১৫ ফেব্রুয়ারি নাকি ২২ জানুয়ারি?
কাওসার আজম, দ্য রিপোর্ট : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নির্বাচন বয়কট ও মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের ঘোষণার মধ্য দিয়ে আগামী ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধিত অধিকাংশ দলের অংশগ্রহণ ছাড়া এ নির্বাচন একতরফা হবে কি না, এ নিয়ে যেমন প্রশ্ন রয়েছে তেমনি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার বিষয়টিও ভাবা হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির আদলে নির্বাচন; নাকি ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির মতো শেষ পর্যন্ত কমিশন ঘোষিত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না, এ নিয়ে সর্বমহলে সংশয় ও প্রশ্ন রয়েছে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের আপত্তি সত্ত্বেও আগামী ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নিবন্ধিত ৪১টি দলের মধ্যে আওয়ামী লীগসহ তাদের রাজনৈতিক মিত্র ১০টি দল এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। ১৮ দল এ নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবিতে টানা ৬দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। একইসঙ্গে আগামী শনিবার থেকে আবারও টানা ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে এ জোট।
নির্বাচন বর্জন করে বিরোধী জোটের অবরোধ কর্মসূচিতে রেল লাইন উপড়ে ফেলা হচ্ছে। মানুষ মরছে, গাড়ি পুড়ছে। দেশজুড়ে এক অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। দুই রাজনৈতিক জোটের পরস্পর বিরোধী অবস্থানে দেশজুড়ে অজানা আতঙ্ক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। দুই রাজনৈতিক জোটের অনড় অবস্থান রাজনীতিকে ক্রমেই উত্তপ্ত করে তুলেছে। শঙ্কা দেখা দিয়েছে দেশের আগামী দিনের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
সংকট সমাধানে দুই নেত্রীর মধ্যে আলোচনার তাগিদ দিতে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল, মার্কিন রাষ্ট্রদূত, যুক্তরাজ্য, চীন ও ভারতসহ বহির্বিশ্বের চাপ বাড়ছে। দুইপক্ষকে এক জায়গায় বসে তারা নির্বাচনকালীন সরকার ঠিক করার তাগিদ দিচ্ছেন। সংঘাত এড়িয়ে সমঝোতার কথা বলছেন। কিন্তু সমাধান হচ্ছে না সংকটের।
গত বুধবার আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী ও সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বদলীয় সরকারের অধীনে এবং নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী যথাসময়ে সংসদ নির্বাচনের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘‘ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হবে। কমিশন ঘোষিত তফসিলের পরির্তন মানবে না আওয়ামী লীগ।’’
শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি জোট নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিলেও এতে তেমন পাত্তা দিচ্ছেন না আওয়ামী লীগের নেতারা। তারা মনে করেন, নির্বাচন প্রতিহত বা প্রতিরোধের মতো সাংগঠনিক ক্ষমতা বিএনপি জোটের নেই। সম্প্রতি সর্বশেষ ১৪ দলের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, নির্বাচনে কতগুলো দল এলো, সেটা বড় বিষয় নয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলেই নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য হয়।
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন যখন টালমাতাল তখন বাংলাদেশ সফরে আসেন ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং। আলোচনা করেছেন সরকার ও বিরোধী পক্ষের সঙ্গে। অন্যদিকে শুক্রবার আসতে পারেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো। তিনিও সরকার এবং বিরোধী পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। তাদের এ সফরকে গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে সবমহল থেকে। শেষ পর্যন্ত সংকট উত্তরণে তাদের সফর কতটুকু ভূমিকা রাখবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। এ অবস্থায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হবে কিনা। যদি হয় তাহলে সেটি আবার ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো হবে কিনা? নাকি ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির মতো নির্বাচন ভণ্ডুল হবে। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে সবমহলে।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন :
নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বেশির ভাগ দল ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন বর্জন করেছিল। হরতালসহ টানা অবরোধ পালন করে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতসহ বিরোধী দলগুলো। কিন্তু, তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল বিএনপি ফ্রিডম পার্টিসহ কয়েকটি দল নিয়ে একতরফা নির্বাচন করে। তবে সেই বিএনপি সরকার মাত্র দেড় মাস স্থায়ী হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন পাস করে বিদায় নিতে হয় বিএনপিকে। ওই নির্বাচনে মোট কেন্দ্র ছিল ২৪ হাজারের মতো। শেষ পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার সংকট দেখা দিলে কেন্দ্রের সংখ্যা ২১ হাজারে নামিয়ে আনা হয়। নির্বাচনে মাঠ কর্মকর্তারা ভোট বর্জনকারীদের হাতে নাজেহাল হয় সারাদেশে। তখনকার বিরোধী দলের প্রতিরোধের মুখে সারাদেশের কয়েক হাজার ভোট কেন্দ্রে ঢুকতেই পারেননি কর্মকর্তারা। অনেক কেন্দ্র ভোটারহীন থাকলেও ভোটগ্রহণ হয়।
সেবার ৩০০ আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন। নির্বাচন হয় ২৫২টি আসনে। শেষপর্যন্ত কমিশন ২৪২ আসনের নির্বাচনের ফল গেজেট আকারে প্রকাশ করে। বাকি ১০টি আসনের নির্বাচনী ফল কমিশনে পৌঁছায়নি।
১৫ ফেব্রুয়ারির সেই নির্বাচনে কমিশনের মোট ব্যয় হয় ৬৪ কোটি টাকা। তার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পেছনেই ব্যয় হয় ৪৮ কোটি টাকা।
প্রেক্ষাপট ২২ জানুয়ারি ২০০৭ :
দেশ জুড়ে চরম রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দেয় বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট। অন্যদিকে এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট।
২০০৭ সালের ১০ জানুয়ারি রাজধানীর পল্টন ময়দানে মহাজোট এবং কুমিল্লায় চারদলীয় জোটের বড় জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন মহাজোটের জনসভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২২ জানুয়ারি একপেশে নির্বাচন হবে না। যেকোনো মূল্যে এ নির্বাচন প্রতিহত করা হবে। কোনো ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। প্রহসনের নির্বাচনে অংশ নেবেন না। যদি কেউ যান তবে গণদুশমনে পরিণত হবেন।’ জনসভা থেকে তিনি একতরফা নির্বাচন প্রতিরোধে মহাজোটের পক্ষ থেকে ১৪ থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা বঙ্গভবন ঘেরাও, ১৪ ও ১৫ এবং ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি এবং ২১ ও ২২ জানুয়ারি সারাদেশে হরতাল কর্মসূচির ডাক দেন।
অন্যদিকে একইদিন চারদলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার স্বার্থে এ নির্বাচন থেকে পিছু হটার সুযোগ নেই। এ নির্বাচনে যারা বাধা দিতে আসবে, তাদের প্রতিহতের আহ্বান জানান তিনি।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সামরিক হস্তক্ষেপে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমদ দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন এবং ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ‘ওয়ান ইলেভেন’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ওই তারিখের মাত্র দুইদিন আগে ৮ ও ৯ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে দুটি বার্তা পাঠান ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া এ বিউটেনিস। বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী ওয়েবসাইট উইকিলিকসে এ গোপন বার্তায় সে সময়ের রাজনৈতিক পটভূমি উঠে আসে।
বার্তায় বিউটেনিস লেখেন, সেনাবাহিনী বিশ্বাসভঙ্গ করে অভ্যুত্থান করতে পারে, কিংবা দুই নেত্রীকে নির্বাসনে পাঠানো হতে পারে-এ ধরনের কোনো আশঙ্কা মনে ঠাঁই দিতে প্রস্তুত ছিলেন না সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। শেখ হাসিনাও এ দুটি গুজবকে উড়িয়ে দিয়ে রসিকতা করে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসন দিলে তার জন্য ভালোই হবে, তিনি নাতনির সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন।
বাংলাদেশে তখনকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া বিউটেনিস ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনা এবং ৭ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন।
উইকিলিকসে প্রকাশিত বার্তায় বলা হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সামরিক হস্তক্ষেপ কিংবা সামরিক আইন জারি এবং দুই নেত্রীকে দেশত্যাগে বাধ্য করার মতো সম্ভাবনা নিয়ে খালেদা ও হাসিনাকে সতর্ক করে রাজনৈতিক সমঝোতার প্রস্তাব দেন এ দুই কূটনীতিক। দুই নেত্রীকেই তারা বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের একটি অংশের অনুরোধে তারা সমঝোতার প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন এবং তাদের দেশ সামরিক অভ্যুত্থানের মতো কোনো অসাংবিধানিক ঘটনায় সমর্থন বা উৎসাহ দেবে না।
বিউটেনিস ও আনোয়ার চৌধুরী আরো বলেন, কেবল দুই নেত্রীর সাহসী পদক্ষেপের মাধ্যমেই এ রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান হতে পারে।
পরদিন ৭ জানুয়ারির একান্ত বৈঠকে কোনো ধরনের সামরিক অভ্যুত্থানের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে খালেদা জিয়া এ দুই কূটনীতিকের কাছে দাবি করেন, তিনি সব সময়ই আওয়ামী লীগের সঙ্গে বসতে প্রস্তুত ছিলেন, কিন্তু শেখ হাসিনা কখনোই তাতে সাড়া দেননি। এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে মন্তব্য করে খালেদা জিয়া সমঝোতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং ২২ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেন।
তার বার্তায় বিউটেনিস আরো লিখেছেন, খালেদা জিয়ার ধারণা হয়েছিল, আওয়ামী লীগের পিঠ এবার সত্যিসত্যি দেওয়ালে ঠেকে গেছে এবং এ অবস্থা থেকে তারা আর ফিরে আসতে পারবে না।
এর আগে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে তৎকালীন বিএনপির মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভুইয়া ও আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মাঝে মধ্যে তারা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, বৈঠক ফলপ্রসু হয়েছে। সংকট সমাধান হবে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত আর সংকটের সমাধান হয়নি। তৎকালীন রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারতসহ কূটনীতিক মহল তৎপর হয়ে ওঠেন। আলোচনায় বসেন দুই পক্ষের সঙ্গে। কিন্তু, তাদের তৎপরতার ফলও শুভ হয়নি। পরবর্তীতে অনাকাঙ্ক্ষিত বহুল আলোচিত ১/১১-এর ঘটনা ঘটে।
বিশিষ্টজনেরা যা বললেন :
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন দ্য রিপোর্টকে বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ১৯৯৬ এর ১৫ ফেব্রুয়ারি কিংবা ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির চাইতেও ভয়াবহ।
যেভাবে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে তাতে সামনের অবস্থা আরো ভয়াবহ মন্তব্য করে তিনি বলেন, সংকট সমাধানের কোনো পথ দেখছি না।
বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. পিয়াস করিম দ্য রিপোর্টকে জানান, যেখানে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধিত অধিকাংশ দল ঘোষিত নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না সেখানে শঙ্কা তো থাকবেই। প্রধান বিরোধী দলসহ অধিকাংশ নিবন্ধিত দলকে বাদ দিয়ে সরকার যে একতরফা নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এতে সংকট আরো ঘনীভূত হচ্ছে। দেশ ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ধারাবাহিকতা নাকি ২০০৭ সালের একতরফা নির্বাচনের সিদ্ধান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক মহলের প্রচেষ্টায় চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সমাধানের আশা ক্রমেই কমে যাচ্ছে। সংকট সমাধানে সরকার পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে বিরোধী দল তাদের দাবি থেকে সরে আসছে না। এ অবস্থায় সংকট সমাধানের তেমন সম্ভাবনা দেখছি না। দেশ এক অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে যাচ্ছে।
(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এইচএসএম/ডিসেম্বর ০৫, ২০১৩)
পাঠকের মতামত:
- ওয়ালটন-ডিআরইউ ক্রীড়া উৎসবের পুরস্কার বিতরণ
- গায়ানার স্কোয়াডে যোগ দিলেন সাকিব
- অ্যান্টিগায় প্রথম দিনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ৫ উইকেট
- শব্দের চেয়ে দ্রুতগতির ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তত আছে: পুতিন
- পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ২১ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদদের স্মরণসভা করার নির্দেশ
- না ভোট ফিরিয়ে আনাসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছে নির্বাচন সংস্কার কমিশন
- ক্ষমা চাওয়ার কথা বললেও সুযোগ পেলে গলা চেপে ধরবে আ.লীগ: রিজভী
- খুনি হাসিনার পুনর্বাসনকারীরাও ফ্যাসিস্টের দোসর: সারজিস
- গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
- অক্টোবরে সড়কে ঝরেছে ৪৭৫ প্রাণ
- ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই : জামায়াত আমির
- জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ১০-১৫ টাকা কমানো সম্ভব
- গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
- গণঅভ্যুত্থানের ছাপ রেখে শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ফুটবল
- আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
- খেজুরের আমদানি শুল্ক কমল, থাকছে না অগ্রিম করও
- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা: শুনানি শেষ, রায় যেকোনো দিন
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির আকার বাড়ল
- রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের সাক্ষাৎ
- খালেদা জিয়াকে ১২ বছর সেনাবাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছে : ফখরুল
- বিচারের পর আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে : ড. ইউনূস
- সাগর দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পর্যটন আশা-নিরাশার দোলাচলে
- "সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত"
- এদের রক্ত ও ত্যাগের সঙ্গে বেইমানি করা যাবে না : নতুন সিইসি
- সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া
- থানায় মামলা দিতে গিয়ে শাহজাহান ওমর গ্রেফতার
- থানায় মামলা দিতে গিয়ে শাহজাহান ওমর গ্রেফতার
- প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ পেলেন এ এম এম নাসির উদ্দীন
- ডিএসইর পরিচালক নাহিদ হোসেন ওএসডি
- ম্যাচ শেষের আগেই মাঠ ছাড়ল কসোভো, রোমানিয়াকে জয়ী ঘোষণা
- ২০২৫ সালে ভারতের কেরালায় খেলবে আর্জেন্টিনা
- পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে
- বিদায় বেলায় ঢাকায় আসছে বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
- হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
- সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
- রাজধানীর পয়েন্টে পয়েন্টে অবরোধ অটোরিকশাচালকদের, যান চলাচল বন্ধ
- এবার শুনানিতে উঠছে জামায়াত নিবন্ধনের আপিল
- "বিচারের শুদ্ধতা রক্ষার জন্য রাজনৈতিক দলের বিচার ট্রাইব্যুনালে নয়"
- আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না: প্রধান উপদেষ্টা
- ইউক্রেনে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা
- সাত কলেজকে স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
- ডিএসইতে সূচকের উত্থান, সিএসইতে পতন
- ফ্যাসিস্টের মতো কারও ভয়েস কেড়ে নেওয়া হবে না: প্রেস সচিব
- মুজিববর্ষ উদযাপনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের খরচ ১২৬১ কোটি
- নির্বাচনে হস্তক্ষেপ রুখে দেওয়ার বিধান চায় ইসি
- অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘একটু’ সময় দিতে বললেন ফখরুল
- বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন
- ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন
- সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানকে ১২ কোটি টাকা জরিমানা
- আমাকে দেশনায়ক-রাষ্ট্রনায়ক বলবেন না: তারেক রহমান
- অন্তবর্তীকালীন সরকার ও একটি বৈশ্বিক বিশ্লেষণ
- দূষণ ধুয়ে ফেলতে দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টির আবেদন
- সমন্বিত হিসাবে ঘাটতি: দুই ব্রোকারেজ হাউজকে জরিমানা
- আন্তর্জাতিক মাস্টারের খেতাব পেলেন নীড়
- খেলাপিদের ঘটিবাটি বিক্রি করে অর্থ আদায় করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
- খালেদা জিয়ার কাছে পৌঁছাল সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আমন্ত্রণপত্র
- বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ কিন্তু সফল হয়নি: হাসনাত
- চলতি বছরে ৪৮২ শিশু হত্যা, নির্যাতিত ৫৮০
- সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পৃক্ততা বাড়াতে চায়: বাণিজ্য উপদেষ্টা
- আ. লীগের সঙ্গে কোনো সমঝোতা নেই: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
- সন্দেহটা কোথায়, অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্ন ফখরুলের
- টাঙ্গাইলে বাস-পিকআপভ্যান সংঘর্ষে চারজন নিহত
- ভারতীয় মাওলানা সাদকে ছাড়া ইজতেমা হতে দেবে না তার অনুসারীরা
- আ.লীগের প্রসঙ্গ তুললেন ভারতীয় সাংবাদিক, জবাবে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
- হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসের
- শহিদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর গ্রেফতার
- শেখ হাসিনা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবলেও বাস্তবতা ভিন্ন
- সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের সাথে হজ এজেন্সি প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
- তৃতীয়বারের মতো ‘সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন
- শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
- ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোর অনুমতি দিলেন বাইডেন
- দুই হাজার মানুষ শুধু নির্বাচনের জন্য জীবন দেননি: সারজিস
- সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে
- ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হওয়া উচিত’
- আ.লীগের প্রসঙ্গ তুললেন ভারতীয় সাংবাদিক, জবাবে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
- পাকিস্তান থেকে ২৯৭ টিইইউএস কনটেইনারে যেসব পণ্য এলো
- সাগর দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পর্যটন আশা-নিরাশার দোলাচলে
- ইসলামী ব্যাংকে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প কর্মকর্তাদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে রাখার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
- অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘একটু’ সময় দিতে বললেন ফখরুল
- সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া
- এস আলমের ঋণ জালিয়াতি : বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাকে তলব
- সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন
- হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসের
- তৃতীয়বারের মত সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করলো ওয়ালটন
- শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
- হাসিনার জন্য আরেকটি তাজমহল বানান: ভারতকে রিজভী
- অন্তবর্তীকালীন সরকার ও একটি বৈশ্বিক বিশ্লেষণ
- তৃতীয়বারের মতো ‘সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন
- ভারতীয় মাওলানা সাদকে ছাড়া ইজতেমা হতে দেবে না তার অনুসারীরা
- সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে আনা হলো
- রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ৩৩ শতাংশের বেশি
- শেখ হাসিনা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবলেও বাস্তবতা ভিন্ন
- বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন
- আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না: প্রধান উপদেষ্টা
- চলতি বছরে ৪৮২ শিশু হত্যা, নির্যাতিত ৫৮০