thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ১৯ মে 24, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ১১ জিলকদ  1445

পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি

২০১৩ ডিসেম্বর ০৩ ২২:৩০:০১
পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : এখন থেকে আর নারীদের জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি খেতে হবে না। শিগগিরই পুরুষদের জন্য আসছে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি। যা ব্যবহারের ফলে একজন পুরুষের যৌনমিলনে তার সঙ্গিনী গর্ভবতী হবে না। খবর বিবিসির।

এতদিন ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ছিলো শুধু নারীদের জন্য। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা এর উল্টো ব্যবহার আবিস্কার করছেন। তারা পুরুষদের জন্যও বড়ির ব্যবস্থা করছেন। এ বড়ির মাধ্যমে যৌনকার্যে কোনো বাধা সৃষ্টি না করেই পুরুষদের বীর্যপাতকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল একাডেমি ফর সায়েন্সে প্রকাশিত এক জার্নালে নতুন আবিস্কারটির কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, অষ্ট্রেলিয়ার মনাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক পুরুষদের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি উদ্ভাবনের একেবারে দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন। এ বড়িটির তেমন কোনো প্বার্শ প্রতিক্রিয়া থাকবে না বলেও দাবি করেছেন তারা।

আবিস্কারটি সম্পর্কে মনাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. সাবাতিনো ভেনচুরা জানান, ‘গবেষণার প্রথম দিকে আমাদের দৃষ্টি ছিল কীভাবে পুরুষদের অকার্যকর বীর্য‌ উৎপাদন করা যায়। কিন্তু এ কাজে ব্যবহৃত কিছু ওষুধের মারাত্মক প্বার্শ প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় আমরা তা থেকে সরে আসি।’

তিনি জানান, ওষুধটির মাধ্যমে হয়ত জন্ম নিরোধ করা যেত। কিন্তু এটি ব্যবহারে যৌনমিলনে আগ্রহ কমে যেত ও স্থায়ীভাবে জন্মদানের ক্ষমতা হারাতে হতো। তাই তারা এর বিকল্প হিসেবে একটি নতুন ওযুধ আবিস্কার করছেন।

ওযুধটি প্রয়োগে গবেষক দলটি একটি ভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহারের চেষ্টা করছে। এক পরীক্ষায় তারা দেখেছেন যে, পুরুষদের বীর্যপাতের পূর্বে বীর্য‌গুলো সাধারণত বিভিন্ন আধারে জমে থাকা অবস্থা থেকে নালীতে আসে। তারা ইদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন, নতুন আবিস্কৃত বড়ি ব্যবহারের মাধ্যমে ওই নালীগুলো থেকে বীর্য নির্গমন বন্ধ করে দেওয়া যায়।

ড. ভেনচুরা জানান, নতুন ওষুধ প্রয়োগের পর দেখা যায়, বীরর্যগুলো আধারেই অবস্থান করে এবং ইদুরগুলোর যৌনমিলন শেষ হওয়ার পরও কোনো বীর্যপাত ঘটেনি।

ভেনচুরার মতে, মানুষের ক্ষেত্রেও এই ওযুধ প্রয়োগ করা যাবে। তবে এটি তাৎক্ষণিকভাবে পরিবর্তনযোগ্য এবং এতে বীর্যের কোনো ক্ষতি হবে না।

তিনি বলেন, ‘আপাতত এই কাজটির জন্য দুই ধরনের ওযুধ ব্যবহার করতে হচ্ছে। এই দুটি ওযুধের মাধ্যমে বীর্যপাতকে নিয়ন্ত্রণকারী দুই ধরনের প্রোটিন নির্গমনকে বন্ধ করা হবে।’

গবেষকরা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে একটি ওযুধ আবিস্কার করা হয়েছে। এখন তারা দ্বিতীয়টি উদ্ভাবনের জন্য কাজ করছেন।

গবেষণাটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে শেফফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র লেকচারার ড. এল্লান পাশে বলেন, ‘এটি খুব ভালো গবেষণা। বিশেষ করে অনেকটা জৈবিক ভেসেকটমির মতো, যা বীর্যপাতকে আটকে দেবে।’

(দ্য রিপোর্ট/এআইএম/এমডি/ডিসেম্বর ০৩, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর