thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৭ জমাদিউল আউয়াল 1446

এমপি নূরের গাড়িবহরে হামলা

দেড় হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা, আটক ৩

২০১৩ ডিসেম্বর ১৫ ২১:৩৮:২৩
দেড় হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা, আটক ৩

নীলফামারী সংবাদদাতা : জেলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো দুই হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে (নং-১৩)। সদর উপজেলার রামগঞ্জ হাটে শনিবার বিকেলে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবির ও বিএনপিকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়। ওই ঘটনায় পুলিশসহ আহত হয় অর্ধশত।

ওই রাতেই পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আব্দুল ওয়াহেদ (৪২), মোখলেছুর রহমান (৪০) ও নূরুল ইসলাম (৫৮) নামের তিনজনকে আটক করে।

সংঘর্ষের ঘটনায় নীলফামারী সদর থানার ওসি (তদন্ত) বাবুল আহমেদ বাদী হয়ে বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানীসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো দুই হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন (নং-১৩)।

অন্যদিকে, সংঘর্ষে একই এলাকার পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় টুপামারী ইউনিয়নের রামগঞ্জহাট এলাকায় চরম উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। গা ঢাকা দিয়েছেন স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, হামলার ওই ঘটনা ছিল সম্পূর্ন পরিকল্পিত।

আসাদুজ্জামান নূর বৃহস্পতিবার রাতে জামায়াত-শিবিরকর্মীদের দেওয়া আগুনে ভস্মীভূত পলাশবাড়ী ও লক্ষ্মীচাপ বাজার পরিদর্শন শেষে রামগঞ্জহাট হয়ে শহরে ফিরবেন- এটা নিশ্চিত হয়েই হামলার পরিকল্পনা আটে জামায়াত-শিবির। পরে যোগ দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরাও। অতর্কিত হামলার ওই ঘটনায় দেশিয় অস্ত্র দা-ছোরা নিয়ে অংশ নেয় এলাকায় ‘ভাটিয়া’ নামে পরিচিত জামায়াত-শিবিরের সক্রিয় কয়েকশকর্মী। ওই হামলায় এমপি নূরকে বহনকারী গাড়ি ছাড়াও আরো পাঁচটি মাইক্রোবাস ও এএসপি সদর সার্কেলের গাড়িও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয় ৪০টি মোটরসাইকেলে। ইটপাটকেল ও লাঠি-সোটার আঘাতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হওয়া ছাড়াও এএসপি সদর সার্কেল শফিউল আলমসহ অন্তত ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন।

ঘটনার সময় স্থানীয় কৃষক লীগ সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী (৪৫) নিহত হলেও ছাত্রলীগ নেতা দুই ভাই ফরহাদ আলম (৩০) ও মুরাত হোসেনকে (২৫) এবং যুবলীগকর্মী খয়রাত হোসেন লেবুকে (৩৫) ঠান্ডা মাথায় হাত-পা ও পেটে ধারালো ছোরা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। একই সময় বাঁশ বিক্রি করে বাড়ি ফেরার সময় টেংনাগর গ্রামে আফতাব উদ্দিনের পুত্র আবু বক্কর সিদ্দিক (৩০) নিহত হয়। তাকে স্থানীয় বিএনপিকর্মী বলে দাবি করা হয়েছে।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় নয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ১৮ জনকে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রবিবার সকালে নিহতদের বাড়ি গিয়ে শোকের মাতম দেখা গেছে। চরম ক্ষোভ ও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে গোটা এলাকায়। রামগঞ্জ বাজারের কোন দোকানপাট খোলেনি। চোখে পড়েনি বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের কোন নেতাকর্মীকে।

অপরদিকে দুপুরে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে এবং বাদআছর রামগঞ্জে নিহত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের জানাজার নামাজ শেষে দাফন করা হয়।

নীলফামারী সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা বাবুল আহমেদ জানান, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বর্বরোচিত ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর। দ্য রির্পোটকে তিনি বলেন, আমাকে হত্যার উদ্দেশেই ওই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে জামায়াত-শিবির চক্র।

(দ্য রিপোর্ট/এমএএম/এমএআর/ডিসেম্বর ১৫, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর