thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১,  ২২ জমাদিউস সানি 1446

আলোচনার ভিত্তি হবে সংবিধান : মতিয়া

২০১৩ অক্টোবর ২৭ ১৭:০২:০৮ ০০০০ 00 ০০ ০০:০০:০০
আলোচনার ভিত্তি হবে সংবিধান : মতিয়া

দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, আমরা ইতিবাচক ধারায় ছিলাম। ইতিবাচক ধারায় চলতে চাই। বিরোধী দলকে যে আলোচনার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে সেটি সংবিধানের ভিত্তিতিই অনুাষ্ঠিত হবে।

রোববার বিকেলে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার ধানমণ্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে দেশব্যাপী বিএনপি জামায়াতের হরতালের নামে তাণ্ডবের প্রেক্ষিতে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

হরতাল চলছে, তারপরও সংলাপ কি সম্ভব? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, আমরা কোনো কিছুতেই আশা ছাড়ি না। আমরা আশাবাদী। আমরা দাওয়াত দিয়েছি, এখনো দাওয়াত প্রত্যাহার করে নেইনি।

সংলাপের জন্য আবার আহ্বান করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি বাহির থেকে সরাসরি এখানে চলে এসেছি। এটা আমাদের দল ও ১৪ দলের মধ্যে আলোচনার প্রয়োজন আছে। তবে, আমরা ইতিবাচক ধারায় চলতে চাই।

আলোচনা বাইরে হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আলোচনার ভিত্তি সংবিধান।

দুই নেত্রীর ফোনালাপের সময় বিরোধীদলীয় নেতা প্রধানমন্ত্রীকে ‘আপনি মিথ্যা কথা বলছেন’ বলে শিষ্টাচার লংঘন করেছেন অভিযোগ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, দুজনের ফোনালাপের সময় বিরোধী দলীয় নেতা প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যাবাদী বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী যখন বলছিলেন আমি ফোন করে আপনাকে পাইনি। বিরোধীদলীয় নেতা বলেছেন, আপনি মিথ্যা কথা বলছেন। এটা কোন ধরনের শিষ্টাচার আমাদের জানা নাই।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিরোধী দলের নেতার কাছ থেকে কথা বলার সময় সৌজন্যবোধ দেখা যায়নি। তার কথার মধ্যে শিষ্টাচারের অভাব ছিল। প্রধানমন্ত্রী ধৈর্য হারা হয়নি। চরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন তিনি। অসত্য বলার ক্ষেত্রে তাদের (বিএনপি) সঙ্গে কেউ পারবে কিনা আমি সন্দিহান।

আওয়ামী লীগের এ নেত্রী বলেন, ইদানিং বিরোধীদলীয় নেতার হিসাবে সংখ্যার হিসাবের গরমিল হচ্ছে। তার দিন তারিখ ঘণ্টা খেয়াল থাকে না।

তিনি বলেন, বিরোধী দলের হরতালের কারণে পাশের হার কমছে । তারা বলছে, বৃহত্তর স্বার্থে ছাড় দিতে। একজন ছাত্রের জীবনের পাশ করা ছাড়া আর বড় স্বার্থ আছে বলে আমার জানা নাই।

এছাড়াও হরতালের সহিংসতায় যশোরে আলমগীর হোসেন নামে একজন নেতা মারা গেছে। বিক্ষিপ্তভাবে ভাংচুর হয়েছে। ট্রেনে হামলা করেছে পিকেটাররা। টিভি সেন্টারে ককটেল নিক্ষেপ করে আহত করা হয়েছে সাংবাদিকদের। তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক নিহত ও আহত হয়েছে। এখন দেশে তো কোন যুদ্ধ হচ্ছে না। কেন তারা আহত হবে? আমরা এর নিন্দা জানাই। আর আহতদের প্রতি সমবেদনা জানাই।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, একেএম এনামুল হক শামীম, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ প্রমুখ।

(দিরিপোর্ট২৪/আমান/এমডি/অক্টোবর ২৭, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর