thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৪ জমাদিউল আউয়াল 1446

‘ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চায় জামায়াত’

২০১৩ ডিসেম্বর ১৮ ১১:৫৬:৫০
‘ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চায় জামায়াত’

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ইচ্ছুক বলে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

‘ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ চাইছে কোণঠাসা জামায়াত’ শিরোনামে মঙ্গলবার আনন্দবাজার পত্রিকায় ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এই প্রথম ভারতকে পাশে পাওয়ার বার্তা দিল বাংলাদেশে কোণঠাসা জামায়াতে ইসলামী ।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রজ্জাকের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আনন্দবাজার।

ওই প্রতিবদনে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুর রাজ্জাক জানান, ‘ভারতে আমাদের নেতিবাচক ভাবমূর্তি রয়েছে। সেখানকার সরকার বা সমাজের সঙ্গে যোগাযোগ করার কোনও সুযোগই পাওয়া যায় না। আমেরিকা-ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ থাকলেও, নয়াদিল্লি আমাদের জন্য দরজা বন্ধ করে রেখেছে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের খাতিরে সমস্ত বিষয় নিয়ে আমরা ভারতের সঙ্গে কথা বলতে চাই।’

রাজ্জাক আরো বলেন, ‘ভারতে যাওয়ার জন্য গত পাঁচ বছর ধরে এখানকার হাইকমিশনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি।’

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘দলের প্রধান (আমির) মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদসহ চার-চারজন শীর্ষ নেতা একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের আসামি। এখন তারা জেলবন্দি। বিচার এড়াতে বাকিরা অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন।’

ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ‘জামায়াতের মুখপাত্র হিসেবে এখন যিনি কাজ করছেন, সেই আব্দুর রাজ্জাক (যিনি কাদের মোল্লার আইনজীবীও ছিলেন) তাৎপর্যপূর্ণভাবে এমন একটি সময়ে এই বার্তা দিচ্ছেন, যখন বাংলাদেশজুড়ে চলা সন্ত্রাস ও নাশকতার পুরোভাগে রয়েছে জামায়তেরই কর্মীরা!’

ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ‘বিএনপি-জামায়াত জোটের পেছনে পশ্চিম বিশ্বের অনেক দেশের মদদ থাকলেও নয়াদিল্লি তাদের জন্য দরজা বন্ধ রেখেছে। ভারতের নিরাপত্তার প্রশ্নে জামায়াত একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ নয়াদিল্লির দাবি, জামায়াত নেতৃত্বের জঙ্গি-সংস্রবের হাজার-একটা প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে। তবে ভারতে সন্ত্রাস পাচারের অভিযোগ মানতে নারাজ রাজ্জাক। তার কথায়, ‘এ সব অপপ্রচার।’

ওই প্রতিবেদনে ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের জয়ী হওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে।

তবে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা ও জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলকে পাশে পাওয়াটা নতুন সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জ হবে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘জামায়াত-বিএনপি জোটও মরিয়া হয়ে দেশ অচলের পথে নেমেছে। আমেরিকা বা ইউরোপকে পাশে পেলেও আঞ্চলিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভারত যে এখনও তাদের দূরের দেশ সে কথা স্পষ্ট। তবে আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রশ্নে ভারতের ভূমিকা অস্বীকার করা জামায়াতের পক্ষেও এখন আর সম্ভব নয়। বিশেষত, সরকার যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দ্রুত যুদ্ধপরাধীদের ফাঁসি দেওয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীকে জামায়াতবিরোধী অভিযানেও নামানোর। সাতক্ষীরায় ইতোমধ্যেই এই অভিযান শুরু হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে বগুড়া, জয়পুরহাট, নীলফামারী, চট্টগ্রাম, রাজশাহীতেও এই অভিযান হবে।’

ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ‘আদালতের নির্দেশে রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়েছে জামায়াতের। এই পরিস্থিতিতে জামায়াত খুবই অসুবিধায় পড়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে ব্যারিস্টার রাজ্জাক।

ওই প্রতিবেদনে রাজ্জাক জানান, ‘কোথাও ১৫ জন মিলে বৈঠক করলেই পুলিশ গ্রেফতার করছে। ইসলামী বইপত্রও সঙ্গে রাখা যাচ্ছে না। কোথাও অনুষ্ঠান করতে পারছি না।’

কিন্তু এই জামায়াত নেতা নাশকতার অভিযোগ অস্বীকার করতে পারছেন না বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। রাজ্জাক জানান, ‘দলের যুবশক্তিকে কখনও কখনও আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। কিন্তু বাংলাদেশের পুলিশ ঠিকমতো আচরণ করলেই হিংসা কমবে। আর নির্বাচনের নামে প্রহসন চললে আন্দোলনও চলবে।’

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ব্যারিস্টার রাজ্জাক ভারতের কাছাকাছি আসার জন্য যতই বার্তা দিন, হাসিনা সরকারের কর্মকাণ্ডের জন্য তার দল এখনও ভারতকেই দোষারোপ করে চলেছে। নিজেদের মুখপত্রে জামায়াত এমন অভিযোগও তুলছে এই সরকারকে সামনে রেখে বাংলাদেশকে উপনিবেশ বানানো ভারতের লক্ষ্য। ভারতবিরোধী জিগিরের এ বিষয়টি অস্বীকার করেননি রজ্জাক। তবে তার যুক্তি, ভারতের কাছে প্রত্যাশা না- মেটারই ফলশ্রুতি এ সব অভিযোগ। বড় প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের কাছে বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা অনেক।’

(দ্য রিপোর্ট/ কেএন/শাহ/ এমডি/ ডিসেম্বর ১৮, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর