thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৫ জমাদিউল আউয়াল 1446

সহিংসতার বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের ডাক

২০১৩ ডিসেম্বর ২৫ ২০:০২:৪৫

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদবিরোধী মঞ্চের নেতারা বলেছেন, গণআন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী সহিংস তৎপরতার মাধ্যমে বিএনপি- জামায়াত জনজীবনকে বিপর্যস্ত করছে। এ সহিংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিলেন মঞ্চের নেতারা।

রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে বুধবার সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদবিরোধী মঞ্চ আয়োজিত ’অব্যাহত সহিংসতার বিরুদ্ধে চাই ব্যাপকতম জাতীয় ঐক্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ ঐক্যের ডাক দেন।

আলোচনা সভায় ধর্মীয় মৌলবাদ প্রতিরোধ ও চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় আনার বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন।

তবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজায় রাখার স্বার্থে যুদ্ধাপরাধীদের সব রায় কার্যকরের পর সব দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন জরুরি বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রোগ্রামের ধারণাপত্র পাঠ করেন মঞ্চের সদস্য সচিব ড. নূর মোহাম্মদ তালুকদার।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে দেশে যে লড়্ইা চলছে তাকে শুধু বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচনী লড়াই বলা যাবে না। এ লড়াই জামায়াতের বাঁচা-মরার লড়াই। তারা বিএনপির ঘাড়ে বন্দুক রেখে শিকার করার চেষ্টা করছে। বিএনপি-জামায়াতকে পরিত্যাগ না করলে গণতান্ত্রিক উত্তোরণ কোনভাবেই সম্ভব নয় বলেও জানান তারা।

তারা বলেন, এ লড়াইয়ে জিতে বিএনপি- জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ হয়ে যাবে। সুতরাং এ লড়াইয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে বিজয়ী করতে হবে।

বক্তারা বলেন, ৫ জানুয়ারি দেশে যে নির্বাচন হবে তার নৈতিক মান অত্যন্ত দুর্বল। এটা জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোন স্বীকৃতি পাবে না। তবে আমরা চাই এ নির্বাচন হোক। যুদ্ধাপরাধীদের সব রায় কার্যকর হবার পর আগামী ছয় মাস পর আবার সব দলের অংশগ্রহণে নতুন করে নির্বাচন হোক।

যুদ্ধাপরাধ মামলায় জামায়াতের সব নেতাদের ফাঁসি হলে দলের অস্তিত্ব বিলীন হবে বলেও মত দেন বক্তারা।

জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির দন্ড কার্যকরের ঘটনায় পাকিস্তানের সংসদে গৃহীত শোক প্রস্তাবের নিন্দা জানিয়ে বক্তারা বলেন, এটা স্বাধীন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক আগ্রাসন। এ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে।

তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি গণতন্ত্রের উপর দাঁড়িয়ে। গণতন্ত্রের বাইরে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ছাড় দিতে হবে। যেভাবেই হোক সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। দুই দলের সমর্থকসহ সাধারণ জনগোষ্ঠীরা চলমান সহিংস রাজনীতি থেকে মুক্তি চাই না, বরং পরিত্রাণ চাই বলেও মত দেন বক্তারা।

মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, কলামিস্ট ও গবেষক সলিমুল্লাহ খান, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম এম আকাশ, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, মঞ্চের সদস্য সচিব ড. নূর মোহাম্মদ তালুকদার প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এসবি/ডিসেম্বর ২৫, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর