thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৫ জমাদিউল আউয়াল 1446

‘লিখিত কোনো উত্তর এখনও পাইনি’

২০১৩ ডিসেম্বর ২৭ ১৮:৩০:২৫
‘লিখিত কোনো উত্তর এখনও পাইনি’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান ঢাকা অভিযাত্রা কর্মসূচির ব্যাপারে বলেছেন, ‘আমরা লিখিতভাবে মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচি পালনের আবেদন করেছি। কিন্তু লিখিত কোনো উত্তর এখনও পাইনি।’

অনুমতি না পেলে বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচি পালন করবে কিনা- এ বিষয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে শুক্রবার সন্ধ্যায় জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

আবদুল মঈন খান বলেন, আমরা বিশ্বাস করি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। দেশ যে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে তা থেকে বের হয়ে আসবে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের পথে আমরা হাঁটতেই থাকবো। কোন রাষ্ট্রীয় শক্তি বা অগণতান্ত্রিক শক্তি বাধা দিলে ইতিহাস তার বিচার করবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিহত করতে ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা অভিমুখে অভিযাত্রা কর্মসূচি দেন। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি বা গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’।

মঈন খান বলেন, সরকার যদি সত্যিকারার্থে গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হয় (একদলীয় বাকশালী নয়) তা হলে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা না দিয়ে সহযোগিতা করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ইতোমধ্যে ধ্বংস করেছে এই একদলীয় বাকশালী সরকার। তা পুনরুদ্ধারের জন্যই ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’- যা অবশ্যই শান্তিপূর্ণ।

তিনি বলেন, দশম সংসদ নির্বাচনের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই ব্যর্থ হয়েছে। তাই নির্বাচনী প্রচারণার যে সরকারি কর্মকাণ্ড তা ‘খামাখা তামাশা’ ছাড়া আর কিছুই নয়। তারা ইতোমধ্যেই দেশের ৫৪ শতাংশ ভোটারের ভোটাধিকার হরণ করে ফেলেছে। গ্রহণযোগ্যতা না থাকায় আজ সবাই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, জাতি আজ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। ভোটবিহীন নির্বাচনই এর মূল কারণ। আমরা অতীতে ভোটারবিহীন নির্বাচনের কথা শুনেছি। এখন ভোটারবিহীনতো বটেই, এরা ভোটবিহীন নির্বাচন করছে। এটা দেশের ইতিহাসে তো নয়ই, বিশ্বের গণতান্ত্রিক ইতিহাসেও নজির নেই। তাদের এ পদক্ষেপ জাতিকে আজ সংঘাতময় পরিস্থিতির সম্মুখীন করেছে।

মঈন খান বলেন, এ সংকটের কারণে খালেদা জিয়া গণতন্ত্র রক্ষায় কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, এটা সরকার পতন কর্মসূচি নয়। এটা গণতন্ত্র রক্ষায় গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি। অথচ সরকার আজ বাধা দিচ্ছে। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে সরকারের পক্ষ থেকে হরতাল, অবরোধ ঘোষণা করা হচ্ছে। যৌথবাহিনীর অভিযানের নামে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, নির্যাতন করা হচ্ছে।

তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘সরকার বাধা দিয়ে, ভিন্নমত দমন করে মানুষের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে পারে। তবে গণতন্ত্রকে দমন করতে পারবে না।’

দলটির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, খালেদা জিয়া এ দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের প্রধান। অথচ তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে সরকার। তার সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদেরও দেখা-সাক্ষাৎ করতে দিচ্ছে না। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়, নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সব জায়গায় বিরোধী দলের কার্যালয় তারা অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সরকারের এ ধরনের ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড গণতন্ত্রের বিকাশের জন্য অন্তরায়।

তিনি বলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু ও রাজশাহীর মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ বিরোধী দলের ৩৫০ জনের নামে মিথ্যা হত্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমনের উদ্দেশে তারা এ ধরনের মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। এ মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এদিকে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, জননিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে ডিএমপির পক্ষ থেকে ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় কোনো সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/টিএস/এমএআর/ডিসেম্বর ২৭, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর