thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১,  ২২ জমাদিউস সানি 1446

প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিজেই নেবেন কাদের মোল্লা

২০১৩ ডিসেম্বর ০৮ ০০:২৯:০৮
প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিজেই নেবেন কাদের মোল্লা

কাওসার আজম, দ্য রিপোর্ট : রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার (মার্সি) ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন আব্দুল কাদের মোল্লা নিজেই। এ কথা জানিয়েছেন তার বড় ছেলে জামিল হাসান। দ্য রিপোর্টকে তিনি বলেন, ‘রায়ের সার্টিফাইড কপি পড়ার পর রাষ্ট্রপতির কাছে মার্সির (ক্ষমা প্রার্থনা) আবেদন করবেন কী করবেন না, এ সিদ্ধান্ত তিনি নিজেই নেবেন।’ তবে ক্ষমা প্রার্থনা চাওয়ার বিপক্ষে জামায়াতে ইসলামীর দলীয় মতামত থাকলেও বিষয়টি পুরোপুরি কাদের মোল্লার ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। ওই দিন রাতেই কাদের মোল্লাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।

আব্দুল কাদের মোল্লার বড় ছেলে জামিল হাসান শনিবার জানান, গতকাল (শুক্রবার) নিয়মিত সাক্ষাৎকারের অংশ হিসেবে তিনি ও তার ৩ বোনসহ ৫ জন জেলখানায় কাদের মোল্লার সঙ্গে দেখা করেছেন। এ সময় তার বাবাকে স্বাভাবিক অবস্থায় দেখেছেন উল্লেখ করে জামিল বলেন, ‘বাবা আমাদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে কথা বলেছেন এবং পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছেন।’

কাদের মোল্লার ছেলে বলেন, ‘এতদিন প্রতি দুই সপ্তাহ পর পর তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেলেও এখন আর এ সুযোগ থাকছে না। পরবর্তীতে এক মাস পর অর্থাৎ আগামী ৬ জানুয়ারি তার সঙ্গে দেখা করা যাবে।’

আপিলের বিরুদ্ধে রিভিউ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউয়ের সুযোগ রয়েছে। আইনজীবীরা নিয়ম অনুযায়ী রিভিউয়ের আবেদন করবেন। রিভিউ নিষ্পত্তির পর জেল কর্তৃপক্ষকে বাবা তার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন।’

রিভিউয়ের সুযোগ না থাকলে বা রায় বহাল থাকলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা হবে কি না জানতে চাইলে জামিল হাসান বলেন, ‘এখনো তিনি (কাদের মোল্লা) রায়ের সার্টিফাইড কপি হাতে পাননি। সার্টিফাইড কপি পড়ার পর রাষ্ট্রপতির কাছে মার্সির (ক্ষমা প্রার্থনা) আবেদন করবেন কী করবেন না, এ সিদ্ধান্ত তিনি নিজেই নেবেন।’

এ ব্যাপারে কাদের মোল্লার আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন খান দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘রায়ের সার্টিফাইড কপির জন্য ইতোমধ্যে আবেদন করা হয়েছে। রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউয়ের জন্য আমাদের এক মাস অর্থাৎ ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় রয়েছে। তবে, চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে কবে নাগাদ রিভিউ আবেদন করা হবে তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

রিভিউয়ের সুযোগ না থাকলে বা রায় বহাল থাকলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা হবে কি না জানতে চাইলে ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ কাদের মোল্লা সাহেবের ব্যক্তি বা পারিবারিক ব্যাপার। তবে তিনি যেহেতু জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, সেহেতু দলগতভাবেও কিছু বিষয় থাকে। তবে, দলীয় সিদ্ধান্ত ক্ষমা চাওয়ার বিপক্ষে।’

গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যা গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়।

এর আগে চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এর পর শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে।

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এস/এইচএসএম/ডিসেম্বর ০৭, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

বিশেষ সংবাদ এর সর্বশেষ খবর

বিশেষ সংবাদ - এর সব খবর