thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ৫ মে 24, ২২ বৈশাখ ১৪৩১,  ২৬ শাওয়াল 1445

‘গোলকিপার নেই, গোল তো দিয়েই যাব’

২০১৩ ডিসেম্বর ২১ ১৮:৩২:০০
‘গোলকিপার নেই, গোল তো দিয়েই যাব’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫৪ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জনকে দায়ী করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, ‘বিরোধী দল এলে তো ১৫৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতো না। খালি মাঠ, গোল তো হবেই। খেলার মাঠে অপরদিকে গোলকিপার নেই- তাহলে তো আমরা গোল দিয়েই যাব।’

রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শনিবার আওয়ামী লীগের বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা জানতাম বিরোধী জোট নির্বাচনে আসছে। এ জন্য আমরা মহাজোট আসন ভাগাভাগি করে নিয়েছি। আমাদের দলের অনেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘আলোচনা চলছে, আলোচনা চলতে থাকবে। ভবিষ্যতে সমঝোতা হলে, আপনাদের (বিএনপি) দাবি (ডিমান্ড) যদি থাকে তাহলে সংসদ ভেঙ্গে নির্বাচন দেব। তবে জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তে হবে, হত্যা বন্ধ করতে হবে, বিভিন্ন স্থানে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর যে অত্যাচার-নির্যাতন চলছে, তা থামাতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘উচ্চ আদালতের রায়ে জামায়াত নির্বাচন করতে পারছে না। তাই উনিও (খালেদা জিয়া) করবেন না। জামায়াত ছাড়া উনার চলেই না।’

কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরে পাকিস্তানের নিন্দা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সারা জাতি যখন ঐক্যবদ্ধ তখন বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়ার ‘নীরব’ থাকার কারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

তিনি বলেন, দেশের জনগণ আন্দোলনের মাঠে নামার আগে উনার (খালেদা জিয়া) কাছে সেই জবাব চাইবে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটা কথাও তিনি (খালেদা জিয়া) বলেননি। আজ তার আসল চেহারা জনগণের কাছে প্রকাশিত হয়েছে। জনগণের কাছে সেই জবাব দিয়ে উনি যেন মাঠে নামেন।

খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কথা বলতে উনার লজ্জা হয়। বাংলাদেশে থেকে উনার এত লজ্জা কেন? পাকিস্তানে চলে গেলেই পারেন। এখানে থেকে জনগণকে কষ্ট দিয়ে লাভ কী?

শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসির পর সব স্বাধীনতাবিরোধীরা জোট বেঁধেছে। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় খালেদা জিয়া দেশজুড়ে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে আর পাকিস্তান তাদের সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনছে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বুকে সাহস নিয়ে চলতে হবে। সবাইকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সজাগ থাকতে হবে। তারা একাত্তরের মতো মানুষ হত্যা করছে। আরও হত্যা করবে। নতুন প্রজন্মের যারা একাত্তর দেখেনি তারাও নতুন করে দেখল স্বাধীনতাবিরোধীরা কিভাবে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। তাদের কাছেই আমার জবাবদিহিতা। কাদের মোল্লার ফাঁসি স্থগিতের জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন এসেছে। আমাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। কিন্তু আমার ক্ষমতার কোন লোভ নেই। জনগণের কাছে যে অঙ্গীকার করেছি, তা বাস্তবায়ন করেছি। আমি মৃত্যুকে পরোয়া করি না, পরোয়া করি শুধু জনগণের।

কারও নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী জনগণের সুদের টাকায় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে- এমন ব্যক্তির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এ খেলা আমরা খেলতে দেব না। প্রত্যেক মানুষ তার নিজের পায়ে দাঁড়াবে। এটা তার মৌলিক অধিকার।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় যারা শুধু সরকারের নেতিবাচক দিক খুঁজে বের করে সমালোচনা করেন তাদের কটাক্ষ করেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/এইউএ/এসবি/শাহ/এমএআর/ডিসেম্বর ২১, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর