thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই 25, ১ শ্রাবণ ১৪৩২,  ২১ মহররম 1447

দুষণ পিছু ছাড়ছে না হাতিরঝিলের

২০১৩ অক্টোবর ২৬ ১৯:১২:১৫ ০০০০ 00 ০০ ০০:০০:০০
দুষণ পিছু ছাড়ছে না হাতিরঝিলের
দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : কোথাও স্বচ্ছ পানি নেই।উদ্বোধনের ১০ মাস না পেরোতেই আকর্ষণ হারিয়েছে ঢাকার হাতিরঝিল প্রকল্প। এর বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা ইতোমধ্যে ভেঙে পড়েছে। ভাসমান মলমূত্র, গৃহস্থালি ও শিল্পবর্জ্য ওই এলাকায় দূষণ বাড়াচ্ছে।

এ বছরের ২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাতিরঝিল প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী, বর্জ্যযুক্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য ১২টি নিষ্কাশন-কাঠামো বা স্পেশাল স্যুয়ারেজ ডাইভারসন স্ট্রাকচার (এসএসডিএস) তৈরি করা হয়।এগুলো দিয়ে পানি পরিশোধিত হয়ে বিশেষ নালায় গিয়ে পড়বে।

সম্প্রতি সরেজমিন পরিদর্শনে হাতিরঝিল প্রকল্পের পান্থপথ অংশ থেকে রামপুরার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত কোথাও স্বচ্ছ পানির দেখা মেলেনি। কারওয়ান বাজার ও তেজগাঁও এলাকায় বেগুনবাড়ী খালের অংশের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। কোথাও কোথাও দেখা গেছে, বর্জ্য থেকে উৎপন্ন গ্যাস বুদ্বুদের মতো উঠে পানিতে ফেনা তুলছে।
হাতিরঝিল প্রকল্পের এলজিইডি বিভাগের টিম লিডার ও নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, “প্রকল্পের শুরুতেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনায় কিছু ত্রুটি ছিল। এর মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) প্রতিনিধি দল যে ডিজাইন দিয়েছিল তাতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বলা হয়েছিল এখানে শুধু বৃষ্টির পানির সঙ্গে বর্জ্য আসবে। কিন্তু তখন বৃহৎ পরিসরে পরিকল্পনা করা হয়নি। এ অংশ দিয়ে যে সলিড বর্জ্য আসবে সেটাও ভাবা হয়নি। তাছাড়া সোনারগাঁও অংশে বর্জ্য নিয়ন্ত্রণে যে সলিড সুয়েল ডিসপোজাল সিস্টেম (এসএসডিএস) ব্যবস্থা আছে তার ধারণক্ষমতাও অনেক কম। এখন যে পরিমাণ ও ধরনের বর্জ্য আসছে তা এসএসডিএস’র ধারণক্ষমতার বাইরে।”

প্রকল্প পরিচালক এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌস বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত বর্জ্য থাকায় একটু সমস্যা হচ্ছে। বর্ষা শেষ হলে এটা ঠিক হয়ে যাবে আশা করছি। অতিরিক্ত বর্জ্য হওয়ায় সোনারগাঁও হোটেল এলাকায় আমাদের যে এসডিএস-১ আছে সেটাও ঠিকমতো কাজ করছে না। যে কারণে ওই এলাকার লেকের পানিতে দুর্গন্ধ দেখা দিয়েছে।’
প্রকল্প অফিসার মেজর মো. খিজির খান বলেন, খালের পানিকে পূর্ণাঙ্গভাবে দূষণমুক্ত করতে সময় লাগবে। দাশেরকান্দি পানি শোধনাগার তৈরি না হলে খালের মধ্যে আসা দূষিত পানি পরিশোধন করা সম্ভব নয়। পানিকে দূষণ ও দুর্গন্ধমুক্ত করতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়মিতভাবে আলোচনা চলছে। বর্জ্যযুক্ত দূষিত পানিকে আপাতত পাম্প করে রামপুরা খালের নিচে ফেলা হবে। কিন্তু ওই খালের দুই পাশে গড়ে উঠেছে আফতাবনগরসহ বেশ কয়েকটি আবাসন প্রকল্প। খালের দূষিত পানি সেখানে ফেললে ওই এলাকায় বড় ধরনের পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। তাই প্রকল্পের সব কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এরকম কিছু ভজঘটে অবস্থা লেগে থাকবেই।’
রাজধানীর উত্তরা থেকে হাতিরঝিলে বেড়াতে আসা আজমল হোসেন বলেন, ‘উদ্বোধনের পর থেকে মাঝে মধ্যেই আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে এখানে আসতাম। এখন যে অবস্থা দেখছি তাতে এখানে আর আসা যাবে না। পানি দিয়ে যে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে তাতে অসুস্থ হয়ে যাব।’

(দিরিপোর্ট২৪/ওএস/এইচএস/অক্টোবর ২৬, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

পরিবেশ প্রতিবেশ এর সর্বশেষ খবর

পরিবেশ প্রতিবেশ - এর সব খবর