thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ১১ জানুয়ারি 25, ২৭ পৌষ ১৪৩১,  ১১ রজব 1446

দেবযানী ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্লেম গেম

২০১৩ ডিসেম্বর ১৮ ১১:২৩:১৮
দেবযানী ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্লেম গেম

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়েকে নিউইয়র্কে গ্রেফতার ও হেনস্তার পর ব্লেম গেম শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যারি হার্ফ জানান, এ ঘটনার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এককভাবে দায়ী নয়। এ ব্যাপারে ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ইউএস মার্শালেরও ভূমিকা আছে।

এদিকে ইউএস মার্শাল বলছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ই ভারতীয় কূটনীতিককে গ্রেফতার করেছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যারি হার্ফ বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি এটা ভারতের জন্য স্পর্শকাতর বিষয়। এই বিচ্ছিন্ন ঘটনা দুই দেশের মধ্যকার শ্রদ্ধাশীল সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে না।’

ওই গ্রেফতারের ঘটনায় সবকিছু নিয়মানুযায়ী হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তবে যুক্তরাষ্ট্র এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চায়নি। গত সপ্তাহে ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে দেবযানী গ্রেফতারের পরের পরিস্থিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি সমাঝোতার চেষ্টা হিসেবে দেবযানীর মামলাটি ফৌজদারি থেকে দেওয়ানি আদালতে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে ওয়াশিংটন।

এদিকে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ভারত দেশটিতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শিথিল করেছে। নয়াদিল্লিতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের সামনের নিরাপত্তা বেষ্টনী সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মার্কিন কূটনীতিকদের বিশেষায়িত সুবিধাগুলো কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ভারতের মার্কিন কনস্যুলেটগুলোর কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের পরিচয়পত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। তাদের বিমানে ভারত ত্যাগের সুবিধাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের জন্য আমদানি ছাড়পত্রও প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত।

এদিকে দেবযানী গ্রেফতারের প্রতিক্রিয়ায় একটি মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে রাহুল গান্ধী ও নরেন্দ্র মোদিসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা।

গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের ভারতীয় কনস্যুলেটের ডেপুটি কনসাল জেনারেল দেবযানীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

গ্রেফতারের পর তার সঙ্গে ভয়ঙ্কর অপরাধীর মতো আচরণ করা হয়। বিবস্ত্র অবস্থায় তার দেহে তল্লাশি চালানো হয়। তার ডিএনএর নমুনা নেওয়া হয়। পরে তাকে মাদকাসক্তদের সঙ্গে একই সেলে রাখা হয়। (সূত্র: এনডিটিভি)

(দ্য রিপোর্ট/ কেএন/শাহ/এমডি/ ডিসেম্বর ১৮, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর