thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২১ জমাদিউল আউয়াল 1446

নতুন খাতে ঋণের ঊর্ধ্বসীমা আরোপ করবে না বাংলাদেশ ব্যাংক

২০১৩ ডিসেম্বর ১২ ১৮:২৮:৪৮
নতুন খাতে ঋণের ঊর্ধ্বসীমা আরোপ করবে না বাংলাদেশ ব্যাংক

দ্য রিপোর্ট জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : রফতানি ও কৃষি খাতে বিদ্যমান ঋণের ঊর্ধ্বসীমা ছাড়া নতুন করে অন্য কোনো খাতে তা আরোপের পক্ষপাতী নয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকিং খাতে ঋণের সুদের হার সংক্রান্ত এফবিসিসিআই’র ১১ দফা সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি এ মতামত ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকিং খাতে ঋণের সুদের হার কমিয়ে আনতে এফবিসিসিআই বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে করা সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- সুদের হার যৌক্তিক করার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পলিসি প্রণয়ন, কিছু নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্তের দ্বারা সুদের হার কমিয়ে আনা; কৃষি খাত, মেয়াদি শিল্প ও চলতি মূলধন ঋণসহ শিল্প খাতের সব ঋণের সুদের হার প্রাক্কলিত ‘কস্ট অব ফান্ড’-এর চেয়ে ৩ শতাংশ বেশি নির্ধারণ (তবে ১৩ শতাংশের বেশি নয়) ও অন্যান্য খাতে ৫ শতাংশের মধ্যে নির্ধারণ করা এবং দুই বছরের জন্য প্রকল্প ঋণের সুদের হার সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ নির্ধারণ।

এর জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, বিদ্যমান বাজার অর্থনীতিতে ব্যাংকগুলো স্বাধীনভাবে আমানত ও ঋণের সুদের হার নির্ধারণ করছে। তবে গত ২০০৯ সালে বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতিতে শিল্প খাতসহ কয়েকটি খাতে ঋণের সুদের হারে ঊর্ধ্বসীমা আরোপ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১২ সালে প্রি-শিপমেন্ট রফতানি ও কৃষি খাত ছাড়া অন্যান্য খাতে ঋণের ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার করা হয়। বর্তমানে উল্লেখিত দুই খাতে যথাক্রমে সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ ও ১৩ শতাংশ সুদ নির্ধারিত রয়েছে। এ অবস্থায় পুনরায় কোনো খাতে সুদের হারের ঊর্ধ্বসীমা আরোপ করা সমীচীন হবে না।

ঋণের সুদের হার কমিয়ে আনার জন্য এফবিসিসিআই’র অন্যান্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- ব্যাংকগুলোর পরিচালনা ও প্রশাসনিক উচ্চ ব্যয় হ্রাস, খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনা, খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে নীতিমালা প্রণয়ন, বিদ্যমান শ্রেণিবিন্যাসিত নীতিমালার পরিবর্তে পূর্ববর্তী নীতিমালা বহাল করা, প্রয়োজনে ১ বছর পর নতুন নীতিমালা প্রণয়ন, রি-পেমেন্টের সময়সীমা ২ বছর নির্ধারণ এবং সে অনুযায়ী রি-শিডিউল করা ইত্যাদি।

এছাড়া দক্ষ ও সুলভ মূল্য সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর তদারকি নিশ্চিত করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেছে এফবিসিসিআই।

এফবিসিসিআই’র এসব সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ব্যাংকগুলোর পরিচালনা ও প্রশাসনিক উচ্চ ব্যয় হ্রাসে ইতোপূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করেছে। এছাড়া ঋণ শ্রেণিকরণ, প্রভিশনিং ও পুনঃতফসিলিকরণের বিষয়ে ২০১২ সালে দু’টি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

এছাড়া এফবিসিসিআই’র সুপারিশে ব্যাংকিং খাতে আমানত ও ঋণের সুদের হারের ব্যবধান (স্প্রেড) ৩ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনা এবং ঋণ প্রদানে গুণগত মানের ওপর গুরুত্ব দেওয়া, খাতভিত্তিক ঋণ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও উৎপাদনশীল খাতে ঋণ বিতরণ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ব্যাংকগুলো নিজস্ব বিবেচনায় বিভিন্ন খাতে ঋণ দিয়ে থাকে। তবে অগ্রাধিকার খাত বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিবছর কৃষি খাতে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়। এছাড়া অনুৎপাদনশীল খাতে ঋণপ্রবাহ হ্রাসে ভোক্তাঋণ খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কোনো অবস্থাতেই ব্যাংকের মোট ঋণের গড় প্রবৃদ্ধির চেয়ে বেশি হবে না- এ মর্মে ২০১২ সালে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

স্প্রেড কমিয়ে আনা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকগুলোর সমন্বিত স্প্রেড কমেছে। গত সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতে সমন্বিত স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ০১ শতাংশ। এর আগে গত জুনে সমন্বিত স্প্রেডের পরিমাণ ছিল ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ।

(দ্য রিপোর্ট/এসআর /নূরু/এনডিএস/ডিসেম্বর ১২, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর

অর্থ ও বাণিজ্য - এর সব খবর