thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ৪ মে 24, ২১ বৈশাখ ১৪৩১,  ২৫ শাওয়াল 1445

নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন সানজিদা খানম

ভোট কেন্দ্রে সেনা মোতায়েনের আহ্বান আওলাদের

২০১৪ জানুয়ারি ০২ ১৬:৫৯:০৬
ভোট কেন্দ্রে সেনা মোতায়েনের আহ্বান আওলাদের

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার সুব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সেনা মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. মো. আওলাদ হোসেন। একই সঙ্গে তিনি আওয়ামী লীগ নেত্রী অ্যাডভোকেট সানজিদা খানমের সমালোচনা করেন।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

আওলাদ বলেন, ঢাকা-৪ আসনের দুই লাখ ২৭ হাজার ৮৩৪ ভোটারের ভোট নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ প্রশাসনকে দল-নিরপেক্ষ হতে হবে। ভোট ডাকাতি ঠেকাতে অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনে সেনা মোতায়েন করতে হবে। ভোট কেন্দ্রেই ভোট গণনা করতে হবে। নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ভোট গণনা করা যাবে না।

তিনি তাদের প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি উত্থাপিত দাবি বাস্তবায়নে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যে প্রতিশ্রুতি বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশন দিয়েছে তা প্রশ্নবিদ্ধ করছেন অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম’- অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘সানজিদা খানম আমার মনোনয়ন বাতিল করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর এখন পুলিশি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নেতাকর্মীদের আটক ও মামলার হুমকি দিয়ে আসছেন। এমনকি ওই এলাকার আওয়ামী লীগ সভাপতিও নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে শ্যামপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।’

‘সানজিদা খানম প্রকাশ্য পথসভায় মাইকে ঘোষণা দিয়েছেন, সরকারের সঙ্গে জাতীয় পার্টির চুক্তি হয়েছে হাতি প্রতীক যত বেশি ভোটই পাক না কেন লাঙ্গল প্রতীককেই বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। আওয়ামী লীগ নেতাদের ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেধে দেওয়া হয়েছে লাঙ্গলের পক্ষে চলে আসার জন্য’- অভিযোগ করেন আওলাদ।

প্রশাসনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পুলিশ ৫২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর করে এবং বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছিড়ে ফেলে। একই সঙ্গে পুলিশ জানায়, লাঙ্গল ছাড়া কোনো দলের প্রচারণা চলবে না।’

ফরিদাবাদ হাই স্কুল, রিভারভিউ কিন্ডার গার্টেন, বাকচর হাই স্কুল, জুরাইন আশরাফ মাস্টার উচ্চ বিদ্যালয় ও ব্যাংক কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়কে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘এ সকল স্থানে প্রশাসন যদি আমাদের সহযোগিতায় এগিয়ে না আসে তা হলে আমাদের লোক কেন্দ্রেগুলোতে অবস্থান নিতে পারবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. নাসিম মিয়া, মো. নোমান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আসমত আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী সিরাজুল ইসলাম, মোল্লা মো. তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/এসআর/এমএআর/জানুয়ারি ২, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর