thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২১ জমাদিউল আউয়াল 1446

‘সংলাপের বিকল্প নেই, তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে সংলাপ হতে পারে’

২০১৩ অক্টোবর ২৭ ১৭:৫৫:৩২ ০০০০ 00 ০০ ০০:০০:০০
‘সংলাপের বিকল্প নেই, তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে সংলাপ হতে পারে’

দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক: ‘সংঘাতের মাধ্যমে কোন সমাধান সম্ভব নয়, বিএনপির সংঘাতে বিশ্বাস করে না। আমরা মনে করি আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে সংলাপের কোন বিকল্প নেই। তবে সরকার যদি নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুকে সামনে রেখে আলোচনা করতে চাই তাহলে সংলাপ সম্ভব’।

১৮দলীয় জোটের ঢাকা টানা ৬০ ঘন্টার হরতালের প্রথম দিন রবিবার বিকাল সোয়া চারটায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বর্তমান সরকার সংবিধান থেকে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা উঠিয়ে দেয়। এই সংশোধনীর পর থেকে সরকার দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় আসতে চায়, কারণ তারা জানে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তাদের পরাজয় সুনিশ্চিত। দেশে একটি অবাধ নির্বাচন হলে বিএনপি আগামীতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে এটা জেনে তারা এমন ভাবে সংবিধান সংশোধন করেছেন যাতে দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা যায়।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিগত পাঁচ বছরে আওয়ামী লীগের দুঃশাসন, দুর্নীতি ও জনগণের উপর নির্বিচার অত্যাচার নির্যাতনের ফলে আগামীতে তাদের ক্ষমতায় আসা অনিশ্চিত। দেশের ৯০ ভাগ জনগণের দাবি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পূনঃস্থাপন এবং বিভিন্ন সময়ে জনগণের বিভিন্ন মৌলিক অধিকার আদায়ে বিএনপি আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু সরকার বিরোধী দলের এসব গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি দিয়ে জনগণের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছে। একইসঙ্গে সরকার পুলিশের ছত্রছায়ায় যুবলীগ, ছাত্রলীগের ক্যাডারদের লেলিয়ে দিয়েছে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের উপর।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের যদি গণতন্ত্রের উপর ন্যুনতম শ্রদ্ধাবোধ থাকে তাহলে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার সভা-সমাবেশের উপর থেকে নিষেধজ্ঞা উঠিয়ে নিবে। ১৮ দলের ডাকা হরতালে দেশের সর্বস্তরের জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নিয়েছে। জনগণের এই আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানে পরিণত হচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘১৮ দলের ডাকা প্রথম দিনের হরতালে ঢাকাসহ সারাদেশে ৩ জন বিএনপি ও ১৮ দলীয় নেতা পুলিশ-র‌্যাব ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছে। ২৫ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত বিরোধী দলের ১২ নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন। আজকের হরতালে পুলিশ বিএনপি ও জোটের ছয় শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে, পুলিশ ও আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের হাতে আহত হয়েছেন প্রায় দেড় হাজার নেতা-কর্মী। মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে ১৫ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। ভ্রাম্যমান আদালত ১২ জন নেতা-কর্মীকে ৯ মাস করে জেল দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মনিরুজ্জামান রেজিনকে আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে তাকে পুলিশ দলের শীর্ষ নেতাদের খবর দেবার জন্য বলে। বিএনপির পক্ষ থেকে রেজিনের খোঁজ নেয়া হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তার কোন খোঁজ দিচ্ছে না। আমরা পুলিশের কাছে আহবান করবো অতি দ্রুত রেজিনকে মুক্ত করে দিন।’

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবদুস সালাম, দলের উপ-দফতর সম্পাদক শামিমুর রহমান শামিম ও আবদুল লতিফ জনিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

(দিরিপোর্ট২৪/আরএইচ/ এমডি/ অক্টোবর ২৭, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর