thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ১৫ মে 24, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ৭ জিলকদ  1445

‘তফসিলের হেরফের আওয়ামী লীগ মেনে নেবে না’

২০১৩ ডিসেম্বর ০৪ ২০:৩২:৪৮
‘তফসিলের হেরফের আওয়ামী লীগ মেনে নেবে না’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : তফসিলের হেরফের আওয়ামী লীগ মেনে নেবে না। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক শেষে বুধবার রাতে তিনি বলেন, শেখ হাসিনাই নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন করবে। অন্য কাউকে মেনে নেবে না।

এ সময় তিনি বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকদের তৎপরতা সম্পর্কে বলেন, তাদের দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারলে আমাদের দেশে কেন হবে না? ডুয়েল স্টান্ডার্ড চলে না।

যথাসময়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন হবে। তারিখের হেরফের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মেনে নেবে না।

তিনি বলেন, যতো বাধাই আসুক, আওয়ামী লীগ আবারো সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সর্বদলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে বলেও জানান আশরাফ। তিনি বলেন, দুই তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে আমরা সরকার গঠন করেছি। জাতীয় সংসদ দ্বারা সংবিধান সংশোধন করেছি। মার্শাল ল দিয়ে করি নাই। আশরাফ বলেন, নির্বাচনের কোনও বিকল্প নাই। গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় নির্বাচনের কোনও বিকল্প নাই।

দৃঢ় কণ্ঠে আশরাফ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত সরকারের অধীনেই এই নির্বাচন হবে। এর কোনও হেরফের হবে না। তার নেতৃত্বেই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরেপেক্ষ হবে।

বিদেশি প্রতিনিধিদের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, অ্যামেরিকাতে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবে আমাদের দেশেও নির্বাচন হবে। তারা নিজেদের দেশে যেভাবে নির্বাচন করে ওই একই পদ্ধতিতে আমাদের দেশে নির্বাচন করলে কেন হবে না?

তিনি বলেন, আমরা কী অন্যায় করলাম? গণতান্ত্রিক দলগুলোকে অনুসরণ করা কী আমাদের দোষ? আমরা করলে কী সাত খণ্ড রামায়ণ ধ্বংস হয়ে যায়? তিনি তাদেরকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আহবান জানিয়ে বলেন, আপনার আসেন দেখে যান বাংলাদেশে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় কিনা?

বিরোধী দলের কর্মসূচির জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, হরতাল-সন্ত্রাস দিয়ে এই নির্বাচন বন্ধ করা যাবে না। ককটেল ছাড়া আর কোনও আন্দোলন তাদের আমি দেখি না। যে দলের নেত্রী হরতাল ডেকে নিজে নেমে আসে না সেই দল কিভাবে হরতাল করবে, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।

তিনি বলেন, তাদের এই আন্দোলন কিছু মানুষের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া আর কোনও উদ্দেশ্য সাধন করতে পারবে না। উনি যদি মনে করেন, চোরাগুপ্তা হামলার মাধ্যমে নির্বাচন রুখে দিতে পারবেন তাহলে ভুল করবেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের নির্বাচন বয়কটের ঘোষণার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আশরাফ বলেন, অপেক্ষা করেন, আমরাও অপেক্ষায় আছি। যখন সময় আসবে তখন বলবো।

বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দলের নির্বাচন বয়কটের সমালোচনা করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, বিএনপি এবং কিছু তথাকথিত বামপন্থী দলের কোনও যুক্তি ছিল না নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার।

সৈয়দ আশরাফ আশাবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে যারা আগ্রহী তারা নির্বাচনে অংশ নেবে বলে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে।

আর যারা নির্বাচনের বাইরে দাড়িয়েছে তারা কোনওদিনই বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা চাই না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত বেশ কয়েকটি নির্বাচনের সাল উল্লেখ করে আশরাফ বলেন, ১৯৮৬ সালে স্বৈরাচার সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হয়েছিল, সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ছিল। এমনকি তারা অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে আসতে উদ্বুদ্ধও করেছিল। এবার কী ভিন্ন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো যে, তারা আসলো না?

আন্দোলনের অংশ হিসেবেই আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নেয় জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৭৯ সালে সামরিক শাসকের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে গিয়েছে। ৭৫ এর পর আমরা নির্বাচনে গিয়েছি। ৮৬ সালেও এরশাদের অধীনে নির্বাচনে আমরা গিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে ডিসেম্বর মাসে আওয়ামী লীগের গৃহীত কর্মসূচিও ঘোষণা করেন তিনি। এর আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির তিন ঘণ্টার রূদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এইউএ/এমডি/ডিসেম্বর ০৪, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর