thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১,  ২২ জমাদিউস সানি 1446

ফাঁকা মাঠে বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বিব্রত আ.লীগ

২০১৩ ডিসেম্বর ১৮ ২৩:৩৩:২৯
ফাঁকা মাঠে বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বিব্রত আ.লীগ

ফাঁকা মাঠে গোল দিতে গিয়েও বিদ্রোহী প্রার্থীকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টিসহ জোটের শরিকদের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে সমঝোতা হলেও এই বিদ্রোহীদের নিয়ে বিব্রত বোধ করছে এ দলটি।

ইতোমধ্যে দলীয় নির্দেশ অমান্যকারী কয়েকজন বিদ্রোহী প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এরই অংশ হিসেবে বুধবার ঢাকা-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. আওলাদ হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তবে ঢাকা-৭ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সেলিমের বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি দলটি।

আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দলীয় নির্দেশ অমান্যকারী বিদ্রোহী প্রার্থীরা দুকূলই হারাবেন। দলীয় প্রতীকে আসন্ন ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না তারা। এমনকি দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে দল থেকে বহিষ্কার হয়ে দলীয় পদও হারাতে পারেন।

শরিক দলগুলোর সঙ্গে সংসদীয় আসন নিয়ে সমঝোতার পর ৭১টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় আওয়ামী লীগ। ওই নির্দেশ অনুযায়ী ২২ জন বাদে বাকি সবাই শুক্রবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।

আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ এ বিষয়ে বলেন, যেসব আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীদের সমর্থন দেয়নি ওইসব আসনের প্রার্থীরা নির্বাচনে অযোগ্য হয়ে পড়েছেন। তারা আর নির্বাচন করতে পারবেন না।

আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের অন্যতম সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত দ্য রিপোর্টকে বলেন, দল যাদের সমর্থন দেয়নি তারা দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’ পাবেন না।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যমোহাম্মদ নাসিম বলেন, সমমনাদের আসন ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। ওইসব আসনে দলের কেউ প্রার্থী হলে তাকে বহিষ্কার করা হবে।

তবে এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি দলটি। পরবর্তী কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর এলাকায় আনারস মার্কা নিয়ে লড়ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা বদিউজ্জামান বাদশা। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ ফরিদপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচন করছেন। তার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ লিটন চৌধুরীর ছোট ভাই মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী।

পাবনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। তাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।দিনাজপুর-৪ আসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকলেও শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির এনামুল হক সরকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জামালপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আজিজ আহমেদ হাসান। জামালপুর-৫ আসনে সাবেক ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরার প্রতিপক্ষ হয়েছেন জাতীয় পার্টির (জেপি) অ্যাডভোকেট বাবর আলী।
খুলনা-৩ আসনে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের বিরুদ্ধে লড়ছেন নিজ দলের তিন নেতা। এরা হলেন- সাবেক প্যানেল মেয়র মনিরুজ্জামান খান খোকন, আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম, নারীনেত্রী শাহিদা বেগম।
জাতীয় সংসদের হুইপ সাগুফতা ইয়াসমিন এ্যামিলির (মুন্সীগঞ্জ-২) বিপক্ষে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন মাহবুব উদ্দিন বীরবিক্রম। নেত্রকোনা-১ আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ছবি বিশ্বাস। মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক ভিপি ও বর্তমান এমপি মোশতাক আহমেদ রুহি। তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাপে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। এছাড়াও এ আসনে সাবেক এমপি জালালউদ্দিন তালুকদারের ছেলে কুতুবউদ্দিন তালুকদার রয়েলও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ঢাকা-৭ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান এমপি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। ঢাকা-১৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামাল মজুমদারের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন ঢাকা-১৬ আসনের এমপি ইলিয়াস মোল্লার ভাই এখলাসউদ্দিন মোল্লা। ঢাকা-১৬ আসনে ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা এস এ মান্নান কচি।
যশোর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের আগের মেয়াদের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনিরুল ইসলাম। সুনামগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে এম এ মান্নানকে। এ আসনে বিদ্রোহী হয়ে লড়ছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদের ছেলে আজিজুস সামাদ ডন।

সুনামগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। তার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র পরিচয়ে লড়ছেন ওই আসনের সাবেক এমপি সৈয়দ রফিকুল হক। নেত্রকোনা-২ আসনে সাবেক ফুটবলার আরিফ খান জয়ের আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা লে. কর্নেল (অব.) আবদুল নূর খান। রাজশাহী-৩ আসনে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন বর্তমান এমপি মিরাজউদ্দিন মোল্লা। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আয়েনউদ্দিনকে। রাজশাহী-৬ আসনে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন ব্যবসায়ী শাহরিয়ার আলম। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা রায়হানুল হক রায়হান।

কুষ্টিয়া-৪ আসনে বর্তমান এমপি সুলতানা তরুণকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আবদুর রউফকে। এ আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সদরউদ্দিন খান।
ঝিনাইদহ-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল হাই। তার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন শৈলকুপা উপজেলা চেয়ারম্যান নায়েব আলী জোয়ারদার। ঝিনাইদহ-২ আসনে স্বতন্ত্র পরিচয়ে নির্বাচনে লড়ছেন নুরে আলম সিদ্দিকীর ছেলে তাহজিব আলম সিদ্দিকী। ওই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সফিকুল ইসলাম। ঝিনাইদহ-৩ আসনে বর্তমান এমপি সফিকুল আজম খানকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে নবী নেওয়াজকে। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান এমপি সফিকুল আজম খান।

যশোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রণজিত রায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ আবদুল ওহাব। যশোর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খান টিপু সুলতানের বিরুদ্ধে লড়ছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য্য।
নড়াইল-২ আসনে নৌকা মার্কায় নির্বাচন করবেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটির প্রার্থী শেখ হাফিজুর রহমান। আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব হোসেন এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছেন।

বাগেরহাট-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মোজাম্মেল হকের আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুর রহিম খান। খুলনা-১ আসনে বর্তমান এমপি ননী গোপালকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে পঞ্চানন বিশ্বাসকে। তাই ননী গোপাল স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

বরগুনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক উপমন্ত্রী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। তার বিরুদ্ধে আবারও বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন। টাঙ্গাইল-৫ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. ছানোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও কাদের সিদ্দিকীর ভাই মুরাদ সিদ্দিকী।
কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে মহাজোটের প্রার্থী মুজিবুল হক চুন্নুর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ড. মিজানুল হক। সিলেট-৪ আসনে আওয়ামী লীগের ইমরান আহমেদের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতা ফারুক আহমেদ। হবিগঞ্জ-৪ আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ তানভীর। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মাহাবুব আলী।

নরসিংদী-২ আসনে বর্তমান এমপি আনোয়ারুল আশরাফ খানকে বাদ দিয়ে আসনটি দেওয়া হয়েছে জাসদের জায়েদুল কবিরকে। এবার ওই আসনে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন বর্তমান এমপির ভাই আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল আশরাফ খান। নরসিংদী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জহিরুল হক মোহনের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রাইম ব্যাংকের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মোল্লা। ময়মনসিংহ-৭ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। এ আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে জাপার এম এ হান্নানকে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উম্মে কুলসুম নাজমাকে প্রত্যাহার করে আসনটি দেওয়া হয়েছে জাপার জিয়াউল হক মৃধাকে। কিন্তু সেখানে প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের স্ত্রী নায়ার কবির। মেহেরপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ফরহাদ হোসেন দোদুল। মেহেরপুর-২ আসনে বর্তমান এমপি মকবুল হোসেনকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আবদুল খালেককে। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন বর্তমান এমপি মকবুল হোসেন।

সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে আবদুল মজিদের বিরুদ্ধে লড়ছেন আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান। এ আসনে জাতীয় পার্টিরও প্রার্থী রয়েছে। গোপালগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সাবেক মন্ত্রী ফারুক খানের বিপক্ষে লড়ছেন জাতীয় পার্টির দিপা মজুমদার। গোপালগঞ্জ-২ আসনে শেখ ফজলুল করিম সেলিমের বিপক্ষে লড়ছেন জাতীয় পার্টির কাজী শাহীন।

গাজীপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি এবার লড়ছেন জাতীয় পার্টির এম এম আনোয়ার হোসেন ও বিএনফ প্রার্থী সানোয়ার এ কায়নাতের সঙ্গে।

ভূমি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের আসনে (দিনাজপুর-৫) লড়ছেন ওয়ার্কার্স পার্টির আফসার আলী। দিনাজপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোরঞ্জন শীল গোপালের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আবদুল হক। দিনাজপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে লড়ছেন শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির মাহমুদুল হাসান মানিক ও ন্যাপের রমেন্দ্র নারায়ণ রায়।
নাটোর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জুনায়েদ আহমেদ পলকের বিপক্ষে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা মিজানুর রহমান, কুমিল্লা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বাসুদেব সাহা, জামান সরকার, নাঈম হাসান ও জাতীয় পার্টির আবু জায়েদ আল মাহমুদ।

কুমিল্লা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের আবদুল মতিন খসরুর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় পার্টির শফিকুর রহমান।

আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ঢাকা-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. আওলাদ হোসেন দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতির ফলে নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না। উল্টো এই অব্যাহতি আদেশে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়েছেন।’

(দ্য রিপোর্ট/এইউএ/এপি/এমএআর/নূরু/এসবি/ডিসেম্বর ১৮, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

বিশেষ সংবাদ এর সর্বশেষ খবর

বিশেষ সংবাদ - এর সব খবর