thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২২ জমাদিউল আউয়াল 1446

প্রাথমিকে পাসের হার ৯৮.৫৮, ইবতেদায়িতে ৯৫.৮০

২০১৩ ডিসেম্বর ৩০ ১১:০৯:৪২
প্রাথমিকে পাসের হার ৯৮.৫৮, ইবতেদায়িতে ৯৫.৮০

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : এবার প্রাথমিক সমাপনীতে পাসের হার ৯৮ দশমিক ৫৮ ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনীতে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় পাসের হার বেড়েছে প্রাথমিকে ১ দশমিক ২৩ ও ইবতেদায়ীতে ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

গত বছর প্রাথমিকে পাসের হার ছিল ৯৭ দশমিক ৩৫ ও ইবতেদাতেয়ী ৯২ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

দুটি সমাপনীতে ২৭ লাখ ৯৩ হাজার ১১জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে পাস করেছে ২৭ লাখ ৪৫ হাজার ৬১৪জন।

দুই পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ২১৪জন। এর মধ্যে প্রাথমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার ৯৬১জন, অপরদিকে ইবতেদায়ীতে পেয়েছে ৭ হাজার ২৫৩জন। গত বছর মোট জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৩৩ হাজার ১৪০জন।

রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

এর আগে সকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফল হস্তান্তর করেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকে মোট পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে ২৫ লাখ ১৯ হাজার ৩২জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৪২জন। অপরদিকে ইবতেদায়ীতে অংশগ্রহণ করেছে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৯৭৯জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ২ লাখ ৬২ হাজার ৪৭২জন।

প্রাথমিকে ডিআরভুক্ত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা, জিপিএ-৫ প্রাপ্তি, পাসের হার ও অনুপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের হারেরভিত্তিতে গত বছরের মতো এবারো সারাদেশের মধ্যে ঢাকার মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় শীর্ষে অবস্থান করছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানেও আছে ঢাকার দুই প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল, মাইলস্টেন প্রিপারেটরি কেজি স্কুল।

ইবতেদায়ীতে ঢাকা জেলার ক্যান্টনমেন্ট থানার তানযীমুল উম্মাহ ক্যাডেট মাদ্রাসা শীর্ষে রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গতবারের সেরা ডেমরা থানার দারুন্নাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদ্রাসা। এবার তৃতীয় অবস্থানে আছে গাজীপুর টঙ্গীর তা’মিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার ২৪ দিনে প্রাথমিক সমাপনীর ফল প্রকাশ করা হলো। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা ভীতকর অবস্থার মধ্যে এবার পরীক্ষা দিয়েছে।

প্রাথমিকে সর্বোচ্চ পাসের হারের দিক থেকে ৭ বিভাগের মধ্যে বরিশাল (পাসের হার ৯৯ দশমিক ২৫ শতাংশ) ও ৬৪ জেলার মধ্যে লালমনিরহাট জেলা (১০০ শতাংশ) শীর্ষে রয়েছে। ৫০৬ উপজেলার মধ্যে ৩৬ উপজেলায় শতভাগ পাস করেছে। সর্বনিম্ন পাসের হার সিলেট জেলায় (পাসের হার ৯৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ)। বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলায় পাসের হার সর্বনিম্ন ৯০ দশমিক ০৫ শতাংশ।

ইবতেদায়ীতে ৭ বিভাগের মধ্যে বরিশাল (পাসের হার ৯৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ) ও ৬৪ জেলার মধ্যে লালমনিরহাট জেলা (১০০ শতাংশ) শীর্ষে রয়েছে। ৮৪ উপজেলায় শতভাগ পাস করেছে। সর্বনিম্ন পাসের হার সিলেট জেলায় (পাসের হার ৯০ দশমিক ৬০ শতাংশ)। জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায় পাসের হার সর্বনিম্ন ৭১ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে। গড় পাসের হারের দিক থেকে ছেলেরা সামান্য এগিয়ে। ছাত্রদের পাসের হারে ৯৮ দশমিক ৬২ ও ছাত্রীদের পাসের হার ৯৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, তিনটি জেলায় ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে বেশির ভাগ মিল ছিলো। আমরা দেখেছি ওই তিন জেলায় গত বছর ইংরেজিতে যে নম্বর পেয়েছিলো, এবার তার চেয়ে আরো কম নম্বর পেয়েছে। তাই প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার মাধ্যমে কেউ অতিরিক্ত সুবিধা পায়নি।

বেশি বেশি পাসের মাধ্যমে শিক্ষার মান কমছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটা একটি রক্ষণশীল ধারণা। সবাই লেখাপড়া করে পাসের জন্য। আমরা ফেল করেই অভ্যস্ত ছিলাম। তবে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আমাদের শিক্ষার মান কম এটা ঠিক। এ জন্য মান বাড়াতে আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি। বেশি পাস করাচ্ছি, এতে মান কমে যাচ্ছে এটা ঠিক নয়।

এবারো পাসের হারে শীর্ষে বরিশাল বিভাগ

প্রাথমিকে সর্বোচ্চ পাসের হারের দিক থেকে ৭ বিভাগের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বরিশাল। এ বোর্ডে পাসের হার ৯৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। এছাড়া পাসের হার রাজশাহীতে ৯৮ দশমিক ৫৪, খুলনায় ৯৯, ঢাকায় ৯৮ দশমিক ৭০, চট্টগ্রামে ৯৮ দশমিক ৭৯, সিলেটে ৯৬ দশমিক ৫৪ ও রংপুরে ৯৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

অপর দিকে ইবতেদায়ীতেও পাসের হারে সেরা বরিশাল। বরিশালে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এছাড়া রাজশাহীতে ৯৬ দশমিক ১৫, খুলনায় ৯৭ দশমিক ১৫, ঢাকায় ৯৫ দশমিক ৩৫, চট্টগ্রামে ৯৫ দশমিক ৪৯, সিলেটে ৯১ দশমিক ৬৫ ও রংপুরে ৯৭ দশমিক ১০ শতাংশ।

প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষার ফল www.dpe.gov.bdwww.dpe.teletalk.com.bd এবং এসএমএস’র মাধ্যমে দুপুর থেকেই সংগ্রহ করা হবে।

এসএমএস’র মাধ্যমে ফল পেতে যেকোনো মোবাইল থেকে ডিপিই, (dpe) উপজেলা কোড, রোল নম্বর এবং পাসের বছর (২০১৩) লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি ম্যাসেজে ফল জানানো হবে।

প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা ২০ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ২৮ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ হয় ৬ ডিসেম্বর।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এইচএসএম/হালিম/ডিসেম্বর ৩০, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

শিক্ষা এর সর্বশেষ খবর

শিক্ষা - এর সব খবর