thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২২ জমাদিউল আউয়াল 1446

শিক্ষক রাজনীতির খপ্পরে জাবির শিক্ষার্থীরা!

২০১৩ ডিসেম্বর ২৬ ১৯:৩৬:১৫
শিক্ষক রাজনীতির খপ্পরে জাবির শিক্ষার্থীরা!

জাবি প্রতিবেদক : বিভাগের অভ্যন্তরীণ শিক্ষক রাজনীতির কবলে পড়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৩৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মনজুরুল আহসানসহ চারজন শিক্ষকের সঙ্গে বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকদের তীব্র দ্বন্দ্বই স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রাপ্তিতে এই অনিশ্চয়তার কারণ বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা ।

এ অনিশ্চয়তা দূরীকরণে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এ বিভাগের পরীক্ষা সম্পন্ন করতে ও সঠিক সময়ে ফলাফল দিতে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান ।

জানা যায়, ২০১২ সালের ১ অক্টোবর বিভাগীয় সভার মাধ্যমে অধ্যাপক ড. মো মনজুরুল আহসান পরীক্ষা কমিটির সভাপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। ২০১৩ সালের আাগস্ট পর্যন্ত তিনি পরীক্ষা না নেওয়ায় ১ সেপ্টেম্বর তাকে না জানিয়ে পুরান কমিটির জ্যেষ্ঠতম সদস্য ড. মো নুরুল ইসলামকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্ব পেয়েই অধ্যাপক নুরুল ৭ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষা নেওয়া শুরু করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন অধ্যাপক মনজুরুলআহসান। তিনি ১০ ডিসেম্বর হাইকোর্টে পরীক্ষা কমিটি স্থগিতের জন্য রিট পিটিশন দায়ের করেন। এর ফলে কমিটি স্থগিত হলে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়বে বলে সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা।

এদিকে বিভাগের অভ্যন্তরীণ এই কোন্দলে অধ্যাপক মনজুরুল আহসানের সঙ্গে অধ্যাপক সাজেদ আশরাফ, অধ্যাপক আলামীন মোহাম্মদ, অধ্যাপক মিজানুর রহমান যোগ দেন এবং তারা কোনো প্রশ্নপত্র দেননি ও নির্ধারিত কোর্সের টিউটোরিয়াল পরীক্ষাও নেননি। এ নিয়ে শঙ্কিত রয়েছে ঐ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে অধ্যাপক মনজুরুল আহসান বলেন, আমাকে অন্যায়ভাবে পরীক্ষা কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে আমি রিট করেছি। তবে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা স্থগিত হোক তা আমি চাই না।আমি অনিয়মকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে রিট করেছি।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষকেরা আমার প্রতি ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে আমার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন করতে ইন্ধন দিচ্ছে।

এ বক্তব্যকে নাকচ করে দিয়ে পরীক্ষা কমিটির বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক নুরুল ইসলাম বলেন, তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।কিন্তু তিনি তা পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। এক বছর ধরে পরীক্ষা না নিয়ে শিক্ষার্থীদের জীবন হুমকির মুখে ফেলেছিলেন অধ্যাপক মনজুরুল আহসান। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশে আমি সভাপতি হয়ে পরীক্ষা নিচ্ছি ।

টিউটোরিয়াল নেওয়া হয়নি সে সব পরীক্ষার নম্বর কীভাবে শিক্ষার্থীরা পাবে? এই প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক নুরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে ৭০ নম্বরের পরীক্ষা নিয়ে ১০০ নম্বরে রূপান্তর করা হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এএস/এপি/ডিসেম্বর ২৬, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

শিক্ষা এর সর্বশেষ খবর

শিক্ষা - এর সব খবর