thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২১ জমাদিউল আউয়াল 1446

সোহরাওয়ার্দীতেই ১৮ দলের সমাবেশ

২০১৩ অক্টোবর ২৫ ০৮:৩১:৪৮ ০০০০ 00 ০০ ০০:০০:০০
সোহরাওয়ার্দীতেই ১৮ দলের সমাবেশ
দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : পুলিশের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করতে রাজি হয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট।

বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা সমঝোতা ও শান্তির স্বার্থে সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে দুপুর ২টায় জনসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করব, এই জনসভায় আগতদের পূর্ণ নিরাপত্তা বিধান সরকার করবে।’

জনসভায় কোনো বাধা এলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় সরকারকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেন ফখরুল।

নির্বাচনকালীন দিন গণনার শুরুতে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের এই সমাবেশে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার বক্তৃতা করার কথা রয়েছে।

শুক্রবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাজধানীতে জনসভা করতে চাইলেও তারা অনুমতি পায়নি। তবে যে কোনো ‘বিশৃঙ্খলা’ ঠেকাতে রাজপথে থাকার সিদ্ধান্ত রয়েছে তাদের।

নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও পুলিশ বিএনপিকে ১৩টি শর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার অনুমতি দেয়। কিন্তু বুধবার এই অনুমতির পর বিএনপি নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভার জন্য ফের আবেদন করে।

তবে বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই সমাবেশ করার অনুরোধ করে পুলিশ। তারা সাংঘর্ষিক কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার বেনজীর আহমেদ।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) আমি অনুরোধ করেছি, আপনারা সোহরাওয়ার্দীতেই সমাবেশ করেন।’

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার অনুমতি পাওয়ার পর বিএনপির যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দিরিপোর্ট২৪কে বলেছিলেন, ‘পুলিশ বিকালে আমাদের শর্তসাপেক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দিলেও সেখানে কর্মসূচি পালন এখন আমাদের পক্ষে সম্ভব না।’

এরপর সন্ধ্যায় বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ঢাকার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে নয়াপল্টনের অনুমতি চেয়ে লিখিত আবেদন করেন।

পুলিশের অনুরোধের পর গুলশানের কার্যালয়ে রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন বিএনপি নেতারা। এরপরই সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে জনসভা করতে রাজি হওয়ার কথা জানান তারা।

ফখরুল বলেন, ‘আমরা শান্তি বজায় রাখতে চাই। আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে ঢাকায় বিভিন্ন মোড়ে কাল (শুক্রবার) জমায়েত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অতীতের অভিজ্ঞতায় এটা সুখকর নয়।’

২০০৬ সালে উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রাজপথে সংঘাতে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা তুলে ধরে সম্প্রতি দলের এক সভায় বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা ‘লগি-বৈঠা’ ঠেকাতে ‘দা-কুড়াল’ নিয়ে তৈরি থাকার আহ্বান জানান।

তার ওই বক্তব্যের পর ২৫ অক্টোবর রাজনৈতিক সংঘাতের আশঙ্কায় দেশজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। এরপর ঢাকায় মিছিল-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় পুলিশ।

একই দিন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির ঘোষণায় দেশের বিভিন্ন স্থানেও সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন জেলায় তা উপেক্ষা করে জনসভার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

ঢাকায় রাজপথে আওয়ামী লীগের অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশা করব, সরকারি দল বিভিন্ন মোড়ে জমায়েত থেকে বিরত থাকবে।’

একই সঙ্গে সারাদেশে সভা-সমাবেশের ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞা ও ১৪৪ ধারা জারির আদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবিও জানান বিএনপির মুখপাত্র।

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট প্রায় দুই সপ্তাহ আগে শুক্রবারের এই জনসভার কর্মসূচি ঘোষণা করে।

সে সময় নয়াপল্টন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও পল্টন ময়দানে জনসভার অনুমতি চেয়ে মহানগর পুলিশের কাছে আবেদন করেছিল তারা।

এরপর আওয়ামী লীগ পাল্টা জনসভার ঘোষণা দিলে সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় পুলিশ। তবে এর মধ্যেই শর্তসাপেক্ষে বিএনপি সমর্থিত কয়েকটি সংগঠনকে সভার অনুমতি দেওয়া হয়।

২৫ অক্টোবর ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে রাজধানীসহ মহানগরীগুলোতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ তাদের সতর্কতা জোরদার করেছে।

(দিরিপোর্ট২৪/ওএস/এএস/জেএম/অক্টোবর ২৫, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর