thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২১ জমাদিউল আউয়াল 1446

দুই দশকে ৮৭ শতাংশ আমদানি শুল্ক হ্রাস

২০১৩ ডিসেম্বর ২১ ১৩:৫৭:২৪
দুই দশকে ৮৭ শতাংশ আমদানি শুল্ক হ্রাস

সোহেল রহমান, দ্য রিপোর্ট : বাণিজ্য উদারীকরণের কারণে গত দুই দশকে আমদানি শুল্ক খাতে রাজস্ব আদায় ৮৭ শতাংশ কমেছে। ১৯৮৫ সালে গড় শুল্ক হার যেখানে ছিল ১০০ শতাংশ, এখন এটা গড়ে ১৩ শতাংশে নেমে এসেছে।

‘বাণিজ্য উদারীকরণে বাংলাদেশের নীতি ও কৌশল’ শীর্ষক অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

তবে শুল্ক খাতে রাজস্ব আদায় কমলেও বাণিজ্য উদারীকরণের ফলে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ও দেশের অর্থনীতির ওপর তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

দাবির সমর্থনে প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯০-৯১ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত দেশের অর্থনীতি ৫ থেকে ৬ শতাংশ হারে বেড়েছে, বাণিজ্য জিডিপি অনুপাত বেড়েছে, বিদেশি বিনিয়োগ অনেক বেড়েছে এবং মাথাপিছু আয়ও বেড়েছে।

প্রতিবেদনে বাণিজ্য উদারীকরণ নীতি গ্রহণের পটভূমি প্রসঙ্গে বলা হয়, স্বাধীনতার পর বিশেষ বাস্তবতা ও ভূরাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় দেশে সমাজতান্ত্রিক কাঠামো এবং আমদানি প্রতিস্থাপন নীতি গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনায় ক্রমবর্ধমান ভর্তুকির চাপ, বাণিজ্য সংরক্ষণের সুবিধাপ্রাপ্ত শিল্পসমূহের অদক্ষতা আর রাষ্ট্রের মৌলিক চরিত্রের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনার সঙ্গতিহীনতা পরবর্তী সময়ে সংরক্ষণ-নীতি পরিহারের প্রেক্ষাপট তৈরি করে। ধীরে ধীরে বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নির্ভর বহির্মুখী অর্থনীতিতে রূপান্তরের নীতিকৌশল গ্রহণ করা আবশ্যক হয়ে পড়ে।

এছাড়া ১৯৯০ পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ-শর্ত আরোপ এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সদস্য পদ গ্রহণও উদার অর্থনৈতিক নীতিকৌশল গ্রহণে বাংলাদেশকে প্রভাবিত করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

বাণিজ্য উদারীকরণে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাণিজ্য উদারীকরণের প্রভাব সুগভীর। আমদানি শুল্ক হ্রাস এবং কোটা ও লাইসেন্স প্রথা বিলুপ্ত করার ক্ষেত্রে গত দুই দশকে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে। এছাড়া নমনীয় মুদ্রা বিনিময় হার টাকার পরিবর্তনশীলতা নীতি গ্রহণও বাংলাদেশের বাণিজ্য উদারীকরণের অন্যতম নির্দেশক।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বাণিজ্য উদারীকরণের সুযোগকে কাজে লাগাতে চারটি সুপারিশ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- স্বচ্ছতা নিশ্চিত ও শুল্কের স্বেচ্ছাধীন প্রয়োগ সীমিত করার লক্ষ্যে সম্পূরক শুল্ক আরোপের একটি যৌক্তিক কাঠামো প্রণয়ন, ব্যবসা সংক্রান্ত মেধা সম্পদ আইনের বিষয়ে নীতিকৌশল নির্ধারণ ভবিষ্যত পরিকল্পনা এখনই হাতে নেয়া, কাস্টমস পদ্ধতি স্বচ্ছ, অধিকতর কার্যকর ও অটোমেশনের আওতায় (বন্দরসহ) আনা এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারসমূহ ও বাস্তবায়িত পদক্ষেপগুলোর তালিকা প্রণয়ন। এছাড়া এসবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় ও সরকারি কর্মকর্তাদের যথাযথ জ্ঞান ও তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

(দ্য রিপোর্ট/এসআর/এনডিএস/লতিফ/ডিসেম্বর ২১, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর

অর্থ ও বাণিজ্য - এর সব খবর