thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মে 24, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ১ জিলকদ  1445

আ. লীগের ইশতেহারে সর্বাধিক গুরুত্ব পাচ্ছে ‘জাতীয় ঐক্যমত’

২০১৩ ডিসেম্বর ২৮ ০৩:২১:০৩
আ. লীগের ইশতেহারে সর্বাধিক গুরুত্ব পাচ্ছে ‘জাতীয় ঐক্যমত’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ইশতেহারে জাতীয় ঐক্যমতের বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শনিবার এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ঘোষণা হতে যাচ্ছে দলটির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ইশতেহার। আওয়ামী লীগের ইশতেহার কমিটির একাধিক দায়িত্বশীল নেতা দ্য রিপোর্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইশতেহার কমিটির নেতারা বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমুন্নত রাখতে এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সব রাজনৈতিক দল, শ্রেণী ও পেশাজীবী সংগঠন নিয়ে ‘জাতীয় ঐক্যমত’ গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

এবারের ইশতেহারের শিরোনাম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারের শিরোনাম ছিল ‘দিন বদলের সনদ’। ওই ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, দারিদ্র্য ঘুচাও-বৈষম্য রুখো, সুশাসন প্রতিষ্ঠাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। ইশতেহারে ‘রূপকল্প-২০২১’ এর পরিকল্পনাও ঘোষণা করা হয়েছিল।

অন্যদিকে এবারের ইশতেহারে সুশাসন, গণতন্ত্রায়ন ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রায়নকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হলে নতুন পরিকল্পনা হিসেবে ‘রূপকল্প-২০৪১’ পরিকল্পনার ঘোষণা দেওয়া হবে।

এদিকে, নবম নির্বাচনের উল্লেখিত বিষয়ের সফলতাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। গুরুত্ব আরোপকৃত বিষয়গুলোর মধ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থতার কথাও স্বীকার করা হয়। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় এবারের ইশতেহারে বিস্তর পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে বলে ইশতেহার প্রণয়ন কমিটি সূত্রে জানা গেছে।

নবম ইশতেহারে প্রাধান্য পাওয়া পাঁচটি বিষয়ের মধ্যে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার সফলতা অর্জন করেছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং দারিদ্র্য বিমোচনেও সরকারের সফলতা রয়েছে বলেও নতুন ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এবারের ইশতেহারে এ সকল ক্ষেত্রে আরো দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে।

এ ছাড়া মোটা দাগে শান্তি-স্থিতিশীলতা, সংবিধান ও সংসদ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বিচার বিভাগ ও আইনের শাসন, নির্বাচন ব্যবস্থা, ক্ষমতার বিকেন্দ্রায়ন, স্থানীয় সরকার ও প্রশাসন, দুর্নীতি প্রতিরোধ, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, দ্রব্যমূল্য ও সামষ্টিক অর্থনীতি, শিল্পায়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, সামাজিক নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান, কৃষি, খাদ্য, ভূমি ও পল্লী উন্নয়ন, শিক্ষা ও মানব উন্নয়ন, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, নারীর ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতা, শিশু-কিশোর ও তরুণ প্রজন্ম, যোগাযোগ : সড়ক, রেলওয়ে, বিমান ও নৌ-পরিবহন, মাদকাসক্তি প্রতিরোধ, জলবায়ু পরিবর্তন : পরিবেশ ও পানিসম্পদ, শ্রমিক ও প্রবাসী কল্যাণ, নগরায়ন : পরিকল্পিত উন্নয়ন, গণমাধ্যম ও তথ্য অধিকার, জাতীয় সংস্কৃতি ও ধর্মীয় স্বাধীনতা ইত্যাদি বিষয়ে আগের মতো নতুন পরিকল্পনা নিয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ইশতেহারে আওয়ামী লীগের ভোটারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, বিশ্বাস, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং দেশকে শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে আপনারা আরেকবার দেশ সেবার সুযোগ দেন।

(দ্য রিপোর্ট/এইউএ/এসকে/ডিসেম্বর ২৮, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর