thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৭ জমাদিউল আউয়াল 1446

পাকিস্তানি পণ্য বর্জনের ঘোষণা

২০১৩ ডিসেম্বর ২০ ১৫:৩৭:৪৯
পাকিস্তানি পণ্য বর্জনের ঘোষণা

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শনিবার থেকে সারাদেশে পাকিস্তানি পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ। এছাড়া, বৃহস্পতিবারের হামলার ঘটনায় দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিতে রবিবার সকাল ১১টায় শাহবাগ থেকে মিছিল সহকারে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবাদলিপি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ।

গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের উপস্থিতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন মঞ্চের অন্যতম সংগঠক মারুফ রসুল।

দাবি পূরণ করা না হলে পরবর্তী শুক্রবার এর চেয়ে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে সরকারকে হুঁশিয়ার করে দেন তিনি।

গণজাগরণ মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবেশ শুক্রবার বিকেল ৪টায় শুরু হয়। জতীয় জাদুঘরের সামনে ট্রাকের উপর নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চ থেকে বক্তরা বক্তব্য দেন।

মারুফ রসুল বলেন, বৃহস্পতিবারের ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে পুলিশের ভেতর জামায়াত-শিবিরের অনুসারীরা রয়েছে। তাদের লাঠিচার্জ ও নির্যাতনের জবাব আমরা জয় বাংলার মাধ্যমে দেব।

অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ১৯৭১ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আপনাদের (পাকিস্তান) নাক কেটে দেওয়া হয়েছে। এরপরও আপনারা কেন আমাদের ব্যাপারে নাক গলান?

গুলশানে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের এই প্রজন্ম যখন আন্দোলন করছে তখন আপনারা তাদের উপর হামলা করেছেন। এতে আপনাদের লজ্জা হাওয়া উচিৎ।

তিনি বলেন, যে হাত দিয়ে পুলিশ গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের উপর হামলা করেছে তাদের সে হাত থাকবে না। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।

সমাবেশের শুরুতে সমাজকর্মী খুশি কবির বৃহস্পতিবার তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘কার নির্দেশে আমাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে- তা খুঁজে বের করতে হবে।’

গণজাগরণ কর্মীদের উপর হামলা ‘সুপরিকল্পিত’ উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ওই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবশ্যই তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।’

কর্নেল তাহেরের ভাতিজি শায়লা আহমেদ লোপা অভিযোগ করেন, ‘পুলিশের মধ্যে জামায়াত-শিবিরের দোসররা লুকিয়ে আছে। তিনি তাদের খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।’

সমাবেশে শিপ্রা ঘোষ, শামসুল ইসলাম সুজন, প্রদীপ সাহা, হাসান তারেক, শাহ আব্দুল বাতেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে সন্ধ্যায় প্রতিবাদি মিছিল বের করেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা।

এর আগে, শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিতে থাকেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবার দুপুর ৩টায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও তা দেরিতে শুরু হয়।

গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের পাশাপাশি সেখানে অবস্থান নেয় মুক্তিযোদ্ধা জনতা মঞ্চ ও যুদ্ধাপরাধ বিচার মঞ্চ নামের দুটি সংগঠনের কর্মীরা। তারা সেখানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে শোক প্রস্তাব পাশের পর দেশটির ঢাকাস্থ হাইকমিশন অফিস ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দেয় গণজাগরণ মঞ্চ। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা পাকিস্তান হাইকমিশন অফিস ঘেরাও করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। সেসময় পুলিশের লাঠি পেটায় আহত হন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারসহ বেশ কয়েকজন। আটক করা হয় আটজনকে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গণজাগরণ মঞ্চ শুক্রবার শাহবাগসহ সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেয়।

(দ্য রিপোর্ট/এসআর/এমএআর/রাসেল/নূরুল/ডিসেম্বর ২০, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর