thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৫ জমাদিউল আউয়াল 1446

‘খালেদা উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছেন’

২০১৩ ডিসেম্বর ২৪ ১৯:৫৩:৫১
‘খালেদা উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছেন’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিরোধী দলীয় নেতার বক্তব্যের মাধ্যমে উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর মতো নিজেকে বাচানোর চেষ্টা করে ধরা পড়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু।

তিনি বলেন, বিরোধী দলীয় নেতার বক্তব্য মিথ্যাচারে ভরপুর। আন্দোলনের নামে এই পরিস্থিতি সৃষ্টির কারণে তিনি ও তার দল জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। এই নৈরাজ্যের কারণে তার দল যে জনবিচ্ছিন্ন এসব দায়দায়িত্ব সরকারের উপর চাপানোর জন্য তিনি এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন।

বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য বিএনপি জনবিচ্ছিন হয়ে পড়েছে দাবি করে আমির হোসেন আমু বলেন, এটা উপলব্ধি করেই খালেদা জিয়া এর দায় সরকারের উপর চাপাতে চাইছেন। দেরিতে হলেও খালেদা জিয়া ভুল বুঝতে পারছেন। অনুরোধ করব, আশা করব এই উপলব্ধি থেকেই উনি যেন এসব কাজ (নাশকতা) থেকে বিরত থাকেন, এগুলো বন্ধ করেন।

দেশে ‘শান্তি’ ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করতেও বিরোধী দলের নেতার প্রতি আহ্বান জানান আমু।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে খালেদা জিয়া আন্দোলন করছেন। লংমার্চে খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ অবলম্বন করেছিলেন। তার প্রতিটি আন্দোলনেই যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য।

তিনি বলেন, আমরা আশা করেছিলাম তিনি পাকিস্তানের পার্লামেন্টে নেওয়া প্রস্তাবের নিন্দা জ্ঞাপন করবেন। তা করেননি। নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি যুদ্ধাপরাধী ও পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করছেন। দেশকে পাকিস্তানের মতো অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চান। এজন্য গণহত্যা চালাচ্ছেন।

বিএনপির নির্বাচনে অংশ না নেওয়া প্রসঙ্গে প্রবীণ এই নেতা বলেন, জেগে থেকে ঘুমালে কেউ জাগাতে পারবে না। জামায়াত নির্বাচন করতে পারছে না বলেই তাদের দোসর হিসেবে তিনিও (খালেদা) নির্বাচনে আসবেন না।

সংবাদ সম্মেলনে বিরোধী দলের নাশকতার ঘটনাগুলোও তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য।

তিনি বলেন, সুন্দর, সুষ্ঠু নির্বাচন জনগণকে উপহার দেব। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তারা (বিএনপি) জিতল, কোনো উচ্চবাচ্য তো হলো না। তাহলে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অসুবিধা কী। তত্ত্বাবধায়কের দরকার নেই, কারণ আমরা মিথ্যা ভোটার করিনি। আমরা চুরি করে ধরাও পড়িনি। কেন তিনি এ দাবি করছেন আমাদের বোধগম্য নয়।

আমু বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রহসন কি-না, একদলীয় কি-না সেটা নির্বাচনের পরেই বোঝা যাবে। কে নির্বাচনে আসল, কে আসল না- এর জন্য নির্বাচন প্রহসনের হতে পারে না। বিরোধী দলের আন্দোলন সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির আন্দোলন। তবে সেটা করার কোনো সুযোগ নেই। সেটা করতেও দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, উনার বক্তব্য মিথ্যাচার, প্রত্যেকটি বক্তব্য উনার বিরুদ্ধে যায়। নির্বাচন প্রহসনের নয়, নির্বাচনে ১২টি দল এসেছে। এই নির্বাচনকে প্রহসনের বলা যাবে না।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, সুজিত রায় নন্দী, আমিনুল ইসলাম আমিন বক্তব্য রাখেন।

সংবাদ সম্মেলনের আগে দলের নেতাদের নিয়ে টেলিভিশনে খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনও দেখেন আমু। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নেরই জবাব দেননি তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/এইউএ/জেএম/রাসেল/ডিসেম্বর ২৪, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর