thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল 24, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ২০ শাওয়াল 1445

সিরাজগঞ্জে গ্রামপুলিশের মানবেতর জীবনযাপন

২০১৩ ডিসেম্বর ০৬ ১০:১৪:৫৭
সিরাজগঞ্জে গ্রামপুলিশের মানবেতর জীবনযাপন

সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা : সিরাজগঞ্জে ৮ শতাধিক গ্রামপুলিশ কর্মক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। স্বল্প বেতনে চাকরি করায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ বাহিনীর কাজের পরিধি বাড়লেও অমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সরকারিকরণ হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলার ৮২টি ইউনিয়নে ৮৩২ জন গ্রামপুলিশ কর্মরত রয়েছেন। তাদের কাজ তদারকি করার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে দফাদার রয়েছেন। গ্রামপুলিশরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে কাজেকর্মে নানাভাবে সহযোগিতার পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে সংগঠিত বিভিন্ন অপরাধের তদন্ত, জন্ম-মৃত্যুর তালিকা প্রণয়ন, ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক ও বিধবা ভাতা এবং অপরাধ বিষয়ক তথ্য সংশ্লিষ্ট থানায় সরবরাহসহ গ্রামাঞ্চল পাহারার কাজ করে থাকেন। কিন্তু তাদের এমন দায়িত্ব পালনে নির্দেশ থাকলেও কর্মক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা ও আর্থিক নিশ্চয়তা না থাকার কারণে গ্রামবাংলার অতন্দ্র প্রহরী এই গ্রামপুলিশ পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে ও অনাহারে জীবনযাপন করছেন দীর্ঘদিন ধরে।

গ্রামপুলিশ কর্মচারী ইউনিয়নের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আবুল কালাম ক্ষোভের সঙ্গে বলছেন, গ্রামাঞ্চলের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকলেও আমাদের নিজের জীবন ও পরিবারের কোনো নিরাপত্তা নেই, নেই কোনো নিশ্চিত ভবিষ্যৎ। এ বাহিনীর পদবির পরিবর্তন হলেও এ পর্যন্ত ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে চাকরি জাতীয়করণের দাবিসহ নানা কর্মসূচি ও আন্দোলন করলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এই ন্যায্য দাবি আজও বাস্তবায়ন হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মরত একাধিক গ্রামপুলিশ জানান, গ্রামপুলিশদের এই স্বল্প বেতন-ভাতা ২ ভাগে বিভক্ত। বেতনের অর্ধেক অংশ সরকার থেকে এবং অবশিষ্ট অংশ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রদান করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বেতনের অংশ যথাসময় পাওয়া গেলেও সরকারি অংশ পেতে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়।

অভিযোগ রয়েছে, ১৯৭৫ সালে গ্রামপুলিশদের জন্য আলাদা একটি বেতন স্কেল নির্ধারণ করা হয়। এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি সব জেলা প্রশাসকের দফতরে পরিপত্র পাঠানো হয়। এ বেতন স্কেলের পরিপত্র পাঠানো হলেও দীর্ঘ ৩৮ বছর অতিক্রান্ত হলেও সেই উদ্যোগ আজও বাস্তবায়ন হয়নি।

এদিকে বর্তমান একজন দফাদারের বেতন ২১০০ টাকা। এর মধ্যে সরকার ১২০০ টাকা এবং স্থানীয় সরকার দেয় ৯০০ টাকা। একজন গ্রামপুলিশের বর্তমান বেতন ১৯০০ টাকা। সরকার দেয় ১১০০ টাকা ও স্থানীয় সরকার দেয় ৮০০ টাকা। তারা এই স্বল্প বেতনে চাকরি করে অগ্নিমূল্য বাজারে জীবন-যাপন কষ্টকর।

(দ্য রিপোর্ট/আরএইচ/এএস/ডিসেম্বর ০৬, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর