১৫ ফেব্রুয়ারি নাকি ২২ জানুয়ারি?
কাওসার আজম, দ্য রিপোর্ট : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নির্বাচন বয়কট ও মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের ঘোষণার মধ্য দিয়ে আগামী ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধিত অধিকাংশ দলের অংশগ্রহণ ছাড়া এ নির্বাচন একতরফা হবে কি না, এ নিয়ে যেমন প্রশ্ন রয়েছে তেমনি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার বিষয়টিও ভাবা হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির আদলে নির্বাচন; নাকি ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির মতো শেষ পর্যন্ত কমিশন ঘোষিত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না, এ নিয়ে সর্বমহলে সংশয় ও প্রশ্ন রয়েছে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের আপত্তি সত্ত্বেও আগামী ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নিবন্ধিত ৪১টি দলের মধ্যে আওয়ামী লীগসহ তাদের রাজনৈতিক মিত্র ১০টি দল এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। ১৮ দল এ নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবিতে টানা ৬দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। একইসঙ্গে আগামী শনিবার থেকে আবারও টানা ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে এ জোট।
নির্বাচন বর্জন করে বিরোধী জোটের অবরোধ কর্মসূচিতে রেল লাইন উপড়ে ফেলা হচ্ছে। মানুষ মরছে, গাড়ি পুড়ছে। দেশজুড়ে এক অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। দুই রাজনৈতিক জোটের পরস্পর বিরোধী অবস্থানে দেশজুড়ে অজানা আতঙ্ক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। দুই রাজনৈতিক জোটের অনড় অবস্থান রাজনীতিকে ক্রমেই উত্তপ্ত করে তুলেছে। শঙ্কা দেখা দিয়েছে দেশের আগামী দিনের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
সংকট সমাধানে দুই নেত্রীর মধ্যে আলোচনার তাগিদ দিতে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল, মার্কিন রাষ্ট্রদূত, যুক্তরাজ্য, চীন ও ভারতসহ বহির্বিশ্বের চাপ বাড়ছে। দুইপক্ষকে এক জায়গায় বসে তারা নির্বাচনকালীন সরকার ঠিক করার তাগিদ দিচ্ছেন। সংঘাত এড়িয়ে সমঝোতার কথা বলছেন। কিন্তু সমাধান হচ্ছে না সংকটের।
গত বুধবার আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী ও সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বদলীয় সরকারের অধীনে এবং নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী যথাসময়ে সংসদ নির্বাচনের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘‘ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হবে। কমিশন ঘোষিত তফসিলের পরির্তন মানবে না আওয়ামী লীগ।’’
শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি জোট নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিলেও এতে তেমন পাত্তা দিচ্ছেন না আওয়ামী লীগের নেতারা। তারা মনে করেন, নির্বাচন প্রতিহত বা প্রতিরোধের মতো সাংগঠনিক ক্ষমতা বিএনপি জোটের নেই। সম্প্রতি সর্বশেষ ১৪ দলের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, নির্বাচনে কতগুলো দল এলো, সেটা বড় বিষয় নয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলেই নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য হয়।
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন যখন টালমাতাল তখন বাংলাদেশ সফরে আসেন ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং। আলোচনা করেছেন সরকার ও বিরোধী পক্ষের সঙ্গে। অন্যদিকে শুক্রবার আসতে পারেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো। তিনিও সরকার এবং বিরোধী পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। তাদের এ সফরকে গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে সবমহল থেকে। শেষ পর্যন্ত সংকট উত্তরণে তাদের সফর কতটুকু ভূমিকা রাখবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। এ অবস্থায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হবে কিনা। যদি হয় তাহলে সেটি আবার ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো হবে কিনা? নাকি ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির মতো নির্বাচন ভণ্ডুল হবে। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে সবমহলে।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন :
নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বেশির ভাগ দল ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন বর্জন করেছিল। হরতালসহ টানা অবরোধ পালন করে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতসহ বিরোধী দলগুলো। কিন্তু, তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল বিএনপি ফ্রিডম পার্টিসহ কয়েকটি দল নিয়ে একতরফা নির্বাচন করে। তবে সেই বিএনপি সরকার মাত্র দেড় মাস স্থায়ী হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন পাস করে বিদায় নিতে হয় বিএনপিকে। ওই নির্বাচনে মোট কেন্দ্র ছিল ২৪ হাজারের মতো। শেষ পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার সংকট দেখা দিলে কেন্দ্রের সংখ্যা ২১ হাজারে নামিয়ে আনা হয়। নির্বাচনে মাঠ কর্মকর্তারা ভোট বর্জনকারীদের হাতে নাজেহাল হয় সারাদেশে। তখনকার বিরোধী দলের প্রতিরোধের মুখে সারাদেশের কয়েক হাজার ভোট কেন্দ্রে ঢুকতেই পারেননি কর্মকর্তারা। অনেক কেন্দ্র ভোটারহীন থাকলেও ভোটগ্রহণ হয়।
সেবার ৩০০ আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন। নির্বাচন হয় ২৫২টি আসনে। শেষপর্যন্ত কমিশন ২৪২ আসনের নির্বাচনের ফল গেজেট আকারে প্রকাশ করে। বাকি ১০টি আসনের নির্বাচনী ফল কমিশনে পৌঁছায়নি।
১৫ ফেব্রুয়ারির সেই নির্বাচনে কমিশনের মোট ব্যয় হয় ৬৪ কোটি টাকা। তার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পেছনেই ব্যয় হয় ৪৮ কোটি টাকা।
প্রেক্ষাপট ২২ জানুয়ারি ২০০৭ :
দেশ জুড়ে চরম রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দেয় বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট। অন্যদিকে এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট।
২০০৭ সালের ১০ জানুয়ারি রাজধানীর পল্টন ময়দানে মহাজোট এবং কুমিল্লায় চারদলীয় জোটের বড় জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন মহাজোটের জনসভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২২ জানুয়ারি একপেশে নির্বাচন হবে না। যেকোনো মূল্যে এ নির্বাচন প্রতিহত করা হবে। কোনো ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। প্রহসনের নির্বাচনে অংশ নেবেন না। যদি কেউ যান তবে গণদুশমনে পরিণত হবেন।’ জনসভা থেকে তিনি একতরফা নির্বাচন প্রতিরোধে মহাজোটের পক্ষ থেকে ১৪ থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা বঙ্গভবন ঘেরাও, ১৪ ও ১৫ এবং ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি এবং ২১ ও ২২ জানুয়ারি সারাদেশে হরতাল কর্মসূচির ডাক দেন।
অন্যদিকে একইদিন চারদলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার স্বার্থে এ নির্বাচন থেকে পিছু হটার সুযোগ নেই। এ নির্বাচনে যারা বাধা দিতে আসবে, তাদের প্রতিহতের আহ্বান জানান তিনি।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সামরিক হস্তক্ষেপে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমদ দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন এবং ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ‘ওয়ান ইলেভেন’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ওই তারিখের মাত্র দুইদিন আগে ৮ ও ৯ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে দুটি বার্তা পাঠান ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া এ বিউটেনিস। বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী ওয়েবসাইট উইকিলিকসে এ গোপন বার্তায় সে সময়ের রাজনৈতিক পটভূমি উঠে আসে।
বার্তায় বিউটেনিস লেখেন, সেনাবাহিনী বিশ্বাসভঙ্গ করে অভ্যুত্থান করতে পারে, কিংবা দুই নেত্রীকে নির্বাসনে পাঠানো হতে পারে-এ ধরনের কোনো আশঙ্কা মনে ঠাঁই দিতে প্রস্তুত ছিলেন না সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। শেখ হাসিনাও এ দুটি গুজবকে উড়িয়ে দিয়ে রসিকতা করে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসন দিলে তার জন্য ভালোই হবে, তিনি নাতনির সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন।
বাংলাদেশে তখনকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া বিউটেনিস ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনা এবং ৭ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন।
উইকিলিকসে প্রকাশিত বার্তায় বলা হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সামরিক হস্তক্ষেপ কিংবা সামরিক আইন জারি এবং দুই নেত্রীকে দেশত্যাগে বাধ্য করার মতো সম্ভাবনা নিয়ে খালেদা ও হাসিনাকে সতর্ক করে রাজনৈতিক সমঝোতার প্রস্তাব দেন এ দুই কূটনীতিক। দুই নেত্রীকেই তারা বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের একটি অংশের অনুরোধে তারা সমঝোতার প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন এবং তাদের দেশ সামরিক অভ্যুত্থানের মতো কোনো অসাংবিধানিক ঘটনায় সমর্থন বা উৎসাহ দেবে না।
বিউটেনিস ও আনোয়ার চৌধুরী আরো বলেন, কেবল দুই নেত্রীর সাহসী পদক্ষেপের মাধ্যমেই এ রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান হতে পারে।
পরদিন ৭ জানুয়ারির একান্ত বৈঠকে কোনো ধরনের সামরিক অভ্যুত্থানের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে খালেদা জিয়া এ দুই কূটনীতিকের কাছে দাবি করেন, তিনি সব সময়ই আওয়ামী লীগের সঙ্গে বসতে প্রস্তুত ছিলেন, কিন্তু শেখ হাসিনা কখনোই তাতে সাড়া দেননি। এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে মন্তব্য করে খালেদা জিয়া সমঝোতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং ২২ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেন।
তার বার্তায় বিউটেনিস আরো লিখেছেন, খালেদা জিয়ার ধারণা হয়েছিল, আওয়ামী লীগের পিঠ এবার সত্যিসত্যি দেওয়ালে ঠেকে গেছে এবং এ অবস্থা থেকে তারা আর ফিরে আসতে পারবে না।
এর আগে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে তৎকালীন বিএনপির মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভুইয়া ও আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মাঝে মধ্যে তারা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, বৈঠক ফলপ্রসু হয়েছে। সংকট সমাধান হবে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত আর সংকটের সমাধান হয়নি। তৎকালীন রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারতসহ কূটনীতিক মহল তৎপর হয়ে ওঠেন। আলোচনায় বসেন দুই পক্ষের সঙ্গে। কিন্তু, তাদের তৎপরতার ফলও শুভ হয়নি। পরবর্তীতে অনাকাঙ্ক্ষিত বহুল আলোচিত ১/১১-এর ঘটনা ঘটে।
বিশিষ্টজনেরা যা বললেন :
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন দ্য রিপোর্টকে বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ১৯৯৬ এর ১৫ ফেব্রুয়ারি কিংবা ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির চাইতেও ভয়াবহ।
যেভাবে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে তাতে সামনের অবস্থা আরো ভয়াবহ মন্তব্য করে তিনি বলেন, সংকট সমাধানের কোনো পথ দেখছি না।
বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. পিয়াস করিম দ্য রিপোর্টকে জানান, যেখানে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধিত অধিকাংশ দল ঘোষিত নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না সেখানে শঙ্কা তো থাকবেই। প্রধান বিরোধী দলসহ অধিকাংশ নিবন্ধিত দলকে বাদ দিয়ে সরকার যে একতরফা নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এতে সংকট আরো ঘনীভূত হচ্ছে। দেশ ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ধারাবাহিকতা নাকি ২০০৭ সালের একতরফা নির্বাচনের সিদ্ধান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক মহলের প্রচেষ্টায় চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সমাধানের আশা ক্রমেই কমে যাচ্ছে। সংকট সমাধানে সরকার পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে বিরোধী দল তাদের দাবি থেকে সরে আসছে না। এ অবস্থায় সংকট সমাধানের তেমন সম্ভাবনা দেখছি না। দেশ এক অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে যাচ্ছে।
(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এইচএসএম/ডিসেম্বর ০৫, ২০১৩)
পাঠকের মতামত:
- ২৪ ঘণ্টায় ৯৩ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার, বেশি লালবাগ-তেজগাঁওয়ে
- তালাকের আবেদন আসাদের স্ত্রীর, অস্বীকার ক্রেমলিনের
- আতশবাজি ও রাহাতের সুরের মূর্ছনায় শুরু বিপিএল উন্মাদনা
- কমোডিটি ডেরিভেটিভসের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে: বিএসইসি
- রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
- "মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এখন দেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ"
- ২০২৫ সালে মাধ্যমিকে ছুটি ৭৬ দিন, একটানা বন্ধ ২৮ দিন
- "চেতনার কথা বলে বাংলাদেশকে অন্য দেশের কাছে ইজারা দিয়েছিল হাসিনা"
- আসুন বিভেদ ভুলে বাংলাদেশকে গড়ে তুলি: মির্জা ফখরুল
- ‘শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন কেবল ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলার জন্য’
- ঢাকার চিঠি পেয়েছে দিল্লি, নিশ্চিত করলেন মুখপাত্র জয়সওয়াল
- মিনিস্টারের ‘কোটিপতি হোন’ অফারে লাখপতি হলেন জামালপুরের হাবিবুর রহমান
- দেশব্যাপী গ্রাহকসেবা সপ্তাহ শুরু করলো ওয়ালটন
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে সিটিজেন’স চার্টার অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
- রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন
- ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে অর্ধকোটি গ্রাহকের মাইলফলক
- ইসলামী ব্যাংকের শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
- ইসলামী ব্যাংকে সাইবার সিকিউরিটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- নবম ওয়ালটন কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু বৃহস্পতিবার
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের নতুন এএমডি রাফাত উল্লা খান
- ওয়ালটনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এস এম নজরুল ইসলামের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
- রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেল ইসলামী ব্যাংক
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের “রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড - ২০২৪” অর্জন
- এমডি অব দ্য ইয়ার হলেন ওয়ালটনের এস এম মাহবুবুল আলম
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৪১১তম সভা অনুষ্ঠিত
- ব্রাজিলে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, আরোহীদের কেউ বেঁচে নেই
- চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নেই স্টোকস, ফিরলেন রুট
- দেশের দীর্ঘতম ম্যারাথন ‘কোস্টাল আলট্রা’র নিবন্ধন শুরু
- ভারত ইস্যুতে কথা বলাতেই ছাত্রলীগ আমার ওপর হামলা করে: নুর
- যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ
- ২১ দিনেই প্রবাসী আয় এলো ২৪ হাজার ৮৬ কোটি টাকা
- বাতিল হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক’ প্রকল্প
- উদ্ধার হয়নি লুট হওয়া ১৪৫৬ আগ্নেয়াস্ত্র, নিরাপত্তায় বড় হুমকি
- না ফেরার দেশে আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আরাফাত, বিকেলে জানাজা
- হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারের দিকে তাকিয়ে ইউজিসি
- কাজের মাধ্যমে জনবান্ধব পুলিশ হতে চাই : ডিবি প্রধান
- ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীদের
- ঢাকার বাতাস আজ খুবই অবস্থ্যকর
- সিভিল সার্ভিসে বিশৃঙ্খলার শঙ্কা, কলমবিরতি-মানববন্ধন-সমাবেশের ঘোষণা
- ইয়েমেনে ফের যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা
- সংসদ নির্বাচন ইভিএমে হবে না, যন্ত্রগুলো কী করবে ইসি
- আগে তথ্য লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা
- তিন বিভাগে বৃষ্টি, কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা
- এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি লাখ ছুঁই ছুঁই
- পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ১২ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা
- অবৈধ বাংলাদেশিদের আটক রাখতে ‘ডিটেনশন সেন্টার’ বানাবে মহারাষ্ট্র
- সাকিব-তামিম চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য ‘অ্যাভেইলেবল’: বিসিবি সভাপতি
- এশিয়া কাপজয়ীদের ৩ লাখ করে পুরস্কারের ঘোষণা বিসিবির
- জনগণের সঙ্গে প্রতারণার কোনো সুযোগ আর নেই: সাকি
- গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের খসড়া তালিকা প্রকাশ, দেওয়া যাবে মতামত ও তথ্য
- জঙ্গিবাদের উত্থান বাংলাদেশে হবে না: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
- ‘জনশক্তি’ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি : জাতীয় নাগরিক কমিটি
- চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি, চাঁদাবাজ পরিবর্তন হয়েছে: হাসনাত
- সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
- গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন
- মাওলানা সাদের অনুসারী মোয়াজ বিন নুর গ্রেপ্তার
- আরও আগেই আমার ইউক্রেন আক্রমণ করা উচিত ছিল: পুতিন
- টেস্ট ও ওয়ানডে থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়েছেন, বলছেন লিটন
- গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা বন্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপের আহ্বান ড. ইউনূসের
- এটা আমার জীবনের লাস্ট ইনিংস: মাহমুদুর রহমান
- হাসিনাকে উৎখাত করে ইকোনমিস্টের ‘কান্ট্রি অব দ্য ইয়ার’ বাংলাদেশ
- সাবেক এমপি আনারের দেহাংশের সঙ্গে আংশিক মিলেছে মেয়ের ডিএনএ
- ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
- নিয়ন্ত্রণে আসেনি রেস্টুরেন্টের আগুন, ৬ জনকে উদ্ধার
- চাল-মুরগির দাম বাড়তি, বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ এখনো কম
- বেনাপোল সীমান্তে ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে মিলল তিন মরদেহ
- ভূমিকম্পে ভানুয়াতুতে নিহত বেড়ে ১৪
- আচমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে অশ্বিন
- অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর বৃষ্টি বাধা, ভেসে গেল ব্রিসবেন টেস্ট
- বাড়ছে শীত বাড়ছে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ
- ব্যবসায়ীরা খুব শক্তিশালী, সেটা ভাঙা সহজ না : অর্থ উপদেষ্টা
- কেউ নির্বাচন করতে চাইলে ক্ষমতা ছেড়ে করতে হবে: সাখাওয়াত হোসেন
- মোদির বিতর্কিত পোস্ট : মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরল সরকার
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রশ্নে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
- ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আ.লীগের গুম-খুনের জবাব দেব: তারেক রহমান
- কর্মীদের বেতন বাড়ালেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট, সর্বোচ্চ ৫০%
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রশ্নে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
- ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ
- ইজতেমা মাঠ দখল নিয়ে মুসল্লিদের দুপক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ২
- আরও আগেই আমার ইউক্রেন আক্রমণ করা উচিত ছিল: পুতিন
- ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
- এটা আমার জীবনের লাস্ট ইনিংস: মাহমুদুর রহমান
- ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
- ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আ.লীগের গুম-খুনের জবাব দেব: তারেক রহমান
- গুমের ঘটনায় হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মাইকেল চাকমার অভিযোগ
- হাসিনাকে উৎখাত করে ইকোনমিস্টের ‘কান্ট্রি অব দ্য ইয়ার’ বাংলাদেশ
- যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ
- সাদপন্থিদের ধৈর্য ধরতে বললেও কথা রেখেনি : হাসনাত আব্দুল্লাহ
- ১১ বছর পর দেশে ফিরছেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক
- সাবেক এমপি আনারের দেহাংশের সঙ্গে আংশিক মিলেছে মেয়ের ডিএনএ
- এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান ৩ দিনের রিমান্ডে
- কেউ নির্বাচন করতে চাইলে ক্ষমতা ছেড়ে করতে হবে: সাখাওয়াত হোসেন
- রাশিয়ার রাসায়নিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান বোমা হামলায় নিহত
- গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন
- বাড়ছে শীত বাড়ছে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ
- মাওলানা সাদের অনুসারী মোয়াজ বিন নুর গ্রেপ্তার
- গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা বন্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপের আহ্বান ড. ইউনূসের
- আচমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে অশ্বিন
- নিয়ন্ত্রণে আসেনি রেস্টুরেন্টের আগুন, ৬ জনকে উদ্ধার
- মোদির বিতর্কিত পোস্ট : মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরল সরকার