thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ৬ মে 24, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ২৭ শাওয়াল 1445

‘মওদুদের ‍বিরুদ্ধে দুদকের মামলা ভিত্তিহীন’

২০১৩ ডিসেম্বর ১৮ ১৮:৪৩:৩১
‘মওদুদের ‍বিরুদ্ধে দুদকের মামলা ভিত্তিহীন’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে সরকারি বাড়ি দখলে দুদকের অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও মওদূদ আহমদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এ অভিযোগ করেন।

বুধবার সুপ্রিমকোর্ট ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মওদুদের পক্ষ থেকে তিনি এ কথা বলেন।

ব্যারিস্টার মাহবুব বলেন, মওদুদকে গ্রেফতার করার সময় তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। পরে তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন ও হয়রানি করার লক্ষ্যে দুটি মামলায় আটক দেখানো হয়েছে। সরকারের পরিকল্পনায় দুদক এ মামলা দায়ের করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ব্যারিস্টার খোকন বলেন, ১৯৬০ সালের পরে ওই বাড়িটি সরকারের অধীনে ছিল না। তখন বাড়িটি অস্ট্রিয়ার নাগরিক অ্যাঞ্জেল ফলসের ব্যক্তি মালিকানাধীন ছিল। পরে তার কাছ থেকে ব্যারিস্টার মওদূদের ভাই মঞ্জুর আহমেদ ক্রয় করে নেন।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরে সরকার বাড়িটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করলে তা ব্যক্তি মালিকানায় ফিরিয়ে পেতে আবেদন করেন। পরে ১৯৮০ সালের ১৩ মে অস্ট্রিয়ার নাগরিককে ওই বাড়িটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। একই বছরের ১৯ জুন রাজউক তার নামে বাড়িটি রেজিস্ট্রি করে। এরপর ১৯৮৫ সালে ওই মহিলার কাছ থেকে মঞ্জুর আহমেদ বাড়িটি ক্রয় করেন।

এর আগে ব্যারিস্টার মওদুদের বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি বাড়ি অবৈধভাবে দখলের অভিযোগে দুদক যে মামলা করেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন এই আইনজীবী।

মঙ্গলবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে বাড়ি দখলের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় মওদুদ আহমদের ভাই মঞ্জুর আহমদকেও আসামি করা হয়।

দুদকের উপ-পরিচালক হারুনুর রশীদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন (মামলা নম্বর ১৯)।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৫৯ নম্বর বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখলে রেখে ভোগ করে আসছেন মওদুদ আহমদ। বাড়িটির মূল মালিক ছিলেন অস্ট্রীয় নারী অ্যাঞ্জেল ফলস। অ্যাঞ্জেল ফলসের মৃত্যুর পর তার পাকিস্তানি স্বামী ওই বাড়িতে বসবাস করতেন। তবে ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেলে বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে সরকারের তালিকাভুক্ত হয়।

মওদুদ আহমদ তার ক্ষমতা ও প্রভাব খাটিয়ে লন্ডন প্রবাসী ভাই মঞ্জুর আহমদের নামে ভুয়া ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’র কাগজ তৈরি করে বাড়িটি সরকারের কাছ থেকে বরাদ্দ নেন। এছাড়া ঢাকা সিটি করপোরেশনের রেকর্ড অনুযায়ী মওদুদ আহমদ নিজেই ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া।

১৯৭৭ থেকে ১৯৮৯ সালের মধ্যে বাড়িটি দখলের পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। দীর্ঘ অনুসন্ধান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে প্রমাণ পাওয়ার পর দুদক তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে মামলাটির অনুমোদন দেয় দুদক।

(দ্যরিপোর্ট/এসএ/এপি/নূরু/ডিসেম্বর ১৮, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর