thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২১ জমাদিউল আউয়াল 1446

‘বল আপনাদের কোর্টে, সিদ্ধান্ত নিন’

২০১৩ অক্টোবর ২৪ ১৯:১২:৪৪ ০০০০ 00 ০০ ০০:০০:০০
‘বল আপনাদের কোর্টে, সিদ্ধান্ত নিন’
দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : ‘এতোদিন বলেছেন নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে কোন রূপরেখা দিই না। সংসদে যায় না। এবার তো রূপরেখা দিয়েছি, সংসদেও তা উপস্থাপন করেছি। বল এখন আপনাদের কোর্টে সিদ্ধান্ত যা নেয়ার আপনাদের নিতে হবে।’

বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা যে প্রস্তাব দিয়েছি সে প্রস্তাবই সংবিধান অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা সম্ভব।’

শুক্রবার ১৮ দলের সমাবেশের অনুমতি দিয়ে তাতে কোন প্রকার বাধা-বিঘ্ন সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আগামীকালের সমাবেশে সরকারের বাধার ফলে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে তার দায়দায়িত্বও সরকারকে নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আজকের পর থেকে আপনারা আর বৈধ সরকার নন। আর অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা সকল নাগরিকের দায়িত্ব। এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ করিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি জনগণের ও গণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে।’

খালেদা জিয়া বলেন, ‘বর্তমান সরকার দাবি করে তারা নাকি গণতান্ত্রিক সরকার। তারা ক্ষমতায় আসার পর থেকে কথায় কথায় ১৪৪ ধারা জারি করে, সভাসমাবেশ নিষিদ্ধ করে, টকশো বন্ধ করে, টেলিভিশনগুলো ভিন্ন মত প্রকাশে বাধা দেয়। নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার সভাসমাবেশ করা সেগুলো যারা বন্ধ করে তাদের গণতান্ত্রিক সরকার বলা যায় না। আপনারা বলছেন আপনাদের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। নির্বাচনের আগেই ভয়ে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করছেন, অনেককেই গুম করছেন, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে পঙ্গু করে দিচ্ছেন। আপনারা নির্বাচনের সময় কি করবেন তা জনগণ জানে। তাই নিজেদের অধীনে নির্বাচন করার স্বপ্ন বাদ দিন। আপনাদের অধীনে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।’

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার বলে তাদের নাকি জনপ্রিয়তা বেড়েছে। তাই যদি হয় অন্তত জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন, দেখুন জনগণ কি করে।’

সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বর্তমানে সরকারি ব্যাংক আর সরকারের নেই। পত্রিকায় খবর এসেছে সোনালী ব্যাংক আগের অবস্থায় ফিরে যেতে সাড়ে তিনশো বছর সময় লাগবে। সবাই জানে বর্তমান সরকার জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে আগেও ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু তারা ক্ষমতায় এসে তাদের নিজেদের লোক দিয়ে শেয়ারবাজার লুট করিয়েছিল। এবারও তারা শেয়ারবাজারকে ধ্বংস করে দিয়েছে। পদ্মাসেতুর টাকা মেরে খাওয়ার জন্য সেটি বন্ধ হয়ে গেছে।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আপনাদের এতো আপত্তি কেন? ১৭৩ দিন হরতাল দিয়ে, ভাংচুর, জ্বালাও-পোড়াও করে, গান পাউডার দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছেন এই তত্ত্বাধায়ক সরকারের দাবিতে। এখন নিজেদের ইচ্ছা মতো সংবিধান সংশোধন করে সেটিকে বাতিল করেছেন। যতই সংবিধানের কথা বলুন না কেন, আপনাদের অধীনে কোন নির্বাচন হবে না।’

শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের এই সমাবেশে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজ কোন আশ্বাস দেয়ার সময় নেই। আজ আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন এই অগণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষা খাতকে প্রথম প্রাধান্য দেবে। শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করবে।’

শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রুহুল আমীল গাজী প্রমুখ।

(দিরিপোর্ট২৪/আরএইচ/এমডি/অক্টোবর ২৪, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর