thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ 25, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১,  ৪ রমজান 1446

বিটিসিএলের তদন্ত প্রতিবেদনে নেই প্রভাবশালীরা

২০১৩ ডিসেম্বর ১২ ১৮:০০:৪৬
বিটিসিএলের তদন্ত প্রতিবেদনে নেই প্রভাবশালীরা

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) বিরুদ্ধে দায়ের করা চারটি মামলার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তকারী কর্মকর্তা। তবে মামলা দু’টির তদন্ত প্রতিবেদনে আসামি হিসেবে নেই প্রভাবশালীরা।

দু’টি মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে মোট ১০ জনকে আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে তদন্ত পর্যায়ে নতুন করে একজন আসামি হিসেবে যুক্ত হয়েছে। বাকি ৯ জন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। গত নভেম্বরের শেষের দিকে ওই দু’টি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিলের বিষয়টি দুদক চেয়ারম্যান অস্বীকার করলেও সংশ্লিষ্ট সূত্র প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি দ্য রিপোর্টকে নিশ্চিত করেছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘বিটিসিএলের তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে পেশ করা হয়েছে কি না, তা আমি এখনো জানি না।’

দুদক সূত্র জানায়, তদন্ত প্রতিবেদনে ৫৭৫ কোটি ৩৩ লাখ ৮২ হাজার ৯৭৫ টাকা সরকারি রাজস্ব ক্ষতিপূর্বক আত্মসাতের দায়ে (মামলা নম্বর-৪০) মোট চার জনকে আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এরা হলেন- বিটিসিএলের সাবেক বিভাগীয় প্রকৌশলী (আইটিএক্স অ্যান্ড ট্রাস্ক) মো. হাবিবুর রহমান প্রামাণিক, সাবেক সহকারী বিভাগীয় প্রকৌশলী রোনেল চাকমা এবং মো. বদিউল আলম। আর নতুন করে এডিই মোস্তফা সালামকে আসামি করার সুপারিশ করা হয়েছে।

এছাড়া ওই তদন্ত প্রতিবেদনে সাত জনকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। এরা হলেন- বিটিসিএলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. মো. আবু সাইদ খাঁন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত এমডি আজিজুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (রক্ষণাবেক্ষণ ও চালনা) ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ তৌফিক, সাবেক জিএম (ওটিআর) আনোয়ারুল মামুন, এলএম অ্যারিকসন বাংলাদেশ লিমিটেডের কন্ট্রাক্ট ম্যানেজার আসিফ জাহিদ চৌধুরী, সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার মাসরুরুল হাকিম এবং রবির কাস্টমার অপারেশন ম্যানেজার নজরুল ইসলাম।

সূত্র আরও জানায়, ২২ কোটি ৭২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৮২ টাকা সরকারি রাজস্ব ক্ষতিপূর্বক আত্মসাতের দায়ে দায়ের করা মামলার (মামলা নম্বর-৩৯) তদন্ত প্রতিবেদনে মোট ছয় জনকে আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এরা হলেন- বিটিসিএলের সাবেক বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ খোরশেদ হাসান, মো. হাবিবুর রহমান প্রামাণিক, সাবেক এডিই মো. সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী বিভাগীয় প্রকৌশলী মোসা. মনীরা বেগম, সাবেক সহকারী বিভাগীয় প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ কায়সার এবং সাবেক সহকারী বিভাগীয় প্রকৌশলী (আইটিএক্স) রোনেল চাকমা।

এছাড়া ওই তদন্ত প্রতিবেদনে আট জনকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। এরা হলেন- বিটিসিএলের ভারপ্রাপ্ত এমডি এসওএম কলিম উল্লা, সাবেক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. মো. আবু সাইদ খাঁন, সাবেক সদস্য (রক্ষণাবেক্ষণ ও চালনা) ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ তৌফিক, সাবেক জিএম (ওটিআর) আনোয়ারুল মামুন, সাবেক সহকারী বিভাগীয় প্রকৌশলী (আইটিএক্স), মু. মোক্তার আহমেদ, এলএম অ্যারিকসন বাংলাদেশ লিমিটেডের কন্ট্রাক্ট ম্যানেজার আসিফ জাহিদ চৌধুরী, সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার মাসরুরুল হাকিম এবং রবির কাস্টমার অপারেশন ম্যানেজার নজরুল ইসলাম।

বিটিসিএল সূত্র জানায়, কল রেকর্ড গায়েব করার পেছনে শুধুমাত্র নিম্নস্তরের কর্মকর্তারা জড়িত থাকতে পারে না। উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত ছাড়া এসব অপকর্ম করা সম্ভব নয়। মূলত এ অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত মূল হোতাদের আড়াল করার পাঁয়তারা চলছে।

বিটিসিএলের গুরুত্বপূর্ণ ওই মামলা দু’টি তদন্ত করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া ৮৩ লাখ টাকা এবং আট কোটি ৬৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা আরও দু’টি মামলা দুদকের তদন্তাধীন রয়েছে। দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক এসএম সাহিদুর রহমান এবং মাহমুদ হাসান ওই দু’টি মামলার তদন্ত করছেন।

প্রসঙ্গত, প্রায় ৬০৮ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে গত ২৯ আগস্ট বিটিসিএলের সাবেক ও বর্তমান পাঁচ এমডিসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ৪টি মামলা করে দুদক।

(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/নূরু/এনডিএস/ডিসেম্বর ১২, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর

অর্থ ও বাণিজ্য - এর সব খবর