thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৮ জমাদিউল আউয়াল 1446

জামায়াত নেতার কাছ থেকে ওসির ঘুষ!

২০১৩ ডিসেম্বর ২৩ ২১:২১:৩৭

বগুড়া সংবাদদাতা : ঘুষ হিসেবে জামায়াত নেতার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা মূল্যের জমি লিখে নিয়েছেন বগুড়ার শাজাহানপুর থানার ওসি মাহমুদুল আলম। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার।

বগুড়া পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক পিপিএম বলেন, ‘শাজাহানপুর থানার ওসি মাহমুদুল আলমের বিরুদ্ধে জমি নেওয়ার কথা অনেক আগে থেকেই শুনে আসছিলাম। এখন সংবাদপত্রে খবর দেখে বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের নজরে এসেছে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েমকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করলে পুলিশ বিভাগীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ নির্বাচনের কারণে এ মুহূর্তে তাকে কোথাও বদলি করা সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে ওসি মাহমুদুলের এ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার জেলায় অর্ধ শতাধিক গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এ ঘটনার পর রবিবার জেলা পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে জামায়াতের ৬৪ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।

জানা গেছে, জেলার শাজাহানপুর উপজেলা জামায়াত নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা ইয়াছিন আলীর কাছে থেকে ঘুষ হিসেবে উপজেলায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের পাশে পাঁচ শতাংশ জমি নিয়েছেন ওসি। জমিটি তার আপন দুই ভাই মাহবুবুর রহমান তালুকদার ও শাহিন রেজার নামে রেজিস্ট্রি করিয়েছেন। দলিলে উভয়ের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কয়েলগাতী গ্রাম। উভয়ের বাবার নাম লেখা হয়েছে আব্দুল হাই তালুকদার ও মা মালেকা বেগম। মাহবুবুর রহমান তালুকদার বিদেশে বসবাস করছেন ও শাহিন রেজা স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক টি জামান নিকেতা বলেন, ‘ওসি মাহমুদুল আলমের দীর্ঘ দিনের ঘুষ বাণিজ্যের কারণে গত ৩ মার্চ থেকে ওই উপজেলায় জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা একের পর এক নাশকতা চালিয়ে আসছে। ওসি প্রত্যেক নাশকতার ঘটনায় মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে মুল হোতাদের বাদ দিয়ে অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করছেন। গত ৩ মার্চে জেলার নন্দীগ্রাম ও শাজাহানপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ সব সহিংসতা থেকে রক্ষা পেতে ও জামায়াতের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে পুলিশকে জমি লিখে দিয়েছেন জামায়াত নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান ইয়াছিন আলী। এর আগে এই ওসিকে বিভিন্ন অভিযোগের কারণে বগুড়া সদর থেকে শাজাহানপুর থানায় বদলি করা হয়েছিল।’

এ অভিযোগের ব্যাপারে শাজাহানপুর থানার ওসি মাহমুদুল আলম বলেন, ‘আমাকে নিয়ে সংবাদপত্রে খবর প্রকাশ করে আমার মান-সম্মান ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। জমি তো যে কেউ কিনতে পারে। আমার এক ভাই দেশের বাইরে থাকে ও আরেকজন একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকতা করেন। তারা দুজনেই জমি কেনার সামর্থ্য রাখে।’

(দ্য রিপোর্ট/এএইচ/এসকে/ডিসেম্বর ২৩, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর