব্যাংককের প্রধানমন্ত্রীর অফিস ঘেরাও করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। অবশেষে মঙ্গলবার পুলিশ তাদের ব্যারিকেড তুলে নিলে বিক্ষুব্ধ জনতা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢুকে পরে।

ব্যাংকক মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামরোনউইট থুপরাজাং এএফপিকে জানান, পুলিশ সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের বাধা দেবে না।

তিনি বলেন, ‘মেট্রোপলিটন পুলিশ সদরদপ্তর জনগণের পাশে আছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আজ কাঁদুনে গ্যাস ব্যবহার করা হয়নি। গত রাতে বিক্ষুব্ধদের গুলিতে এক পুলিশ অফিসার আহত হয়েছে। আমরা যদি এর বিপরীতে গুলি ছুঁড়তাম তাহলে আহতের সংখ্যা আরো বাড়ত। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, আমরা সবাই থাইল্যান্ডের নাগরিক।’

পুলিশ এ অবস্থান নিলেও প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা কী করবেন তা বোঝা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে তিনি পদত্যাগ না করার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে বিষয়টির সমাধানে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া সুথেপ থোগসুবান সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

এর আগে ইংলাকের ভাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার পতনের দাবিতে ২০০৮ সাল থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। ২০১০ সালে তা চূড়ান্ত রূপ লাভ করে ও থাকসিন সরকারের পতন হয়। ‘লাল শার্ট’ নামে পরিচিত ওই বিক্ষোভে ৯০ জন নিহত হয়। এরপর থেকে দেশের বাইরে রয়েছেন থাকসিন।

দেশটিতে ২০১১ সালে সাধারণ নির্বাচন হলে এতে বিজয়ী হন ইংলাক। এরপর থেকেই থাকসিনের ইঙ্গিতে দেশ চালানোর অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে তার পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ করছে বিরোধীরা।

(দ্য রিপোর্ট/এসকে/এমডি/ডিসেম্বর ০৩, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর